পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/১৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

§ b-8 ধ্যার অধিপতি । তাহার-রাম, লক্ষ্মণ, ভরত, শত্রুঘ্ন নামে লোকপ্রসিদ্ধ সর্ব্বলক্ষণাক্রান্ত দেবতুল্য চার r পুল। জ্যেষ্ঠ রাম, পিতৃ-বাক্যে ভ্রাতা লক্ষ্মণ এবং ভার্য্য লেনকার সহিত দণ্ডকারণ্যে আগমন করেন । সেই মহামন পঞ্চবটী বনে গৌতমী তীরে বাস করিতেন । একদা সানুজ রামচন্দ্রের অনুপস্থিতিতে দুরায় রাবণ তথা হইতে জনকনন্দিনী মহাভাগ সীতাকে হরণ কলিয়া লইয়া যায় ; অনস্তর, রামচন্দ্র, অতীব দুঃখাওঁ হইয় জানকীকে অন্বেষণ করতে করিতে ধর্ব্বাতলে নিপতিত পক্ষিরাজ জটায়ুকে অবলোকন করিলেন। তাহাকে স্বৰ্গদান করিয়৷ সত্বর ঋষ্যমুকে উপস্থিত হন । সুগ্রীব, সুপ্রসিদ্ধ রামচন্দ্রের সহিত বন্ধুত্ব স্থাপন করেন । রঘুনন্দন, সুগ্রীবের ভার্ষ্যাপহারী বালীকে বধ করিয়া এবং সুগ্রীবকে রাজ্যভিষিক্ত করিয়া বন্ধুর কর্ত্তব্য কার্য্য করেন। বানররাজ মুগ্রীবও বানরগণকে আনাইয়া সীতান্বেষণের জন্য ঐ সকল বনরকে চতুর্দিকে পাঠাইয়াছেন । প্রেরিত বানরগণের অন্তর্গত আমি একজন বানর ; আমি সুগ্রীবের মন্ত্রী। আমি সম্পা ত-বচনানুসারে সত্বর শতযোজন বিস্তীর্ণ সমুদ্র লজান করিয়া লঙ্কানগরীতে জানকী অন্বেষণ করত ক্রমে অশোক-বনিকাতে উপস্থিত হইয়াছি, তথায় তাহাকে অন্বেষণ করিতে করিতে এই শিংশপা বৃক্ষ দেখিলাম, এই তরুমুলে শোকপরাঘুণ দুঃখ পরিপ্লতা রামমহিষী জানকী দেবীকে দেখিতে পাইয়াছি ; অতএব আমার আগমনপ্রয়োজন সিদ্ধ হইল” । অনন্তর সুধীবর পবনমন্দন এই বলিয়ু বিরত হইল। সীতা ক্রমে কমে তৎসমস্ত শ্রবণ করিয়া বিস্ময়াপন্ন হইলেন। ভাবিতে লাগিলেন “ আমি যাহা শুনিলাম, গগনমণ্ডলে পবন-মুখে কি এ বার্ত্ত উদেঘাষিত হইল ন—ইহা আমার স্বপ্ন ? ন-মনের ভ্রম ? ন-সত্য ঘটনা ? দুঃখবশতঃ আমার নিদ্রা नोट्टे ; আর যখন ঠিকঠাক বলিয়া বুঝতেছি, তখন उमई ব। বলিব কি রূপে শ্রবণে অমৃত-তুল্য এই বাক্য যে ব্যক্তি উচ্চারণ করিল, সেই প্রিয়ভাষী মহাভাগ আমার সম্মুখে উপস্থিত হইয়াদেখা দিন।" হনুমান জানকীর সেই বাক্য শ্রবণ বরিয়া পত্র পুঞ্জের মধ্য হইতে অবতরণপূর্ব্বন্ধ ধরে ধীরে সীতার সম্মুখে আসিয়া উপস্থিত হইল। বানরট ধীরে ধীরে কৃতাঞ্জলিপুটে সীত-সন্মুখে অবস্থিত হইয়া স্তাহাকে প্রণাম করিল; বানরের শরীরপ্রমাণ চটক পক্ষীর স্থায় ক্ষুদ্র ; বদন রক্তবর্ণ; অধ্যাত্ম-রামায়ণ । এবং বর্ণ পাত । জানকী তাহাকে দেখিয়া উীত হইলেন । “আমাকে মোহিত করিবার জন্য মায়া, বলে বানর রূপ ধারণ করিয়া রাবণ আসিয়া উপস্থিত হইয়াছে" এইরূপ চিন্তা করিয়া সীতা মুখ । হেঁট করিলেন ; এবং চুপ করিয়া রহিলেন। হনুমানু, সেই জনক-নন্দিনীকে পুনর্ব্বার বলিতে লাগিল; "দেব! তুমি যেরূপ আশঙ্কা করিতেছ, আমি সেরূপ নহি ; মাতঃ ! আমার উপর ষে আশঙ্ক; করিতেছ, তাহ ত্যাগ কর । আমি কোশলেন্দ পরমাত্ম রামচন্দ্রের দাস ; হে শুভপ্রদে } আমি বানরেন্দ্র সুগ্রীবের মন্ত্রী ; এবং হে শোভনে }, আমি জগৎ-জীবন পবন দেবের পুত্র”। তাহ শুনিয়া জানকী, কৃতাঞ্জলিপুটে অবস্থিত হনুমানৃকে বলিলেন, “ তুমি ত বলিতেছ যে, আমি রামচন্দ্রের দাস ; কিন্তু বানর এবং মনুয্যের সঙ্গ ঘটনা কি রূপে হইল সম্মুখস্থিত মারুতি, প্রীত হইয়া জানকীকে বলিল –“মুধাবর রামচন্দ্র শবরীর কথামতে ঋষ্যমুকে গমন করেন ; ঋয্যমুকে অবস্থিত সুগ্রীব রাম ও লক্ষ্মণকে দেখিতে পান ; ভীত হইয়া রামের মনোগত ভাব জানিবার জন্য আমাকে তাঙ্গার নিকট পাঠাইয়া দেন ; আমি ব্রহ্মচারবেশে রাম সমীপে গমন করি । রামের সদ্ভাব অর্থাৎ সদভিপ্রায় অথচ ব্রহ্মরপর্তু অবগত হইয়। র্তাহাদিগের দুই জনকে স্কন্ধেপরি স্থাপনপূর্বক সুগ্রীব সমীপে লইয়া যাই এবং রাম সুগ্রীব-—উভয়ের বন্ধুত্ব করাইয়া দিই বালী, সুগ্রীবের ভার্য্যা হরণ করে ; রঘুবর সেই বালিকে এক শরাঘাতে নিহত করিয়া সুগ্রাবকে বানররাজ্যে অভিষিক্ত করেন ; সেই সুগ্রীব, আপনার অন্বেষণের জন্তু মহাবল পরাক্রাস্ত বানরসকলকে দিগ দিগন্তে পঠাইয়াছেন। রামচন্দ্র, আমাকে আপনার অন্বেষণ করিতে গমনোদ্যত দেখিয়া সাদরে বলিয়া দিলেন;–“হে পবন-নন্দন! তোমার উপরই আমার সকল কার্য্য নির্ভর করিতেছে ; সীতার নিকটে আমার এবং লক্ষ্মণের সমস্ত মঙ্গল ঋহিবে ; এবং প্রত্যভিজ্ঞানার্থ, আমার নামাক্ষরমুদ্রিত (নাম খোদা) এই আমার উত্তম অঙ্গুরীয় সীতাকে সাবধানে দিবে; এই বলিয়া অঙ্গুলি হইতে খুলিয়া এই অঙ্গুরীয় আমার নিকট দিলেন ; আমি যত্ব করিয়া তাহা আনিয়াছি। দেবি । আপনি সেই অঙ্গুরীয় অবলোকন করুন" বানর পবন-নন্দন, এই বলিয়া নমস্কার করিয়া দেবীকে মুদ্রিকা (অম্বুরীয় ) প্রদান করিল ; এবং আবার নমস্কার করিয়৷