পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. Ե-Ե অধাতু-রামায়ণ । SBB BB BBBS BBBB BBS BBBBB S DD BBB BBS BBBBBBBBB Bu আশ্রয় করিও না। তুমি উত্তম-বংশ-দস্তৃত ব্রাহ্মণ; ভজন কর; সীতাকে অগ্রে করিয়া পুত্র পৌত্রাদি । o বন্ধু বান্ধবগণের সহিত গমনপূর্ব্বক রামকে নমস্কার করিলে সকল ভয় হইতে মুক্তি লাভ করিতে দেখ–তুমি বাস্তবিক রাক্ষসনহ । আর তত্ত্বজ্ঞানমতে । তুমি যখন পুলস্থ্য-ঋষির পৌত্র এবং কুবেরের ভ্রাতা, তখন দহকে স্বাস্ত্র বলিয় বুঝিয়াও বিবেচনা করিয়া পিচেনা করিতে গেলে, যে রাক্ষস বলিয়া প্রতিপন্ন ইপে না, ইহা আর বলিতে হুইবে কি ? শরীর, বুদ্ধি এবং ইন্দিয় হইতে সস্তুত দুঃখরাশি তোমার নহে ; এবং ভূমি—শরীর বুদ্ধ স! ইন্দ্রি নহ; কেননা তুম বলিয়া মনে করে, অথচ তাহা মমাত্র, সেইরূপ এই অজ্ঞানমূলক সুখ দুঃশাদিও অজ্ঞানীর পক্ষে সত্য বলিয় প্রতীয় মান হয়, অথচ বস্তুতঃ ভালীক | তোমার পিকার নাই ; একমাত্র তুমিই সত্য ; তোম ভিন্ন অতিরিক্স সপুষ্ট বস্তু সকলকে সত্য 露やリ常ぬ '* هي التي ज्ञान्छाङ्क ויידה f ::

  1. সত্য নহে । যেমন চাকিশ জগদ্ব্যাপক হইলেও

লিপ্রভৃতি দ্বারা লিপ্ত হয় না, সেইরূপ স্বক্ষ তুমি, দেহ সংস্থষ্ট হইলেও সুখ দুঃখাদি দ্বার লিপ্ত হও ন; লদেহ, ইলিয়, প্রাণ অথবা (মৃক্ষ) শরীরকে আত্মা সলিম বুঝিলেই সকল বন্ধলে সদ্ধ হয়। “আমি চৈতন্য মাত্র, আমি জন্মদুহিত, আমি অবিনাশী ; এবং আমি আনন্দস্বরূপ," ইহা বুলিলে মুক্ত হয়। দেহ, আত্ম নহে (আমি নহি) ; কেননা তাহ পৃথিব্যাদির দিকারে উৎপন্ন ; প্রাণ আত্মা নহে, কারণ তাহ বায়ু মাত্র ; মন অহঙ্কারের বিকার, অতএব তাহা আত্ম নহে ; এবং প্রকৃতির নিকারোৎপন্ন বুদ্ধিও আত্মা নহে; আত্মা চৈতন্য ও আনন্দ স্বরূপ, র্তাহার বিকার নাই, তিনি কাহরও বিকার সন্থত নহেন ; জাত্মা দেহাদি প্রকৃতি i পারিবে । মনুষ্য, ভক্তি সহকারে রামচন্দ্রকে পর মাত্মা, অন্তর্ধাম, আনন্দময় এবং অদ্বিতীয় বলিয়া না ভাবিলে, দুঃখ-তরঙ্গ মালা সস্কুল ভবজলধির পারে গমন করিবে কিরূপে ? নতুবা তুমি যেন আপনার শত্র আপনি হইয় অজ্ঞানময় বহ্নি দ্বারা প্রজলিত নির্দিকার। যেমন লোকে স্বপ্ন দেখিতে দেখিতে । | নিরুপাধি (মুখ-দুঃখদি উপাধি শূন্য) আত্মাকে এই ! রূপ ধারণা করিতে পারলে সংসার হইতে মুক্তি । লাভ করিতে পারা যায়। যাহাতে তোমার এইরূপ কার্য্য করিতে নিবারণ করিল ; বলিল ;–“রাজনৃ! ধারণা হয়, সেই জন্ম তোমাকে আত্যন্তিক মুক্তির উপায় বলিয়া দিতেছি ; হে মহামতি । মনোযোগ হয়; তাহা হইতে নির্ম্মল জ্ঞান উৎপন্ন হয়, i } W | | }

আত্মাকে নিজকুত পাপরাশির সাহায্যে অধোগত করিতেছ—তোমার মুক্তির সম্ভাবনাও হইবে না ।" অমুর দশকন্ধর পবননন্দনের সেই অমৃতাস্বাদতুল্য সুমধুর বাক্য শ্রবণ করিয়া কৃত্রিম কোপে অধীর হইল এবং জুলিয়া উঠিয়া চারঞ্জলোচনে বানর.

    • শ্রেষ্ঠকে বলিতে লাগিল ;–“অরে! আমার সমক্ষে বস্থ নাই বলি কারের হেঃ জঞ্জনও ।

دسم নির্ভয়ের ন্যায় প্রলপ করিতেছিস কেন দুই বানরগণের মধ্যে অপকৃষ্ট এবং দুষ্টবুদ্ধি ; যাহার নাম করিতেছি এ রামই বা কে ? আর বানর মুগ্রীপই বা ক্ষে ? ( দুই দেখা কি ) তামি সুগ্রীরের সহিত নরাধ রামকে চাচিরে নিহত করিব , আরে বানর ! আজি তোকে বধ করিয়া জনকনন্দিনাকে নিহত করিব ; তাহার পর রাম ও লক্ষ্মণকে, অনস্তর বানরগণের সাহিত বলশালী বানররাজ সুগ্রীকে তাবিলম্বে বধ করিব।” পবননন্দন দশগ্রীবের বাক্য শুনিয়া অত্যন্ত ক্রোধে সেন রাক্ষসকে দগ্ধ করত কহিল ;–“আমি রামের দাস ; আমার বিক্রম অসীম ; কোটি কোটি অধম রাবণও আমার । সমযোগ্য নহে।” হনুমানের বাক্য শ্রবণ করিয়া দশানন অতিশয় ক্রোধসহকারে পার্শ্বে অবস্থিত একজন রাক্ষসকে বলল; এই বানরকে খণ্ড খণ্ড সমষ্টি হইতে অতিরিক্ত, ঈশ্বর, নিরঞ্জন এবং সর্ব্বদা । করিয়া মারিয়া ফেল ; রাক্ষসগণের বন্ধুবান্ধবগণ তাহা অবলোকন করুক। মহামুর মেই অস্ত্রাঘাতে তাহাকে বধ করিতে উদ্যত হইলে বিভীষণ, সে অপর রাজার প্রেরিত দূত এই বানর, কোনরূপেই প্রতাপশালী ভবাদৃশ রাজগণের বধ্য নহে। এই করিয়া শ্রবণ কর। বিষ্ণুভক্তি হইতে চিত্ত শুদ্ধি দূত বানর যদি নিহত হয়; কাহা হইলে যাহাকে বধ করিতে আপনি উদ্যত হইয়াছেন, সেই রামকে তাহাতে পরমাত্মসাক্ষাৎকার লাভ হইয়া থাকে, এই ; এ সমাচার দিবে কে ? * অতএব বধের সমান অম্ভ রূপে যথার্থ বিষয় অবগত হইলে পরম পদ প্রাপ্ত হইয়া থাকে। অতএব আজ পুরাণ পুরুষ, প্রকৃতির • আপনি বাহা হন্তে নিজে নিহত হইবেন,সেই পর, পরম বিভু, রমাপতি ঐহরি রামকে ভজনা ; রামকে এ সংবাদ ক্ষে দিৰে ? এই বিভীষণের পূঢ় স্বতিকর। মুর্থতা ত্যাগ কর; তঁহার প্রতি হৃদয়ের শত্রু ; প্রায়ও মূল শ্লোক সম্মত ।