পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/২০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

У 9 о অধ্যাক্স-রামায়ণ । SDDDDS DDDS BBBB BDD BBBB BB BBBBBB BB BBBS BBB DDS DDDB BB BBB BBS BB BB BDD DD BBB BBBB BBBB BBBS BBBB BBBB হইলেও কোন বিদ্বানু দেহের প্রতি আত্মবুদ্ধি করিয়া করিতে উদ্যত হইয়া উপযুক্ত অবসর-লাভে যত্নভোগের অনুবর্তী হয় । অতএব তুমি ব্রাহ্মণ হইয়— , বা হইয়া রহিল। একদা অগস্ত্য শুক মুনির ব্রাহ্মণ বলিয়া ব্রাহ্মণ ) পুলস্ত্যের পৌত্র হইয়া, আশ্রমে উপস্থিত হইলেন ; শুক সেই অগস্ত্যকে অজ্ঞানীর জায় কেন মিছা ভোগের অনুসরণ করি | পাদ্য অর্ঘ্য প্রভৃতি দ্বারা পূজা করিয়া জাহারার্থ তেছ । যাহা হইবার হইয়াছে, ইহার পর তুমি সকল সঙ্গত্যাগ করিয়া সর্ব্বদা পরমাত্মা রামচন্ত্রকেই ভক্তিভাবে আশ্রয় কর ; সীতাকে রামের হস্তে প্রত্যপণ করিয়া তাহার পাদপদ্মের অনুচর হও গিয়া। তাহ হইলে সকল পাপ হইতে মুক্ত হুইয়। বিষ্ণুলোকে গমন করিতে পারবে। নতুবা ক্রমে ক্রমে অধোগত হইতে থাকিবে, আর উঠতে পরিবে না। আমার বাক্য গ্রহণ কর আমি তোমার হিতই বলিতেছি। তুমি সাধুসঙ্গ কর; এবং সীতাসমন্বিত শ্রীরামরূপী ইরিকে নিরস্তর ভজন কয়, তিনি শরণাগত-পালক (অবশু তোমাকে দয়া করি. বেন) র্তাহার কমনীয় কান্তি মরকত মণির তুল্য, তিনি ধনুর্ব্বাণ ধারণ করিয়া আছেন, সুগ্রীব, লক্ষণ এবং বিভীষণ র্তাহার পদসেবা করিতেছেন।” চতুর্থ অধ্যায় সমাপ্ত। পঞ্চম অধ্যায় । রাবণ, শুক-মুখোশত অজ্ঞান-নাশন বাক্য শ্রবণ করিয়া ক্রোধ-রক্ত,লোচনে যেন তাহাকে দগ্ধ করত কহিতে লাগিল ;–“রে দুর্ম্মতি ! তুই আমার অনুজীবী হইয়া গুরুর ন্যায় উপদেশ দিতেছিল কি রূপে । আমি ত্রিজগতের শাসনকর্ত্তা ; আমাকে শিক্ষা দিতে তোর লজ্জা হইতেছে না ? যদিও তুই আমার বধ্য, এবং এখনই তোকে বধ করিতে পারি ; তথাপি তুই—পূর্ব্বে যে সকল উপকার করিয়াছিল, তাহ স্মরণ করিতেছি বলিয়াই বধ করিলাম না। রে বিমূঢ় ! তুই শীঘ্র এস্থান হইতে দূর হ; ঈদৃশ বাক্য শ্রবণ করা যায় না।” তখন শুকও, “বিশেষ অনুগ্রহ’ –এই কথা বলিয়া স্কাপিতে কঁাপিতে গিয়া বৈখানস আশ্রম অবলম্বন কহিল। শুক, ব্রহ্মপরায়ণ ব্রহ্মবিখ-শ্রেষ্ঠ ব্রাহ্মণ ছিল; বানপ্রস্থবিধি অবলম্বন করিয়া স্বধর্ম্ম অনু४ान कद्रउ बटन श्रदरिउि कबि७ । भशभङि হক, দেবগণের উন্নতি এবং দেব-শত্রুগণের বিনশার্থ-অবিচ্ছেদে বহুতর যজ্ঞ করে। শুক, দেবক্ষণের হিত কার্য্য করিতে উদ্যত বলিয়া তাহার নিমন্ত্রণ করিলেন। তাহার পর মুনিবর কুস্তযোনি স্নান করিতে গমন করিলে, সেই রাক্ষসও (বজ্রদংষ্ট্র) অবসর পাইয়া অগস্তারূপ ধারণ করত শুককে কহিল ;–“ব্রক্ষন। যদি ভোজন করাইবে ত, সামিষ অন্ন ভোজন করাইও ; আমি ছাগ-মাংস বহুকাল ভোজন করি নাই ।” শুক “যে আজ্ঞা", বলিয়া বহুতর মাংস সমেত ভোজ্য প্রস্তুত করাইল । এ দিকে অগস্ত্য ভোজন করিতে উপবিষ্ট হুইলে সেই খল রাক্ষস শুক পত্নীর মন মুগ্ধ করিয়া অতি সুন্দর শুক-পত্নী-শরীরে প্রবেশ পূর্বক * সুপক্ক বহুবিস্তৃত নরমাংস পরিবেষণ করিল। পরিবেষণ করিয়াই রাক্ষস অস্তুৰ্হিত হইল । অনস্তর সেই অগস্ত্য অপবিত্র মনুষ্য মাংস অবলোকন করিয়া ক্রুদ্ধ হইলেন : অগস্ত্য শুককে বলিতে লাগিলেন ;—“রে দুর্ম্মতে । আমাকে তুই অপবিত্র মনুষ্য মাংস দিয়াছিস ; অতএব মনুষ্যাশী রাক্ষস হইয়া থাকৃ।” শুক, এইরূপ শাপগ্রস্ত হইয়া অগস্ত্যের সম্মুখে সভয়ে বলিল ;–“আপনি এখনি বলিলেন, ‘আজ আমাকে বহুতর মাংস প্রদান কর’। দেব ! আমি তদনুসারেই দিয়াছি, তবে আমাকে শাপ দিলেন কেন ?” শুকের বাক্য শ্রবণ করিয়া সুমতি অগস্ত্য মুহূর্ত্তকাল ধ্যান অবলম্বন করিলেন, তাহাতে এ সমস্ত কার্য্যই রাক্ষসের কৃত বলিয়া বুঝিয়ু শুককে বলিলেন;–“হে মুনিসত্তম ! তোমার অপকারী একজন রাক্ষস এই সমস্ত করিয়াছে ; আমি তাহ বিচার না করিয়াই তোমাকে শাপ দিয়াছি। তথাপি আমার বাক্য অমোঘ—যাহা বলিয়াছি তাহা হইবেই। তুমি এখন রাক্ষস শরীর ধারণ পূর্বক রাবণের সহায় হইয়া থাক ; তাহার পর যখন রাম, রাবণ বধের জন্ত বানরগণ সমভি. ব্যাহারে লঙ্কা সমীপে আগমন করিবেন, তখন ভূমি রাবণ-প্রেরিত চর হইয়া গিয়া রঘুবরকে দর্শন করিবামাত্র শাপমুক্ত হইবে ; পরে রাবণকে তত্ত্বজ্ঞান উপদেশ দিলে মুক্ত হইয়া পরমপদ প্রাপ্ত * "শুকপত্নীকে পাকশাল মধ্যে অজ্ঞান কৰিয়া রাখিয় তাহার রূপ ধারণ পূর্ব্বক্ষ" ইহা টাকা সম্মত অনুবাদ । - n