পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/২০৬

* ०२ অধ্যাত্ম-রামায়ণ | লাঙ্কাইয়া উপরে উঠতে লাগিল; আবার ভূমিতে হইয়া উঠিলেন ; ( বলিলেন) সেমিত্রি! শরাসন পড়িতে লাগিল; এবং গর্জন করিতে লাগিল; আনয়ন কর । রঘুবর লক্ষ্মণ । আজ আমার সামর্থী "অতি পল রামচন্দ্র কী জয়; মহাবল লক্ষ্মণ কী জয় ; অবলোকন কর ; এই রাক্ষসকে ব্রহ্মাস্ত্রদ্বারা ক্ষণরাম-পালিত মহারাজ সুগ্রীব কী জয় ;" এইরূপ চীং মধ্যে ভস্মসাৎ করি।” অনলস মায়াবী অম্বর মেঘক্তার করত শত্রুপণের সহিত যুদ্ধ করিতে লাগিল নাদও রামের সেই বাক্য শ্রবণ করিয়া মায়াবলে গনমান, অঙ্গদ, কুমুদ, নীল, নল, শরভ, মৈদ, সত্বর নগরে গমন করিল। রাম বানরসৈন্তগণকে দ্বিবিধ, জাম্ববান, দধিমুখ, কেশরী এবং অন্যান্য পতিত নিরীক্ষণ করিয়া অতি দুঃখিত-ভাবে পবন বলশালী যুথপতি বানরগণ লঙ্গার দ্বার লজন করিয়া নন্দকে বলিলেন, “তুমি শীঘ্র ক্ষীরদসমূদ্রে গমনক । ভিতরে প্রবেশপূর্ব্বক) সর্ব্বতোভাবে লঙ্কা অবরোধ ; তথায় দিব্য ওষধিগণের উৎপত্তিক্ষেত্র দ্রোণ নামে কৰিল ; তখন মহাকায় বানরগণ সবেগে বৃক্ষ, এক পর্ব্বত আছে, গিয়া লইয়া আইস ; হে মহাপর্ব্বত, নখখাত ও দস্তাঘাতে সেই সকল রাক্ষস ! মতে ! এই মহাবল বানরুবৃন্দকে পুনৰ্জিবীত কপ গণকে নিহত করতে লাগিল। তখন মহাকায় ; তোমার চিরস্থায়িনী কীর্ত্তি হইবে " বায়ু নর্দ্দন মহাবল ভয়ঙ্গর রাক্ষসগণও ক্রোধভরে সমস্ত দ্বার- ; “যে আজ্ঞা" বলিয়া গমন করিল বানরশ্রেষ্ঠ দেশের বহির্ভাগে আসিয়া ভিাদপাল, খড়গ, শূল হনুমান সেই পর্ব্বত আনয়ন করিয়া বানরগণকে এবং পরশু প্রভৃতি দ্বার, বানর সৈন্ত-ধ্বংস করিতে পুনর্জীবিত করিল অনস্তর ঐ পর্ব্বত আবার লাগিল ; জয়োংফুল্ল বানরখণও রাক্ষসদিগকে নিহত ; সেইখানে স্থাপিত করিয়া সত্বর আসিয়া উপস্থিত করিতে লাগিল। বানরগণের ও রাক্ষসগণের অতি হইল। বানরগণের সৈন্য-সাগর হইতে পূর্ব্ববং স্বস্তৃত যুদ্ধ হইয়াছিল, দেখিতে দেখিতে রণ: ; ভীষণধ্বনি শ্রবণ করত রাবণ বিস্ময়াপন্ন হইয় ক্ষেত্র, মাংস এবং শোণিত-প্রবাহে কর্দমময় হইয়া বলিতে লাগিল ; রাস্বর—আমার প্রবলশত্রু ; দেব উঠিল। রাক্ষসশ্রেষ্ঠগণ—অশ্ব, গজ এবং সুবর্ণপ্রভ । নির্ম্মিত হইয়া আসিয়াছে ; আমার সেনাপতিগণ পথে আরোহণ করিয়া দশ দিকৃ প্রতিধ্বনিত করত তাহাকে বধ করিতে সত্বর যুদ্ধে গমন করুক ; যে বুদ্ধ করিতে লাগিল। রাক্ষস ও বানরশ্রেষ্ঠগণ পর- ; সকল বীরগণ আমার প্রতিসম্পাদন করিতে ইচ্ছুক স্পর পরস্পরকে জয় করিতে অভিলাষী হইল। বানর- মন্তিগণ,বান্ধবগণ এবং তাহার: সকলে আমার আদেশে গণ রাক্ষসদিগকে ও রাক্ষসগণ বানরদিগকে বধ সত্বর যুদ্ধে গমন করুক যাহার প্রাণ-নাশ-ভয়ে করিতে লাগিল। অমৃত পান করিলে যেরূপ আন- ; ভীত হইয়া যুদ্ধে গমন না করিবে ; আমার আদেশদিত ও বলশালী হয় ; সেইরূপ, তখন দেবাংশ- পালনে পরামুখ, সেই সকল প্যক্তিকে আমি বধ সম্ভূত বানরগণ রামরূপী বিষ্ণুকর্তৃক অবলোকিত করিব। রাক্ষসগণ তাহা শুনিয়া ভয়-সম্বস্তচিত্তে হইয় আনন্দিত ও বলশালী হইতে লাগিল (যুদ্ধার্থ) বহির্গত হইল অতিকায়, প্রহস্ত স্বাবণ, সীতাকে সৃষ্টভাবে স্পর্শ করিয়া পাপ মহানাদ, মহোদর, দেবশত্রু নিকুম্ভ, দেবাস্তক সঞ্চয় করিয়াছিল; তাহাতেই রাবণ-পালিত রক্ষস নান্তক এবং অন্যান্য বলশালী রণপণ্ডিত রাক্ষস খণের ঐ ও বল বিনষ্ট হইয়াছিল ; এক্ষণে ; সকল বানরগণের সঙ্গিত যুদ্ধ করিবার জন্য গমন সমস্ত রাক্ষস সৈন্যের একচতুর্থাংশ অবশিষ্ট রহিল! করিল। এই সকল এবং এতদ্ভিন্ন বহুসংখ্যক আর সমস্ত নিহত হইল। দুষ্ট বুদ্ধি প্রমান মেঘ- শত শত সহস্ৰ সহস্র বলদপিত বীরগণ, বানরসৈন্যনাদ রাক্ষস, নিজ সৈন্তগণকে নিহত হইতে দেখিয়া, বৃহে প্রবিষ্ট হইয়া আন্দোলিত করিতে লগিল অদৃষ্ঠভাবে আকাশে অবস্থিত থাকিয়, ব্রহ্মাস্ত্রদ্বারা ভূশুণ্ডি, ভিদিপাল, বাণ, খড়গ, পরশু, এবং অপচতুর্দ্দিকৃস্থ বানরসৈন্তগণকে মর্দ্দন করত নানাবিধ, রাপর নানাবিধ অস্ত্রদ্বারা বানরসেনাপতিদিগকে BBBBB BBBB BB BBB BBS BBS BBB BB BBBS BBBBBBS BBBBS অতি আশ্চর্য্যের স্কায় বোধ হইল। ঐরাক্ষস ব্রক্ষার নখ, দংষ্ট্র ও মুষ্টিপ্রহারে সকল রাক্ষস-সেনাপতিনিকট বর প্রাপ্ত এবং সকল অস্ত্রশস্ত্রে মুনিপুণ । দিগকে জীবনশূন্য করিতে লাগিল। কেহ কেহ - د Aي. অস্ত্রজ্ঞ শ্রেষ্ঠ রামচন্দ্রও ব্রহ্মান্ত্রের সম্মান রক্ষা ; রাম হস্তে তদ্ভিন্ন অনেকেই স্বগ্রীব, হনুমান, অঙ্গন ক্ষরত ক্ষণকাল ভূকীভাবে বসিয়া রহিলেন। অনঙর এবং মহাত্মা লক্ষ্মণের হন্তে নিহত হইল। ক্রমে দেখিলেন, বহুতর বানরসেন্স রণস্থলে পতিত | সেই সমস্ত রাক্ষসকে বানরসেনাপতিগণ নিহত হইয়াছে ; দেখিয়া ক্রোধে অগ্নির স্থায় প্রজ্বলিত কলি কেননা বানগণ রামতেজের আবেশে