পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/২১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>>R অবগত হইয়। নির্ভয়ে মুখে নিদ্রা যাইবেন” পুত্রা. কুয়ালী রাক্ষস রাজ রাবণ ইতু্যাদি বিবিধ বিলাপ করিল। অনস্তর, পরম ক্রুদ্ধ হইয়া (শত্রুদিগকে ) বিনষ্ট করিতে ইচ্ছুক হইয়া সকল রাক্ষসগণকে যুদ্ধে গমন করিতে * বলিল। সেই বঁর রাবণ, পুত্র-বধে সাতিশয় সপ্তপ্ত ও ক্রোধের বশবর্ত্তী হওয়ায় বুদ্ধি দ্বারা কর্ত্তব্য বলিয়া স্থির করিয়া সীতাকে বধ করিতে ধাবমান হুইল । রাক্ষসীগণের মধ্যস্থলে অবস্থিত সীত, দশাননকে খড়গ হস্তে ক্রুদ্ধ হইয়া আসিতে দেখিয়া ভয় এবং শোকে ব্যাকুল হইলেন । ইত্যবসরে সুপার্থ নামে একজন তাহার ( রাবণের ) বুদ্ধিমান পবিত্র ও মেধাবী মন্ত্রী, রাবণকে এই কথা বলিল;—“হে দশানন ! আপনি সাক্ষাৎ কুবেরের কনিষ্ঠ, ( যথাবিধি ) বেদাধ্যয়ন ও ব্রহ্মচর্য্য করিয়া সমাবর্ত্তন স্নান করিয়াছেন ; এবং স্বধর্ম্ম-পরায়ণ ইত্যাদি বিবিধ গুণ সম্পন্ন, বলিয়া বিশেষ বিখ্যাত ; আপনি স্ত্রী হত্যা করিতে অভিলাষী হইয়াছেন কিরূপে ? আমাদিগের সহিত আপনি, রাম ও লক্ষ্মণকে যুদ্ধে বিনাশ করিয়া অচিরে জনকনন্দিনীকে প্রাপ্ত হইবেন" এই কথা বলিলে রাবণ নিবৃত্ত হইল। অনন্তর দুরাত্ম রাবণ, বন্ধু-কথিত উত্তম ধর্ম্ম যুক্ত বাক্য গ্রাহ্য করিল; এবং শোকে বিমূঢ় বুদ্ধি হইয়া সত্বর গৃহে গমন করিল। তথা হইতে আবার সুহৃদৃগণে পরিবুত হইয়া সম্ভাতে উপস্থিত श्हेल । l নবম অধ্যায় সমাপ্ত । দশম অধ্যায় । রাবণ, সভামধ্যে স্বাক্ষ স মন্ত্রিগণের সহিত বিচার করিয়া পতঙ্গ যেমন বহুপ ক্ষে সমভিব্যাহারে জলস্ত অনলে প্রবেশ করে—সেইরূপ যাহার অবশিষ্ট ছিল, সেই সকল রাক্ষসগণের সহিত ত্রামের সম্মুখীন হইতে যাত্রা করিল। সেই সকল রাক্ষসগণ যুদ্ধস্থলে রামের হস্তে নিহত হইল। আর স্বয়ং দশানন রাম, চত্রের তীয় বাণে বক্ষঃস্থলে আহত হইয়া ব্যথিত হওয়ায় সত্বর লঙ্ক প্রবেশ করিল। রাবণ বারংবার রাম এবং হনুমানের অলৌকিক পুরুষকার দর্শন করিয়া শীঘ্র শুক্রের নিকট গমন করিল। দশানন শুক্রাচার্য্যকে প্রণাম করিয়া কৃতাঞ্জলি পুটে বলিতে লাগিল –“হে ভগন, রাব রামচন্ত ত এই এই - l यूक अकब्लग . g r দিগকে নিই করতে ইছক श्रेबाहे' हेश्। प्लेका जश्वज्र अश्राम । " অধাতু-রামায়ণ রূপে রাক্ষস যূথপতিগণের সহিত লঙ্কা নগরী ধ্বংস করিল, আমার পুত্র এবং আত্মীয় সকল— প্রধান প্রধান দৈত্যগণ নিহত হইয়াছে ; আপনি সদৃগুরু ; আপনি থাকিতে আমার এত দুঃখ কেন ?” এইরূপ নিবেদিত হইয়া দৈত্য-গুরু, দশাননকে বলিলেন ;–“হে দশানন ! যত্ব সহকারে নির্জনে তুমি হোম কর L যদি হোমে বিঘ্ন না হয়, তাহ হইলে মহানৃ রথ, অশ্বগণ, শরাসন, তৃণীর এবং শরনিকর হোমাগ্নি হইতে উদ্ভূত হইয়া তোমার নিকট উপস্থিত হইবে । তুমি সেই সমস্ত যুদ্ধোপকরণে সজ্জিত হইলে অজেয় হইবে। আমি তোমাকে মন্ত্র দিতেছি, গ্রহণ কর ; যাও, শীঘ্র হোম কর গিয়া।” এই বলিলে রাক্ষসরাজ রাবণ শীঘ্র আসিয়া নিজভবনে পাতাল সদৃশ গুহা নির্ম্মাণ করাইল যত্বপূর্ব্বক লঙ্কা নগরীর সকল দিকের দ্বারে কপাট প্রভৃতি অবরুদ্ধ করিয়া অভিচার কার্ধ্যে যে সমস্ত কথিত আছে, সেই সকল হোমদ্রব্য সংগ্রহপূর্বক নির্জন গুহার মধ্যে প্রবেশ করিল। তথায় মেীনালম্বনপূর্বক হোম করিতে আরম্ভ করিল। রাবণানুজ বিভীষণ, ধূমপুঞ্জ উখিত হইয়াছে, অবলোকন করিয়া ভয়াকুলতচিত্তে শ্রীরামকে সেই হোম-ধূম দেখাইল এবং কহিল ;– “দেখুন রাম। দশানন হোম করিতে আরম্ভ করিয়াছে ; হোম যদি সমাপ্ত হয় তাহ হইলে সে অজেয় হইবে । অতএব হোমের বিঘ্ন করিতে অবিলম্বে বানরশ্রেষ্ঠদিগকে প্রেরণ করুন | রাম “আচ্ছা" বলিয়া সুগ্রীবের সন্মতিক্রমে অঙ্গদ বানরকে, আর হনুমানপ্রমুখ মহাবল পরাক্রান্ত বানরদিগকে হোমবিস্তু করিতে আদেশ করিলেন । তাহারা প্রাকার লঙ্ঘনপুর্ব্বক রাবণ ভবনে গমন করিল। দশকোটি বানর তথায় গিয়া গৃহ রক্ষকদিগকে চূর্ণ করিল এবং ক্ষণমধ্যে অশ্বও হস্তীবৃন্দকে নিহত করিল। অনস্তর প্রাতঃকালে সরমা নামে একজন রমণী হস্ত সঙ্কেতে হোম স্থান জানাইয়া দিল। ঐরমণী বিভীষণ ভার্য্যা । মহাবল অঙ্গদ, গুহামুখস্থিত আচ্ছাদন পাষাণ পদাঘাতে চুর্ণ করিয়া মহাগুহা মধ্যে প্রবেশ করিল। তথায় রাবণ মুদ্রিত নয়নে দৃঢ়াসনে উপবিষ্ট আছে দেখিয়া অঙ্গদ সকলকে প্রবেশ করিতে আজ্ঞা দিল, তাহাতে সকল বানরেরাই সত্বর প্রবেশ করিল। তত্রত্য সেবকগণকে তাড়ন করত কোলাহল করিতে লাগিল। হোমদ্রব্য সকল চতু দিক হইতে সেই হোমকুণ্ডে নিক্ষেপ করিল। বানরশ্রেষ্ঠ হনুমান সক্রোধে বলপূর্ব্বক রাবণের