পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/২১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* >8 র্তাহার ভার্ধ্যা সীতাকে বন হইতে বলপূর্বক হরণ করিয়া আনিলেন ? এখনও বা না হয়, বিদেহ-নন্দিনীকে রঘুবর সমীপে প্রেরণ করুন। হে রাজনু ! বিভীষণকে রাজ্য দিয়া আমরা বনে গমন করি।” রাবণ মন্দোদরীর বাক্য শ্রবণ করিয়া এই কথা বলিল ;– “ভদ্রে । আমি রণ-স্থলে পুত্রগণ—ভাতৃগণ—(এমন কি ) সমুদায় রাক্ষসমণ্ডলীকে রাঘব-হস্তে নিহত করিয়াছি ; এখন আমি বনবাসী হইয়া জীবন ধারণ করিব কি বলিয়া ? আমি রামের সহিত যুদ্ধ করিব, মুশীঘ্রগামী রাম-বাণে বিদীর্ণ কলেবর হইয়া বিষ্ণুর সেই পরম পদ প্রাপ্ত হইব । আমি রাঘবকে বিষ্ণু বলিয়া জানি; জনক-নন্দিনীকেও লক্ষ্মী ৰলয় জানি ; রামের হস্তে নিহত হইয়। পরম পদ প্রাপ্ত হইব, এই জন্য—জানিয়াই জনক-নন্দিনী সীতাকে আমি বলপুর্ব্বক বন হইতে লইয়ু আসিয়াছি। হে প্রিয়ে! সংসার ও তোমাকে পরিত্যাগ করিয়া মৃত বন্ধুগণের সহিত গমন করিব। মুমুক্ষুগণ, যে নির্ম্মল পরমানন্দময় স্থান লাভ করেন, আমি রণক্ষেত্রে রামের হস্তে নিহত হইয়া সেই স্থান প্রাপ্ত হইব। ইহলোকের সকল পাপ দূরীকৃত করিয়া দুল্লভ মুক্তিপদ লাভ করিব। আমি এই সংসারসমুদ্র পার হইয়া ( অচিরে) বিষ্ণুকে প্রাপ্ত হইব। ইহাতে, পঞ্চক্লেশ * এবং তমূলক স্কুলবৃত্তি সকল তরঙ্গ স্বরূপ ; যুগ-পরিবর্তন আবর্ত্ত ; (এই সমুদ্র ) স্ত্রী, পুত্র, আগু, বন্ধু এবং ধনসম্পত্ত্বিরূপ জল জস্তগণে আবৃত ; ইহাতে প্রাণীদিগের নিজ নিজ ক্রোধই বাড়বানলের তুল্য ; অনঙ্গই ইহাতে জালরূপে অবস্থিত । দশম অধ্যায় সমাপ্ত । একাদশ অধ্যায়। তখন রাবণ, রাজ্ঞী মন্দোদরীকে প্রণয়পুর্ব্বক এই কথা বলিয়া রামের সহিত যুদ্ধ করিবার জন্য বণস্থলে গমন করিল। ভীষণাকৃতি রাবণ ঘোরতর নিশাচৰগণে পরিবৃত হইয়া ভয়াবহ দৃঢ়তর রথে আরোহণপূর্বক সহসা (যুদ্ধৰ) নিৰ্গত হইল। মসলি জম্বিতারোগ, ৱেব এবং অতিৰিবেশaश् •rarनः ।। ८१छ्ाक्षिदलं *चiwi” बलिङ्गौ cर चचि श्, डाइ1 थवित्रn ; “शन्नैौद्र वाउँौङ भाद्र चांकt मो६* 4हैं জ্ঞান-অক্ষিতা ; রাগ-জন্তুরাগ ; অভিনিবেশ-স্ব স্থা | ভর। অক্সিঙ প্রভৃতির জগুবিধ ব্যাখ্যাও আছে। অধ্যাজু-রামায়ণ সেইরখে ষোড়শখানি চক্র, উত্তম ররখ ও উত্তম কুবর বর্তমান ছিল। উহা পিশাচের ন্যায় ভীষণ মুখ ঘোরতর অশ্ববিশেষ দ্বারা পরিচালিত, এবং সকল প্রকার অস্ত্র শস্ত্র ও সকল প্রকার যুদ্ধোপকরণে সজ্জিত ছিল। সমর-নিষ্ঠুর ভয়াবহ রাবণকে আসিতে দেখিয়া তখন রাম-পালিত বানর-বাহিনী ভয়াকুল হইল। অনন্তর, হনুমান লম্ফ দিয়া উঠিয়া রাবণের সহিত যুদ্ধ করিতে আসিল । অতুল পরাক্রম হনুমানূ আসিয়া দৃঢ় মুষ্টি-বন্ধন-পূর্ব্বক সবেগে রাক্ষসের বক্ষঃস্থলে আঘাত করিল। রাবণ, সেই মুষ্টি প্রহারে মুছিত হইল এবং জানু পাতিয়া রথমধ্যে বসিয়। পড়িল ; মুহূর্ত্তমধ্যে আবার উঠিয়া হনুমানকে বলিল, “ ই তুমি আমার অভিমত বীর বটে।" হনুমানূ । তাহাকে বলিল ;– “আমাকে ধিকৃ, যেহেতু রাবণ ! তুমি আমার মুষ্টি-প্রহার পাইয়াও জীবিত রহিয়াছ;—রাবণ ! তুমি ততক্ষণ আমার বক্ষঃস্থলে মুষ্ট্যাঘাত কর; পরে আমি আঘাত করিলে যে, তুমি প্রাণত্যাগ করবে, ইহাতে সন্দেহ নাই” । রাবণ “আচ্ছা” বলিয়া তাহার বক্ষঃস্থলে মুষ্টিপ্রহার করিল ; তাহাতে কপিবর হনুমানু ঘূর্ণিতনেত্র হইয়া কিঞ্চিৎ অজ্ঞান হইয়াছিল (তৎক্ষণাৎ ) সংজ্ঞা লাভ করিয়া রাবণকে আঘাত করিতে উদ্যত হইল। তখন রাক্ষসরাজ রাবণ ভয় পাইয়া অন্যত্র গমন করিল। ( এদিকে ) হনুমান, অঙ্গদ, নল ও নীল—সমবেত এই চারজন, সম্মুখে—অগ্নিবর্ণ, সৰ্প রোম, খড়গরোমা এবং বৃশ্চিক-রোমা নামে চারজন রাক্ষস শ্রেষ্ঠকে অবলোকন করিয়া যথাক্রমে সেই সকল অনুরদিগকে নিহত করিল। চারজন বানর ভীমপরাক্রম চারজন রাক্ষসকে বধ করিয়া পৃথকৃ পৃথক্ সিংহনাদ করত রামের পার্থে আদিয়া উপস্থিত হইল। অনস্তর ক্রুর দশানন, সক্রোধে অধর দংশন ও নয়ন ঘূর্ণিত করত রামের প্রতিই ধাবমান হইল ৷ জলধরের জলধারায় পর্ব্বতের ন্যায়—রামচন্দ্র, রথারূঢ় দশাননের বজ্র-সদৃশ মহাঘোর শরজালে আহত হইতে লাগিলেন। রামের সম্মুখস্থিত সকল বানরবৃন্দও শরাঘাতে ব্যথিত হইতে লাগিল। অনন্তর, রামচন্দ্র সাবধান হইয়া রণস্থলে দশাননের প্রতি সুবর্ণ ভূষিত বায়ু-তুল্য শীঘ্রগামী শরনিকর নিক্ষেপ করিলেন। ইন্দ্র, রাবণকে রথারূঢ় এবং রঘুনন্দনকে ভূতলে দণ্ডায়মান অবলোকন করিয়া আহ্বান পূর্বক মাতলিকে এই কথা বলিলেন;–“তুমি শীঘ্র আমার রথ লইয়া মৃত্তিকোপরি অবস্থিত রঘুবরের নিকট গমন