পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/২২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লঙ্কাকাণ্ড > 8 a বা পরস্ত্রীতে আসক্ত পাপিষ্ঠই বা হউক, যদি প্রীতি. বশতঃ বা ভয়ক্রমে নিরস্তুর রঘুকুল-তিলক রামচন্দ্রকে ভাবন করত: দেহত্যাগ করে, তাহা হইলে সে । নির্ম্মল চিত্ত এবং শত শত জন্মার্জিত নানা দোষ । হইতে বিমুক্ত হইয় তৎক্ষণাৎ রামরূপী বিষ্ণুর ' মুরবর-বন্দিত আদ্য বৈকুণ্ঠধামে গমন করে । , ত্রৈলোক্য পীড়ক দশাননকে যুদ্ধে নিহত করিয়া ভূতল-স্পর্শী শাসনে বামহস্তের ভর দিয়া দণ্ডায়মান । রাম, একটা বাণ লইয়া দক্ষিণ হস্তে ঘূৰাইতেছেন ; শরাখাতে শরীর । তাহার লোচন-প্রাস্ত আরক্ত ; ক্ষতবিক্ষত, কোটি হুর্য্যের ন্যায় জ্যোতিঃ এবং জয় লক্ষ্মীর আলিঙ্গনে অবয়বে অপুর্ব্ব শ্রী সঞ্চার হই স্থাছে ; সেই সুরপতি-বদিত বীর বেশধারী রাম ।

  • তুমি, ইহার, আমরা এবং অন্যান্ত সকলেই সমান ; श्नू । করিয়াছেন, হইবে। স্বয়ম্ভু ঈশ্বর, প্রয়োজন সিদ্ধি অপেক্ষ রাম,—বিভীষণ, হনুমান, অঙ্গদ, লক্ষ্মণ বানর- ; রাজ (হুগ্রীল), জাম্ববান এবং অপর অপরের প্রতি । দুষ্টিপাত করিয়৷ সন্তুষ্টচিত্ত্বে সকলকেই বলিতে লাগি ।

তামাকে রক্ষা করুন ” একাদশ অধ্যায় সমাপ্ত | দ্বাদশ অধ্যায় । লেন ;–“তোমাদিগেরই বাহুবীর্য্যে আমি রাবণকে নিহত করিতে পারিলাম। যতদিন চন্দ্রস্থর্য্য থাকিবেন, ততদিন তোমাদিগের এই পবিত্র কীর্ত্তি বর্তমান থাকিলে ; এবং তোমাদিগের কীর্ত্তি-ঘটিত ত্রিলোকপাবন কলি-কলুষ-নাশন এই সকল বিবরণ কীর্ত্তন ক, রিলে মনুষ্য পরম গতি প্রাপ্ত হইবে। ইত্যবসরে,মন্দোদর প্রভৃতি রাবণ-পালিতা সকল রমণীগণ, রাবণকে ভূতলে পতিত দেখিয়া শোক করিতে করিতে মাসিয়া রাবণের সমীপে নিপতিত হইল; এবং অত্যন্ত দিলাপ করতে লাগিল । বিভীষণ, মহাশোকে কাতর হইয়। শোক করিতে লাগিল ; এবং রাবণের সমীপে নিপতিত হইয়া নানাবিধ বিলাপ করিতে লাগিল। রাম, লক্ষ্মণকে বললেন;–“হে মানদ! বিভীষণকে পুঝাও ; বিভীষণ ভ্রাতার সৎকার করুন ; বিলম্বে প্রয়োজন কি ? মুন্দোদরী-প্রমুখ স্ত্রীগণ জন্মের পূর্ব্বে, মৃত্যুর পর এবং বর্তমান সময়েই বা এ তোমার কে । তুমিই বা ইহার কে ? যেমন স্রোত-জলে নিপতিত বালুকানিচয় স্রোতের বশে পরস্পর সংযুক্ত ও বিযুক্ত হইতে থাকে ; সেইরূপ কালবশে দেহিগণ ও সংযুক্ত ও বিযুক্ত হয় ; বাস্তবিক তাহাদিগের কোন নিয়মিত সম্বন্ধ नई ; रुगन शैछ श्रउ अछाछ दोछ खै९°ब হয় এবং না ও হয়, বিশেষ নিয়ম নাই ; সেই রূপ ঐশ্বরিক মায়াবলে বাধ্য হইয় প্রাণিগণ প্রাণিগণের সহিত ( পুত্রাদিরূপে ) সংযুক্তও হয় ; এবং বিমুক্তও হয় ; অর্থাৎ প্রাণীগণের জন্ত । জনকভাবও বীজের দ্যায় মাত্র ; সংযোগ বিয়োগও মায় বিজস্তিত ; অতএব শোক করা অনুচিত । কলিলশে সকলেরই সংযোগ বিয়োগ যে-কালে বিধত জন্ম-মৃত্যু বিধান জন্ম-মৃত্যু সেইকালে হইতেই না থাকিলেও বালকের ন্যায়, নিজস্ব পরতন্ত্র প্রাণী সকল দ্বারা প্রাণিগণের স্বষ্টিও সংহার করেন । জীবগণ দেহসংযোগবশতঃই দেহী ; লীজ হইতে বীজান্তরের স্থায় দেহু হইতে ( পিতৃদেহ হইতে ) দেহ উৎপন্ন হয় । ( জীব ) নিত্য ; সুতরাং অনিত্য দেহ হইতে বিভিন্ন । বস্তুতঃ চিরকাল প্রচলিত এই দেহু-দেহি-বিভাগ অজ্ঞানমুলক মাত্র । যেমন কাঠের সারল্য, বক্রত্ব প্রভৃতি বিকারবশতঃ অগ্নি ও সরল বক্র নানারূপে প্রতীত হয়, সেইরূপ পার্থক্য, জন্ম, মৃত্যু, হ্রাস, বৃদ্ধি এবং কর্ম্মফল, বস্তুতঃ আত্মার ধর্ম্ম না হইলেও বুদ্ধি প্রভৃতির ধর্ম্ম বলিয়া দ্রষ্টার (আত্মার) ধর্ম্মস্বরূপে প্রকাশিত হয় । দেহাদি ঘটিত অসৎ জ্ঞানেই ( দেহাদিকে "আমি" বা “আমার" বলিয়া বুঝাতেই ) আত্মা সেই সকল ধর্ম্মে আক্রান্ত হয়। আগ্রহ সহকারে ভাল মন্দ যে কিছু চিন্তা করিবে, চিন্তাকর্ত্তাকে তদনুরূপ হইতে হইবে।

  • শ্রীমদ্ভাগবত ৬ষ্ঠ স্কন্ধ ১৫শ অধ্যায়ের ৪র্থ শ্লোক

পতিত হইয়া বিলাপ করিতেছে ; এই সকল রাবণ “অবিকল এই শ্লোকের অনুরূপ ; ধরস্বামী তাহার থে রমণী রাক্ষসীগণকে বিভীষণ নিবারণ করুন।” রাম এই কথা বলিলে লক্ষণ বিভীষণের নিকট গমন করিলেন। শবের পার্শ্বে শবের স্তায় নিশ্চেষ্ট ভাবে নিপতিত মহাশোকে আচ্ছন্ন বিভীষণকে সুমিত্রীতনয় ইহা বলিলেন;–“জহে বিভীষণ ! তুমি যাহার জন্য দুঃখ সহকারে শোক করিতেছ ; অর্থ করিয়াছেন, উপরে তদনুসারে অনুবাদ প্রদত্ব इद्देशांद्दछ । चक्षTांक द्राभाप्र१ छैौकांकtद्रद्र मन्द्रक धनूश्वान এই ; -"যেমন ভর্জিত যব, ভর্জিত যবের সহিত মিলিত হইয় উদ্ধ অধোভাবে থাকে ( এবং অতি মস্থ৭ বলিয়। তৎক্ষণাৎ ) বিশ্লিষ্ট হইয় পড়ে ; সেইরূপ ঈশ্বর মায়া-প্রেরিত প্রাণীসকল প্রাণীসকলেল্প সহিত সম্বন্ধব। হইয় অচিরে বিচ্যুত হইয়া থাকে।