পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/২২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লঙ্কাকাণ্ড । বিবরণ জানকীর নিকট বল গিয়া; এবং জানকী কি , —“রাজন! গমন কর; জনকনদিনী স্নান করিয়া উত্তর করেন, শীঘ্র আসিয়া তাহ আমার নিকট নির্ম্মল বসন এবং সকল প্রকার অলঙ্কারে ভূষিত নিবেদন কর।” বুদ্ধিমান পবননন্দন রামের এইরূপ হইলে তাহাকে আমার নিকট সত্বর জানয়ন কর " আদেশ পাইয়া লঙ্কানগরে প্রবেশ করিল ; তখন বিভীষণও তাহা শ্রবণ করিয়া মারুতির সহিত গমন রাক্ষসগণ তাহার পূজা করিতে লাগিল। তখায় | করিল। অতিবৃদ্ধ রক্ষীগণ দ্বারা মৈথিলীকে হনুমান রাবণ-গৃহে প্রবেশ করিয়া শিংশপা মূলে ; স্নান এবং সর্ব্বালঙ্কারে ভূষিত করাইয়া উত্তম অবস্থিত, রাক্ষসীগণে পরিবৃত্তা রামচিন্তা-পরায়ণ | শিবিকায় আরোহণ করাইল কঞ্চক ও উষ্ণৗষধারী ) సిసి সেই কুশা কাতরা অনিদিত জনক-তনয়াকে দেখিতে পাইল । পবননন্দন বিনয়-নম্র হইয়া র্তাহাকে প্রণাম করিল ; অনস্তর ভক্তিসহকারে কৃতা | আসিতে নিষেধ করিতে লাগিল ! এইরূপে কোলা গুলি হইয়া নম্রভাবে সম্মুখে অবস্থিত হইল । বহতর যাক্টিকগণ র্তাহাকে রক্ষা করিতে লাগিল । সকল বানরগণ,সেই শুভময়ী জনকতনয়াকে দেখিতে আসিল ; বহুতর বেত্রধারী তাহাদিগকে দেখিতে BBB BBBS BB BBBB BBBBS BB BBBB BBB BBBB BB BBB BBS (কিৎক্ষণ পরেই) তাহার পূর্বস্তৃতি হইল। স্থিত হইল অনস্তুর বন্ধুর দূর হইতেই জানকীকে তিনি তাহাকে রামের দূত জানিয়া আনন্দে প্রসন্ন. শিবিকারূঢ়া দেখিয় বলিলেন ;–“বিভীষণ! তোমার মুখী হইলেন। পবননন্দন তাহাকে প্রসন্নমুখী | দেখিয়া রামের কথিত সকল কথা তাহার নিকট বলিতে আরম্ভ করিল ;–“হে দেবি । রাম, লক্ষ্মণ, সুগ্রীব, সহায়—বিভীষণ এবং বানরসৈন্যগণ —সকলেরই মঙ্গল। শ্রীরাম, সপুত্র সসৈন্য মন্ত্রি-সমেত রাবণকে নিহত এবং বিভীষণকে রাজ্য ভিষিক্ত করিয়া আপনাকে তাহার কুশল সমাচার দিয়াছেন।” সীতা ভর্ত্তার প্রিয়বাক্য শ্রবণ করিয়া হৰ্ষগদগদ বাক্যে বলিলেন;–আজ আমি তোমার কি প্রিয় কার্য্য করিব ? তুমি আমাকে যে প্রিয় সমাচার দিয়াছ, তাহার সদৃশ রত্ব বা আভরণ ত্রিজগতে দেখি না বৈদেহী এই কথা বলিলে হনুমান উত্তর করিল, —“রাম যে শত্রু বধ করিয়া বিজয়ী এবং সুস্থির হই, য়াছেন দেখিতেছি; ইহাই আমার বিবিধ রত্বরাজি হইতে—এমন কি স্বর্গ রাজ্য হইতেও অধিক ”— মৈথিলী, তাহার সেই বাক্য শ্রবণ করিয়া মারুতিকে বলিলেন;–“হে সৌম্য ! সকল সৌম্য-গুণই তোমাতে পর্য্যবসিত হইয়াছে। রাম আমাকে অনুচরগণ বানরদিগকে নিবারণ করিতেছে কি জন্য সকল বানগণ কুনুনীর ন্যায় মৈথিলীকে অবলোকন করুকৃ । জানকী পদত্রজে আমার | নিকটে আগমন করুক।” সীতা রামের সেই বাক্য শ্রবণ করিয়া শিবিকা হইতে অবতরণ পুর্ব্বক পদব্রজে ধীরে ধীরে রাম সন্নিধানে আসিলেন । রঘুনন্দন রামও কার্য্য নির্বাহের জন্য কল্পিত সেই মায়া-সাঁতাকে অবলোকন করিয়া তাহাকে নানাপ্রকার অবক্তব্য কথা বলিলেন । গীত, রাম-কথিত সেই বাক্য সহ করিতে না পারিয়া লক্ষ্মণকে বলিলেন, “আমার প্রতি রামের বিশ্বাস এবং লোকের প্রত্যয়ের জন্ত শীঘ্র অগ্নি প্রছলন কর ।" লক্ষ্মণও রাখবের মন জানিয়া তখনই বৃহৎ কাষ্ঠরাশি করিয়া অগ্নি প্রজালন করিলেন । অনস্তুর, শত্রুহুস্তা লক্ষ্মণ রামের পার্শ্বে উপস্থিত হইয়া তৃষ্টীস্থাবে রহিলেন । অনন্তর মৈথিলী সীতা, ভক্তি সহকারে রামকে প্রদক্ষিণ করিয়া, সকল লোক এবং দেবমহিলা ওরাক্ষস মহিলাদিগের সমক্ষে দেবতা ওব্রাহ্মণগণকে অনুমতি করুন, সত্বর আমি তাহাকে দেখিব"; প্রণাম পূর্বক অগ্নির সমীপবর্ত্তিনী হইয়। কৃতাঞ্জলিহনুমান “ষে আজ্ঞা" বলিয়, তাহাকে নমস্কার | পুটে ইহা বলিলেন;–“আমার চিন্তু যেমন কখনই করিয়া রঘুবরকে দেখিবার নিমিত্ত গমন করিল। ব্লাম্বব হইতে অপস্থত হয় না, তদনুসারে লোক জানকী-কথিত সকল কথা রাম সম্মুখে নিবেদন সাক্ষী পাবক আমাকে সর্ব্বতোভাবে রক্ষা করুন করিল ; এবং বলিল ;–“যাহার জন্য এই সকল (শীতল হউন )।" সতী সীতা এই বলিয়া তখন কার্ঘ্যের আরম্ভ এবং ফল নিম্পত্তি হইল ; এখন অগ্নিকে প্রদক্ষিণ করিয়া নির্ভয় চিত্তে প্রদীপ্ত অনলে সেই শোকসস্তপ্ত দেবী মৈথিলীকে দর্শন করা আপনার উচিত হয়।” হনুমান এই কথা বলিলে, জ্ঞানিশ্রেষ্ঠ রমণীয় বিগ্রহ রাম, মায়া-সীতাকে পরিত্যাগ এবং অনলে অবস্থিত প্রকৃত জানকীকে গ্রহণ করিতে মনে মনে স্থির করিয়া বিভীষণকে বলিলেন ; প্রবেশ করিলেন। অনস্তর সিদ্ধ ও ভূতগণ, সীতাকে মহাবহ্নিতে প্রবিষ্ট হইতে দেখিয়া অতীব কাতর হইল, এবং পরস্পর ৱলিতে লাগিল ;–“বড়ই আশ্চর্য্য ! রাম সর্ব্বঞ্জ হুইস্থাও স্বীয় লক্ষ্মী সীতাকে কিজস্ত পরিত্যাগ করিলেন ?"