পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/২২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লঙ্কাকাও শন পুর্ব্বক অতিঙ্গষ্ট জান কীকে গ্রহণ করিলেন । (করিয়) ঐপাত, সেই চিরসহচারী ত্রিলোক জননী লক্ষ্মীকে আপন ক্রোড়ে স্থাপিত করিলেন । তখন সুখরাশি নাশে একমাত্র হেতু, যিনি (বস্তুত: ) নিরাকার হইয়াও * মায়ু বলে ) মনুষ্য সদৃশ দেহ ধারণ করিয়াছেন, সেই স্তবনীয় পরাং পর পরমেশ্বর পরমানন্দময় ভূভারহারা শ্রীহরি রামকে ভজনা করি । যিনি শরণাগত ব্যক্তিদিগকে নিখিল আনন্দ দান করেন ; হীর নামে শরণগত প্যক্তিদিগের ক্লেশরাশি সম্পূর্ণরূপে বিনষ্ট হয় ; যিনি মহাতপস্বী যোগিবর অদূরে বিরাজমান; জনকতনয়ার আনন্দরূপী সেই চিদানন্দ মূল ঈশ্বর রাঘবের সর্বদ শরণাগত হই । কর্ণ; তাহার। ইহলোকে সর্ব্বদা আনন্দস্বরূপ হয় । গৌরবমদে মন্ত এবং সুরাদি-সেবনে প্রমত্ত হইয়া অখিল রাজগণের দ্যায় অভিমানে আমি, আপনাকে জানিতে পারি নাই। এখন আপনার চরণকমল প্রসাদে । আমার সেই ত্রিলোকাধিপত্য অভিমান বিনষ্ট হইল। দীপ্তিসম্পন্ন রত্বকেয়ূর ও রত্বহারে রমণীয়, পৃথিবীর ভারভূত চাতুর সৈন্যগণের ক্লেশদাতা, শরচ্চত্রের স্যায় সুন্দর-মুখ, কমনীয়-কমল-নয়ন এবং দুল্ল ভ-পারাপার সীতাকে ক্রোড়ে করিয়া কোটি-চন্দ্র-প্রকাশবৎ শোভমান সিংহাসনোপরি আসীন মোহ-বিষাদ শুন্য বিমানারূঢ় ভবাণী-সহিত ভব, কমলদল-লোচন রামকে বলিলেন;–“হে রাঘব ! তুমি রাজ্যাভিষিক্ত ১২১ হইলে, তোমাকে দেখিবার জন্য অযোধ্যায় আসিব ; এখন তুমি এই মনুষ্য দেহের কর " আনন্দে সুরপতি শ্রীরামকে জনকতনয়া মিলনে । অপূর্ব্ব-শোভাসম্পন্ন অবলোকন করিয়া ভক্তিসহ : কারে কৃতাঞ্জলিপুটে গদগদ বচনে স্তব করিতে । অরস্ত করিলেন । ইন্দ্র কহিলেন ;—“যাহার নাম । সংসার-কাননের দাবানল তুল্য ; ভবানী র্যাহার ; মস্তক অন্ত্রিাণ করিয়া বলিলেন;–“বৎস! সংসারআনন্দময় রূপ, মনে মনে ভাবনী করেন ; সেই । ংসার-মোচক শিবাদি-সেবিত ইন্দাবর-প্রভ রামকে । আমি সর্ব্বদা ভজনা করি । যিনি, অমর-নিকরের ; অনস্তর রামকর্তৃক পূজিত হইয়া প্রস্থান করিলেন । পিতাকে অবলোকন মনস্তর, সানুজ ঐরাম, সম্মুখে বিমানারূঢ় দশরথকে অবলোকন করিলেন ; হর্ষ ও ভক্তি সহকারে অবনিতল লুষ্ঠিতমস্তকে তদীয় চরণযুগলে প্রণত হইলেন। দশরথ রামকে আলিঙ্গন ও তদীয় দুঃখ সাগর হইতে আমাকে তুমি উত্তীর্ণ করিয়াছ" ; এই বলিয়া ঠাঁহাকে পুনরায় আলিঙ্গন করিলেন – রাম,সেই সুরপতিকে কৃতাঞ্জলিপুটে অবস্থিত দেখিয়া বলিলেন ;—“হে সহস্রাক্ষ ! আমার জন্য যুদ্ধে নিহত হইয়া ভূতলে পতিত বানরগণকে আমার আদেশে সুধাবৃষ্টি দ্বারাসত্বর জীবিত কর" সহস্রাক্ষ “যে অজ্ঞ,” বলিয়া অমৃত বৃষ্টি দ্বার। সেই সকল বানরকে জীবিত করিলেন । যাহারা পুর্ব্বে নিহত হইয়াছিল, তাহারা মুপ্তোথিতের ন্যায় পুর্ব্ববং সবল গণের চিন্তনীয় ; বানররাজ প্রভৃতি-পরিবৃত সই ; ভস্তাধীন রামরূপী স্থর্য্যকে ভজনা করি। যিনি সংসারি । গণের সর্বদা দুস্থিত ; অথচ যোগীদিগের সর্বদা । ও হৃষ্ট অবস্থাতেই রামপাশ্বে উপস্থিত হইল। কিন্তু তথায় রাক্ষসগণ, অমৃতম্পর্শেও উর্থিত হইল না। বিভীষণ সাষ্ট্রাঙ্গে প্রণাম করিয়া এইকথা বলিল ;–“হে দেব! আমার প্রতি অনুগ্রহ করুন ; যদি আপনার প্রতি আমার ভক্তি থাকে, তাহা হইলে মহতী যোগমায়ার গুণবিশেষে সংশ্লিষ্ট হইয়া হে । ঈশ্বর! আপনি লীলামনুষ্যরূপে বিরাজ করিতেছেন। যাহার আনন্দজনক আপনার লীলা কীর্ত্তনে পরিপূর্ণ । ও তাও সীতাসমভিব্যাহারে অদ্য আপনি মঙ্গল. স্নান করিয়! অলঙ্কত হউন । আগামী কল্য আমরা অযোধ্য গমন করিব।” বিভীষণের কথা শুনিয়া রঘুঘর পলিলেন;–“সুকুমার ভরত, আমার অত্যস্ত ভক্ত ; সে জট-বঙ্গল-ধারী ও প্রণব ধ্যান-তৎপর হইয়া আমার প্রতীক্ষা করিয়েছে। সেই ভরত ব্যতীত স্নান বা ভূষণাদি কিরূপে হইবে ? অতএব তুমি অবিলম্বে সুগ্রীব প্রভৃতির সবিশেষ পূজা কর । বানর-শ্রেষ্ঠগণ পূজিত হইলেই আমি পূজিত হইলাম ; সন্দেহ নাই ।” রাঘব এই কথা বলিলে রাক্ষসরাজ বিভীষণ, দানৱগণের রুচি ও ইচ্ছানুসারে সুবর্ণ ঈশ্বর রাঘবকে ভজনা করি। মরকত শুমলাঙ্গ,বিরাধ । প্রভৃতির নিধনস্বারা লোক-শাস্তি-কর, কিীটাদিশোভিত, পুরারির ধন-রত্ন-স্বরূপ রঘুপতি রামচন্দ্রকে । ভজনা করি । সুদীপ্ত-হেম-বরণী চপলাচারু-কান্তি । যশস্তিনী বৈদেহীকে সম্পন্ন ধনুৰ্দর ভ্রাতা লক্ষণের সহিত রাম, বিভীষণের রামচন্দ্রকে ভজনা করি” । অনস্তর, গগণমগুলে । ভারোহণ করিলেন। ঐরাম, বিমানে অবস্থিত রত্ন, এবং বসনসকল বিতরণ করিল, অনন্তর, রাম, সেই সকল স্থপতি বানরশ্রেষ্ঠদিগকে রত্বরাশি দ্বারা পূজিত—অবলোকন করিয়া যথোচিতরূপে অভিনন্দন পূর্ব্বক বিদায় দিলেন । অনন্তর, সলজ্জা ক্রীড়ে করিয়া বিক্রম আনীত স্বর্য্যসম প্রভ সর্ব্বোস্থম বিমান পুষ্পকে হইয়া সকল পনিরদিগকে বানর-রাজ মুগ্রীবকে,