পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/২২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লঙ্কাকাণ্ড । জন্য তোমার নাম নারায়ণ; এবং হে বিশ্বাত্মন! জীবসমূহের অন্তরাত্মা বলিয়াও তুমি নারায়ণ * লোক পিতামহ ব্রহ্ম তোমার নাভি-কমলে উৎপন্ন ; অতএব তুমি সর্ব্বলোক নমস্কৃত জগদীশ্বর। তুমি বিষ্ণু; সীতা লক্ষ্মী ; আর এই লক্ষ্মণ অনন্ত । তুমি আত্মমায়াবলে আপনা হইতেই আপনাতে এই জগং স্থষ্টি করিতেছ ; কিন্তু তুমি আকাশের স্তায় সর্ব্বত্র নিঃসঙ্গ, চৈতন্য-শক্তি বলে সকলের সাক্ষী । হে রঘুনন্দন । তুমিই সর্ব্বভূতের বাহিরে ও অন্তরে পরিপূর্ণ; তথাপি মূঢ় বুদ্ধি ব্যক্তিগণ তোমাকে বিচ্ছিন্নবং বিবেচনা করে ; হে জগৎপতে ! তুমি জাং ; তুমিই জগতের আধার; তুমিই সর্ব্বভুতের পরিপালক ; তুমি ভোক্ত এবং তুমি ভোজ্য। হে রঘুবর! যাহা কিছু দৃষ্ট-গ্রুত-ব স্মৃত-হয়, তৎসমস্তই তুমি ; তোমা ভিন্ন আর কিছুই নাই। হে রাম! মায় তোমার শক্তিবলে প্রেরিত হইয়া নিজ গুণ অহঙ্গারাদি দ্বারা লোক সকল স্বষ্টি করে ; তাহাড়ে তুমিই স্রষ্টা বলিয়া ব্যবসৃত হও । যেমন চুম্বকের সন্নিধিবশতঃ লৌহ বিচলিত হয় ; সেইরূপ জড় মায়া তোমা কর্তৃক দৃষ্ট হইয় জগং স্বজন করে । তুমি বস্তুতঃ নিরাকার হইলেও জগৎ-পালনেচ্ছতোমার দুই দেহ—বিরাট-শরীর স্কুল দেহ এবং হিরণ্য-গর্ভ সৃক্ষ দেহ বলিয়। কথিত হইয়াছে । হে রঘুনন্দন! এই সমস্ত সহস্ৰ সহস্র অবতার বিরাট দেহেরই হইয় থাকে, আবার প্রয়োজন সিদ্ধি হইলে ঐ সকল অবতার-দেহ বিরাট শরীরেই প্রবিষ্ট হন। হে রঘুবর র্যাহার লোকে অনন্ত-মনে অবতার-কথা গান ও কীর্ত্তন করেন, তাহাদিগেরই মুক্তি হয় । হে রাঘব ! তুমি পুর্ব্বে ভুভার হরণের জন্য ব্রহ্মা কর্তৃক প্রার্থিত ও তদীয় তপস্যায় সন্তুষ্ট হইয়া রঘুকুলে অবতীর্ণ হইয়াছ। হে রাম । তুমি দুষ্কর দেব-কার্ধ্য সাধন অশেষরূপে করিলে। তুমি বহু সহস্ৰ বৎসর মনুষ্যদেহ আশ্রয় করিয়া উভয় লোকে হিতজনক পাপনাশক দুষ্কর কার্য্য করত ভুবন-যশে পুর্ণ করিলে। হে জগন্নাথ ! আমি প্রার্থনা করি, আমার গৃহ পবিত্র কর ; আজি সপরিজনে এখানে আহারাদি করিয়া অবস্থানপূর্বক আগামী কল্য নগরে যাইও” রাঘব “তথাস্ত, বলিয়া সীতা, লক্ষ্মণ ও সৈন্যগণ সমভিব্যাহারে ভরদ্বাজ কর্তৃক পূজিত হইয়া সেই উত্তম

  • नांद्र-क्लज, ७ औव नभूश् ; बग्नम-थचक्षान । नांदन. সঁহার অবস্থান--তিনি নারায়ণ ।

>ミ○ আশ্রমে অবস্থিতি করিলেন। অনন্তর, রাম মুহূর্ত্তকাল চিন্তা করিয়া পবন-তনয়কে বলিলেন;–“হল: মন্‌! তুমি সত্বর এখান হইতে অযোধ্যানগরে গমন কয় ; অবগত হইয়া জাইস, রাজভবনের পরিবারসকল কুশলে আছে ত ? পরে শৃঙ্গবের পুরে গমন করিয়! আমার মিত্র গুহকে, জানকী ও লক্ষ্মণের সহিত আমার আগমন-বার্ত্ত নিবেদন কর । পরে নন্দিগ্রামে গিয়া আমার ভ্রাতা ভরতের সহিত সাক্ষং করিয়া ভার্য্যা সাঁতার, লাত লক্ষ্মণের এবং আমার কুশল সমাচার বল গিয়া। তথায় সীতাহরণ, রাবণবধ ইত্যাদি বিবিধ বিবরণ ক্রমে ক্রমে বলিও রামু, সকল শত্রগণকে নিহত করায় কৃত, কার্য হইয়া সীতা, লক্ষ্মণ, ভুল কশ্রেষ্ঠ ও বানরশ্রেষ্ঠ গণের সহিত উপস্থিত হইতেছেন” । তথায় এই সকল বৃত্তান্ত বলিয়া ও ভরতের সমস্ত চেষ্ট জানিয়; শীঘ্র পুনরায় আমার সন্নিধানে আগমন করিবে ; পবননন্দন হনুমান, “ ষে আঞ্জ, বলিয়া তখন মনুষ্য-দেহ ধারণপূর্বক বায়ুবেগে শ্রেষ্ঠ সর্পগ্রহণে অভিলাষী গরুড়ের নায় বেগে ক্রতগতি নন্দিগ্রাম অভিমুখে গমন কলি । পবননন্দন শৃঙ্গলের পুরে গমনপূর্বক গুহের নিকট উপস্থিত হইয়াঙ্গষ্টচিত্তেমপুর বাক্যে বলিল ;– “তোমার সণ ধর্ম্মাত্মা শ্রীমান দাশরথি রাম, সীতা ও লক্ষণের সহিত কুশলে আছেন, তিনি, তোমাকে কুশল সংবাদ দিয়াছেন । রাঘব অদ্য ভরদ্বাজ মুনির অনুমতি লইয়া এখানে আসিবেন, তখন তুমি রঘুবর দেবকে দেখিতে পাইবে ” মহাতেজ। মহাবেগ পবন-তনয় রোমাঞ্চিত কলেবর গুহকে এই কথা বলিয়। বায়ুবেগে লম্ফ প্রদান করিল ! হনুমান, রাম তীর্থ ও মহা নদী সরস্ব দর্শন করিল ; তাহ পার হইয়া অযোধ্যা হইতে এক ক্রোশমাত্র ব্যবধান নন্দিগ্রামে আনন্দে গমন করিল। তথায় দেখিল কাতর-ভাবাপন্ন শীর্ণদেহ ফল-মূল, ভোজী রাম-চিন্তা-পরায়ণ জটিল ভরত চীর কৃষ্ণজিন ও বঙ্গল পরিধান করিয়া আশ্রমে অবস্থিত ; সংস্কার অভাবে তাহার অঙ্গে পঙ্গের ন্যায় মল হুইয়াছে ; শ্রীরামের পাদুকাযুগল সম্মুখে রাখিয়া পৃথিবী শাসন করিতেছেন, কাযায়-বসনধারী প্রধান প্রধান পুত্রবাসী ও মন্ত্রিগণে পরিবৃত ; সাক্ষাৎ মূর্ত্তি, মান ধর্ম্মের স্তায় অবস্থিতি করিতেছেন। পবন. নন্দন হনুমান কৃতাঞ্জলিপুটে তাহাকে এই কথা বলিলেন ; “ককুৎস্থবংশে উৎপন্ন আপনি দণ্ডকারণ্যে অবস্থিত যে তপস্বী রামকে চিস্ত করিতেছেন, ও