পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/২২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লঙ্কাকাণ্ড । বিবর্ণ শোকবিহবলা জননীর নিকট উপস্থিত হুইয়া প্রণমি পূর্বক তদীয় চরণ বদনা করিলেন ; তাহাতেই কৌসল্যা প্রসন্নচিত্ত হইলেন । রাম, কৈকেয়ী ও সুমিত্র প্রভৃতি অন্যান্ত মাতৃগণকেও প্রণাম করিলেন। ভরত, সেই মুপুজিত ঐরামের পাদুকা-যুগল, ভক্তিভাবে রাম-চরণে পরাইয়া দিলেন এবং বলিলেন;–“এই রাজ্য আমার নিকট গচ্ছিত ছিল, আমি ইহা তোমাকে ফিরত দিলাম। প্রভু হে ! তোমাকে যে আমি অযোধ্যাতে পুনরাগত দেখিলাম, তাহাতেই আজ আমার জন্ম সফল হইল ; মনোরথ পূর্ণ হইল। হে জগৎপ্রভো! তুমি তোমারই তেজে, অন্নাদি-স্থাপন গৃহ, সৈন্ত এবং কোশাগার দশগুণ বাড়াইগাছি, এখন আপনি নিজ-রাজ্য পালন করুন” । ভরত এই কথা বলিতে. ছেন দেখিয়া সকল বানর-শ্রেষ্ঠগণ আনন্দাশ বিসর্জন করিল ; এবং আনন্দে ভরতের প্রশংসা করিতে লাগিল । অনন্তর সৃষ্টচিত্ত রাম, ভরতকে আপন ক্রোড়ে, রাখিয়াই সেই বিমান যোগে স্তরতের আশ্রম গমন করিলেন । তখন দেস দাম, বিমানশ্রেষ্ঠ পুষ্পক হইতে ভূতলে অবতরণপূর্বক ঐ পুপকুকে বলিলেন;–“যাও ; বৈশ্র বণকে বহন কর গিয়া; আমি অনুমতি দিতেছি, তুমি ধনপালক কুবেরের নিকট গমন কর ইন্দ্র যেমন, বৃহস্পতির চরণকমলে প্রণাম করেন, সেইরূপ, রাম, TB BBBS BBB BBB BBB BBB BBB SBBB BBBB BBBBBS BBBS BBBBS BBBBS উত্তম আসন—বসিতে দিলেন ; অনন্তর আপনিও গুরুসমীপে উপবেশন করিলেন । চতুর্দশ অধ্যায় সমাপ্ত । পঞ্চদশ অধ্যায় অনন্তর, কৈকেয়ী-পুত্র ভরত, ভক্তিভাবে মস্তকে অঞ্জলি স্থাপনপূর্বক জ্যেষ্ঠভ্রা কেবলিলেন ; ধরা ! আপনি আমার মাতার সম্মান রক্ষা করিয়াছেন-- আমাকে আপনি রাজ্য দান করিয়াছেন ; তবে আপনি যেমন আমাকে দান করিয়াছিলেন, সেইরূপ আমিও আপনাকে দান করিতেছি ;" এই বলিয়। ইমচরণে সাষ্ট্রক্স প্রণত হইয়া রাম যাহাতে রাজ্য গ্রহণ করেন, দ্বিষয়ে কৈকেয়ী ও বসিষ্ঠের সহযোগে বিবিধরপে অকিঞ্চন করিলেন । মায়াবলম্বনে মানব-নীলা প্রাপ্ত ঈশ্বর “আচ্ছ” বলির ভরত হইতে সমগ্র রাজ্যভার গ্রহণ করিলেন । মুখ ও চৈতন্য যাহার বাস্তবিক স্বরূপ, যে পরমাত্মার মূর্ত্তিই t | | | | | | Ꮌ8☾ সর্ব্বোত্তম আনন্দ এবং যিনি আত্মাতেই পূর্ণ মুখ অনুভব করিতেছেন,—সেই জগদীশ্বরের এই মনুষ্যরাজ্যে প্রয়োজন কি যাহার ভ্রভঙ্গিমাত্রে ক্ষণমধ্যে ত্রিলোক বিনষ্ট হয় ; যাহার অনুগ্রহমাত্রে দরিদ্রের ইশ্রতুল্য সম্পত্তি হয় ; অবলীলাক্রমে কোটি কোটি ব্রহ্মাণ্ড-ভ্রষ্ট৷ সেই রমাপতির পক্ষে এই মনুষ্য-রাজ্য কতটুকু জিনিষ। তথাপি তিনি নিত্য ভক্তগণের মনোরথ পুরণেচ্ছায় লীলা-মনুষ্য-শরীরে সকল ব্যব. হার অনুসারেই চলিয়া থাকেন। অনস্তর শক্রন্থের আদেশে উৎ কৃষ্ট নাপিত এবং ঐরামের অভিষেচনিক দ্রব্য সামগ্রী আনীত হইল। ভরত, মহাত্মা লক্ষ্মণ, বানররাজ মুগ্রীব ও রাক্ষস রাজ বিভীষণ প্রথমে স্নান করিলে, তৎপরে রাম জটাপরিষ্কার করিয়া স্নান করিলেন। অনস্তর, মহাৰ্ছবসন বিচিত্রমাল্য ও বিচিত্র অনুলেপন ধারণপূর্ব্বক এবং সুষম সমুজ্জ্বল হইয়।তথায় অবস্থিত হইলেন । মহামতি ভরত, রাম লক্ষ্মণের বেশভূষা করিয়া দিলেন, আর রাজপত্নীগণ মহাৰ্হ বস ও আভরণে সুমধামা সীতাকে অলঙ্কত করিলেন। অনস্তর, পুত্রবৎসল শোভনা কেীসল্যা সৃষ্টচিত্ত্বে সকল বানর. পত্নীগণেরই বেশবিভূষা সম্পাদন করিয়া দিলেন । অনস্তর, মুবুদ্ধি মুমন্ত্র, শত্রুদ্ধের আদেশে সূর্য্যসন্নি স্তমান লইয়া তাহাতে অশ্বযোজনাপূর্ব্বক সম্মুখে উপস্থিত হই ল, তখন সত্য-ধর্ম্ম পরায়ণ রাম, এবং বিভীষণ স্নানাস্তে দিব্য-বসন ভূষণে শোভিত হইয়া ব্লথ, অশ্ব ও হস্তী আরোহণে রামের অগ্রে ও পশ্চাতে গমন করিল। সুগ্রীব পত্নীগণ ও সাত,শিবিকা. রোহণে মহতী অযোধ্যা নগরীতে গমন করিলেন । যেমন ইন্দ্র হরিত-বর্ণ অশ্ব চালিত রথে অবস্থিতি করত দেবগণে পরিবৃত হইয়া গমন করেন ; সেইরূপ রাম রথারূঢ় হইয়া মহানগরীতে মন করিতে লাগি, লেন। ভরত, রামের সারথা করিতে লাগিলেন ; মহাদু্যতি শত্রুঘ্ন রত্ন-দণ্ড-সম্পন্ন শ্বেতচ্ছ এবং লক্ষ্মণ, তালবৃন্ত গ্রহণ করিলেন ; শত্রুমুদ সুগ্র1র সমী পন্থ হইয়৷ চামর ব্যজন করিতে লাগলে , রাক্ষসরাজ বিভীষণ সমীপস্থ হইয় চ দশ শ্বেতবর্ণ অপর এক চামর গ্রহণ করিলেন ! দে গণ, সিদ্ধগণ এবং দিব্য-দর্শন ঋষিগণ,শ্রীরামকে স্ত করতে লাগিনে;তৎকালে সেই স্তবের মধুঃ-শ দ সকলের শ্রীতিগোচর হইয়াছিল। বানরগণ মনুষ্যত্বপ ধারণ করিয়া হস্তী আরোহণে গমন করতে লাগিল। রঘুবরভেরী, শঙ্খ, মৃদঙ্গ, পণব ও পটহ প্রভৃতি বাদ্যধ্বনি