পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/২৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উত্তরকাণ্ড । করিয়াছেন; ইহা গোপনীয় ; অধ্যাক্স রামায়ণ পাঠ করিলে, ধন, ধান্য,সমৃদ্ধি, দীর্ঘ আয়ুং, আরোগ্য এবং উত্তম পুণ্য লাভ হয় । মনুষ্য, সমাহিতচিত্তে ভক্তিসহকারে ইহা শ্রবণ করলে, অথবা আনন্দিতচিত্তে ভক্তি-সহকারে পাঠ করিলে, সকল মনোভীষ্ট লাভ করিবে এবং ক্ষণমধ্যে কোটি কোটি পাতকরাশি হইতে মুক্ত হইবে। যে ব্যক্তি, পবিত্রভাবে রামাভিষেক কথা শ্রবণ করবে, সে যদি ধনভিলাষী হয়,তাহ হইলে প্রচুর ধন প্রাপ্ত হইবে। আর আদি হইতে রামায়ণ পাঠ করলে, পুত্রাভিলাষী ব্যক্তি,শিষ্ট সম্মত পুত্র লাভ করিবে । যে রাজা আধ্যাত্ম:রামায়ণ, সংহিত শ্রবণ করে, সেই নরপতি সমৃদ্ধি পূর্ণ পৃথিবী শজ্য প্রাপ্ত হয়, রিপূগণের অজেয় হইয়৷ শত্রুগণকে জয় করিতে পারে এবং দুঃখ-শূন্ত হইয়া বিজয়যুক্ত হয় । যে সকল রমণীগণ, অধ্যাত্মরামায়ণ-সংহিতা শ্রবণ করে, তাহার। জীবং পুত্র ও সম্মানিত হয় । যে রমণী,ভক্তিপূর্ব্বক এই কথা শ্রবণ করে,সে বন্ধ্য হইলেও মুরূপপুত্র লাভ করে । যে মানব, শ্রদ্ধাসহকারে ইহা শ্রবণ বা পাঠ করে, সে, কোপ-জয়ী মাৎসর্য্যহীন সকল সঙ্কট-জেতা ও নির্ভয় হইয়া রাখবের প্রতি ভক্তিসম্পন্ন ও মুখী হয় । যে সকল মনুষ্য, অধ্যাত্মরামায়ণ আদি হইতে শ্রবণ করে, তাহাদিগের প্রতি সমস্ত মুরগণ সন্তুষ্ট হন, তাহাদিগের সকল বিস্তুরাশি বিদরিত হয়, এবং সকল উংকৃষ্ট সম্পত্তি লাভ হয় । ঋতুমতী স্ত্রী যদি স্নানন্তে শ্রীরামে একাগ্রচিত্ত হইয়৷ এই রামায়ণ ;– আদি হইতে শ্রবণ করে ; সে, শ্রেষ্ঠ দীর্ঘায়ু পুত্র প্রসব করে এবং পতিব্রত ও লোক পূজিত হয়। যাহারা নিত্য নিত্য এই পুস্তক পূজা করিয়! প্রণাম করে, তাহার নিখিল-পাপ। মুক্ত হই । বিষ্ণুর পরম পদ প্রাপ্ত হয়। যাহার সম্পূর্ণরূপে অধ্যাত্ম-রামায়ণ ভক্তিপূর্বক শ্রবণ করে ব{ নিজমুখে করে, রাম, তাহাদিগের প্রতি প্রসন্ন হন । রামই পরব্রহ্ম, সেই অখিলাত্মা সন্তুষ্ট হইলে, ধর্ম্ম, অর্থ, কাম ও মোক্ষের মধ্যে যাহ যাহা ইচ্ছা করিবে, তাহাই হইবে । এই মায়ণ নিয়মপূর্বক সম্পূর্ণরূপে শ্রবণ করিবে । তাহাতে আয়ুপদ্ধি, মারোগ্য এবং কোটি-কল্পেীপার্জিত-পাপ-শাস্তি হয় ; রামায়ণ শ্রবণ করিলে সকল দেবত, সকল গ্রহ, সকল মহর্ষি এবং সকল পিতৃলোক সন্তুষ্ট হন । যে সকল মনুষ্য, বৈরাগ্য ও বিজ্ঞান-যুক্ত পুরাতন এই অদ্ভূত অধ্যাঞ্চ-রামায়ণ পাঠ, শ্রবণ বা লিপিবদ্ধ করে ; এই সংসারে তাহ S శివ দ্বিগের পুনর্জন্ম হয় না। ভূতনাথ ভব, বারংবার নিখিল বেদরাশি আলোড়ন করিয়া জানিয়াছেন, "শ্রীরাম, বিষ্ণুর রহন্ত মুক্তি"। তিনি উপনিষং সকলের মর্ম্ম সংগ্রহ করিয়া ঐরামের এই সমস্ত নিগঢ়তত্ত্ব সংক্ষেপে ও সুম্পষ্টরুপে প্রিয়া সন্নিধানে ব্যক্ত করেন । ষোড়শfধ্যায়ে লঙ্কাকাণ্ড সমাপ্ত উত্তর কাও প্রথম অধ্যায় । O রঘু-বংশ-তিলক, কেীসল্য-সৃদয়-নন্দন রাবণহস্ত পুণ্ডরীকাক্ষ দাশরথি রাম জয়যুক্ত হউন। পার্ব্বতী বলিলেন;–“অনস্তর ক্ষেীসল্যার আনন্দ-বৰ্দ্ধন ভীম-পরাক্রমু রাম, যুদ্ধে রাবণ প্রভৃতি রাক্ষসগণকে বধ করিয়া তাহার পর কি করিলেন ? পরমাত্মা সনাতন দেব রাঘব, মায়া-মনুষ্যরূপে অভিষিক্ত হইয়া লীলাক্রমে সীতার সহিত কত বৎসর ভূতলে অবস্থিত ছিলেন ? রঘুবর অস্তে কিরূপে মনুষ্যদেহ ত্যাগ করিলেন ? হে ভগবন! আমি ইহা শুনিতে শ্রদ্ধাবতী ৷ প্রভু হে ! আমার নিকট ইহ ব্যক্ত করুন। রামচন্দ্রের কথামৃত আ স্বাদন করিয়৷ আমার অতীব তৃষ্ণ বৃদ্ধ হইতেছে ; হে ভগবন! ক্রমে সবিস্তারে ইহ। বলুন।" শ্রীমহাদেব বলিলেন ;—শ্রীরাম রাক্ষস বধ করিয়া রাজ্যে উপস্থিত হইলে সকল মুনিগণ, ঐ4ামকে বদন করিবার জন্য আগত হইলেন। বিশ্বামিত্র, অসিত, ক, দুর্ব্বাসা ভূ গু, অঙ্গিরাঃ, কগুপ, বামদেব, অত্রি, নির্ম্মল সপ্তর্ষিগণ * এবং সশিষ্য অগস্ত্য, মুনিগণ সমাভব্যাহাধে উপস্থিত হইলেন । অগস্ত্য, ক্রামের দ্বারদেশে উপস্থিত হইয়া দ্বারপালকে বলিলেন;–“রামকে বল,— অগস্ত্য প্রমুখ সকল মুনিগণ, আশীর্ব্বাদ দ্বারা আপনাকে অভিনন্দন করিতে অtfসয়া দ হর্দেশে দণ্ডায়মান আছেন" অনস্তর, দ্বারপাল, অগস্ত্য-বাক্যে দ্রুতগতি প্রভু রামের নিকট গিয়া প্রণামপূৰ্পক কৃতাঞ্জলিপুটে সবিনয়ে বলল ;–“দেল ! অগস্ত্য ইহা বলিয় দিয়াছেন যে, আপনার দর্শনাকাজক্ষয় মুনিগণ সমভিব্যাহারে অগস্ত্য, তা দিয়! বহির্দেশে মন্থন্তর ভেদে সপ্তধি ভিন্ন ভিন্ন । সেই খন্তরের সপ্তর্ষিগণ ।