পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/২৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లిం দণ্ডায়মান” । রাম দ্বারপালকে বলিলেন ;—যথা মুখে তাহাদিগকে প্রবেশ করিতে দেও’ ৷ অনস্তর, ঋষিগণ সসম্মানে বিবিধ-রত্ন ভূষিত ভবনে প্রবেশ করিলেন রাম, মুনিগণকে দর্শন করিবামাত্র কুতপ্ললিপুটে সত্বর প্রত্যুথান করিলেন ও যথাবিৰি পাদ্য অৰ্ঘ্যাদি দ্বারা স্তহাদিগের পূজা করিয়া মধুপৰ্কে গে নিবেদন করিলেন । অনন্তর প্রণাম করিয়া যথাযোগ্যভাবে তাহাদিগকে দিব্য আসন সকল দিলেন । রামপুজিত মুনিগণ, স্পষ্টচিত্তে উপবেশন করিলে শ্রীরাম সকলকেই কুশল জিজ্ঞাসা করিলেন, পরে তাহার রামকে কুশল জিজ্ঞাসা করিলেন ;—"হে মহাপহু । রাম ! তোমার সর্বত্র কুশল ত ? হে শত্র দমন ! মাম। আজ ভাগ্যক্রমে তোমাকে শত্রু বধ করিয়া সমাগত দেখিতেছি। রাম ! সেই রাক্ষসরাজ রাবণ তোমার পক্ষে ভার নহে ; তুমি শরাসন গ্রহণ করিলে ত্রিলোক জয় করিতে সমর্থ। ভাগ্যক্রমে তুমি রাবণ, প্রভৃতি সকল রাক্ষসগণকে নিহত করিয়াছ । হে মহাবাহু ! বরং এই রাবণ বধ সাধ্য ; কিন্তু এই যে ইন্দজিদ্বধ হইয়াছে, তাহ অসাধ্য সাধন। হে রঘুবৰ ! অস্তকোপম কুস্ত. কর্ণাদি, যুদ্ধস্থলে তোমার অস্তক-সদৃশ শরা ঘাতে নিহত হইয়াছে। তুমি পুর্ব্বেই আমাদিগকে এই অভয় দান করিয়াছিলে। সেই অভয় দল সফল হইয়াছে । রণক্ষেত্রে রাক্ষসগণকে নিহত করিয়া আজ কুতকার্য্য হইয় পাচিলে।” ভাবিতয়া ঋষিগণের কথা শুনিয়া রাম পরম বিস্ময়াপন্ন হুইলেন এবং কৃতাঞ্জলিখুটে জিজ্ঞাসা করিলেন ;– "রাবণ প্রভূতিকে অতিক্রম করিয়া ত্রিলোক-বিজয়ী কুম্ভকর্ণ প্রভৃতি রাক্ষসগণকে ত্যাগ করিয়া ইন্দ্রজিতের প্রশংসা করিতেছেন কেন ?’ মনস্তর মহাতেজ কুস্তযোনি অগস্ত্য, মহাত্মা রাঘবের সেই বাক্য শ্রবণ করিয়া প্রীতি সহকারে বলিলেন ;– “রম । রাবণ এবং ইন্দ্রজিতের জন্ম, কর্ম্ম ও বরগ্রহণ সম্বন্ধে যাহা হইয়াছিল, আম সজেক্ষপে তাহা বলিতেছি, শ্রবণ কর । রাম । পূর্ব্বে সত্য. যুগে, ব্রহ্মার পুত্র বিদ্বানু মহামতি পুলস্থ্য, তপস্থা করিবার জন্য মুমেরু-পার্থে গমন করিয়াছিলেন । এই মহাতেজ মুনিশ্রেষ্ঠ তৃণবন্দুর আশ্রমে অবস্থিতি করিলেন এবং সর্ব্বদা স্বাধ্যায়-নিরত হইয়া তপস্যা করিতে লাগিলেন । সেই মহারমণীয় আশ্রমে দেবকুন্তা ও গন্ধর্ব্বকস্তাগণ নৃত্যগীত বাদ্য ও হাস্য পর , করিত ; এইরূপে সেই সকল অনিন্দিত রমণীগণ পুলস্ত্যের তপোবিশ্ন করিতে লাগিল। তখন অধাতু-রামায়ণ । মহাতেজ পুলস্ত্য কুপিত হইয়া এই মহৎ বাক্য বলিলেন;–“যে আমার দৃষ্টিপথে পতিত হইবে, সে তৎক্ষণাং গর্ভবতী হইবে ।” তাহারা সকলে সেই অভিশাপে উদ্বিগ্ন হইয়া সেই স্থানে আর আসিত না । কিন্তু রাজর্ষি তৃণবিন্দুর কন্যা সেই বাক্য শ্রবণ করে নাই ; নির্ভয় ভাবে মুনিকে অবলোকন করত তাহার সম্মুখ ভাগে বিচরণ করিতেছিল, তৎক্ষণাৎ তাহার শরীর পাণ্ডুবর্ণ হইল এবং গর্ভের লক্ষণ স্পষ্ট প্রকাশ পাইল । তৃণবিন্দুতনয়। শরীরের বিবর্ণত অবলোঁ ক্ষন করিয়া সভয়ে পিতৃ-সমীপে গমন করিল। তামততেজা রাজর্ষি তৃণবিন্দু, তাহকে অবলোকন করিয়া ধ্যানযোগে জ্ঞাননেত্রে পুলস্তা-কুত সকল ব্যাপার জানিতে পারি, লেন। তখন পিতা তৃণবিন্দু, মুনি বর পুস্ত্যকে সেই কন্যা দান করিলেন । দ্বিজ পুলস্থ্যও সেই কন্যা প্রতিগ্রহ করিয়া বলিলেন “ভাল।" মুনি পুলস্ত্য তাহাকে শুশ্রষাপরায়ণ দেখিয়া প্রীতিসহ করে বলিলেন;–“মাতৃপিতৃ কুলের বংশধৰ্দ্ধন এক পুল তোমাকে প্রদান করিব । পরে তৃণবিন্দু মন্দিনী পুলস্ত্য-সংসর্গে এক লোক-প্রসিদ্ধ পুল প্রসব করি. লেন। সেই পুলস্ত্য-সন্তু ত ব্রহ্মজ্ঞ মুনি বিশব" নামে বিখ্যাত হন । বিশ্রণীর স্ব ভ{লচরিত্রাদি দেখিয়া মহামুনি ভরদ্বাজ তাহা ভার্য্য করিবার জন্য নিজ দুহিতাকে আনন্দে তদীয় হস্তে সমপণ করেন । পুলস্ত্য-পুলের ঔরসে তদীয় গর্ভে লোক-সম্মত এক পুল উৎপন্ন হন । বৈশ্রবণ, পিতৃ তুল্য ও ব্রহ্মার অনুমোদিত ব্যক্তি । রক্ষা তদীয় তপস্যায় সন্মষ্ট হইয় তাহার মনোভি. লষিত সম্পূর্ণ ধমাধ্যক্ষত রূপ শুভবর প্রদান করেন। অনস্তর, কুবের, বরলাভে ধনাধ্যক্ষ হইয়া ব্রহ্মার প্রদত্ত সমুজ্জ্বল পুপক বিমান যোগে পিতাকে দেখিতে আসিলেন । পরে পিলকে নমস্বার করিয়া তপস্যার ফল নিবেদন করিলেন এবং বলিলেন ;–“ভগবন পরমেশ্বর ব্রহ্মা তামাকে উৎকৃষ্ট বর দান করিয়াছেন ; কিন্তু বাসস্থান নির্দেশ করিয়া দেন নাই ; যেখানে কাহারও হিংসা না হয়, নিয়ত-রাসের এমন কোন স্থান রলিয়া দিন” । 'বিশ্রবাও র্তাহাকে বলিলেন ;–“eঙ্গানামে এক উত্তম নগরী আছে ; রাক্ষসগণের নিবাস{র্থ বিশ্বকর্ম্ম তাহ নির্ম্মাণ করিয়াছিলেন । তাহার অধিবালী রাক্ষসগণ বিষ্ণুভয়ে সেই নগরী পরিত্যাগ করিয়া রসাতলে প্রবেশ করিয়াছে ; সাগর মধ্যে অবস্থিত সেই নগরী অপরের দুরাক্রমণীয়। তুমি