পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/২৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ర్చి সন্তাপ পরিত্যাগ কর এই বলিয়া দশানন, ইষ্ট । সিদ্ধির জন্তু দুষ্কর তপস্যা করিতে অনুজস্বয় সমভিব্যাহারে গোকর্ণ-তীর্থে আগমন করিল । সেই ভ্রাতৃত্রয়, নিজ নিজ নিয়ম অবলম্বন পূর্বক ঘোরতর দুষ্কর মহাতপস্যা করিতে আরস্তু করিল ; তাহাতে সমস্ত লোক অত্যন্ত সন্তাপযুক্ত হইয়াছিল। কুস্তকর্ণ দশ সহস্ৰ বৎসর তপস্যা করিয়াছিল ; সত্যধর্ম্ম-পরায়ণ ধর্ম্মক্ষ্মা বিভীষণ, পঞ্চসহস্ৰ বৎসর এক পাদে অবস্থিত হইয়। তপস্যা করিলেন । আর | দশানন নিরাহার হইয় দশ সহস্ৰ দিব্য বং সর তপস্যা করিয়াছিল দশানন এক এক সহস্ৰ বৎসর পূর্ণ হুইত, অমনি এক একটি মস্তক অগ্নিতে আহুতি দিত ; এইরূপে চাহাব নয়টা সহস্র" বৎসর অতিক্রাস্ত হইল অনস্তুর রাবণ দশম সহস্ৰ বংসরে দশম মস্তক ছেদন করিতে অভিলাষী হইলে, ধর্ম্মাত্মা ব্রহ্মা তাহার সমীপে উপস্থিত হইলেন এবং “বংস ! বৎস! দশগ্রীব "আমি স্ত্রীতি হইয়াছি ; লর প্রার্থনা কর, তোমার যাহা অভিলষিত, আমি তাহা প্রদান করিব' ; এই কথা বলিলেন । দশগ্রীবও তাহা শুনিয়া হ'ষ্টচিত্তে বলিল ;–“হে ঈশ্বর । যদি আপনি আমাকে বর দানে উদ্যত হইয়া থাকেন, তাহা হইলে আমি অমরত্ব প্রার্থনা কবি ; এই বর প্রদান করুন, আমি যেন সুরাসুর, সুপর্ণ নাগ ও যক্ষগণের অবধ্য হই ; মনুষেরা ত তৃণ তুল্য অগ্রাহ, তাহাদিগের কথা আর কি বলিব ? প্রজাপতি “তথাস্ত" লিয়ঃ পুনরায় দশাননকে বলিলেন ;–“হে সাক্ষস শ্রেষ্ঠ ! তুমি ষে সকল মস্তক অগ্নিতে আহুতি দিয়াছ, তাহ পূর্ব্ববৎ হইবে এবং হে সাধক-শ্রেষ্ঠ তাহ অক্ষয় হইবে" । হে রাম! ভক্তবৎসল প্রজাপতি দশাননকে এই কথা বলিয়া অনন্তর, প্রণত বিভীষণকে বলিলেন;– “বংস বিভী ষণ ! তুমি ধর্ম্মে জন্তু উত্তম তপস্ত করিয়াছ। অত: এব হে বখস । অভিলষিত হিতজনক বর প্রার্থনা কর" । বিভীষণও পুনরায় তাহাবে নমস্কার করিয়া কৃতাঞ্জলিপুটে এই কথা বলিলেন;–“হে দেব ! আমি যত দিন জীবিত থাকিব, ততদিন আমার বুদ্ধি যেন নিরস্তুর ধর্ম্মে রত থাকে, কোন সময়ে কোন কালে যেন অধর্ম্মে নিরত না হয় “ অনস্তর, প্রজাপতি প্রীত হইয়া বিভীষণকে বলিলেন;–“বৎস! তুমি বর্তমানেও ধর্ম্মশীল, ভৰ্ষ্যিতেও এইরূপ থাকিবে হে | বিভীষণ! তুমি প্রার্থন না করিলেও আমি তোমাকে । অমৰত্ব প্রদান করিতেছি ? অনস্তর কুত্ত্বকর্ণকে ! বললেন;–“হে মুত্রত ! বর প্রার্থনা কর " তখন ' অধাত্ম-রামায়ণ কুম্ভকর্ণ দুষ্ট সরস্বতীকর্তৃক আক্রান্ত হইয়া পিতাম হকে বলিল ;–“দেব ! আমি ছয়মাস নিদ্র। যাইব ; আর এক দিন আহার করিব" । ব্রহ্মা অলক্ষ্যে সমাগত দেবগণের প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া তাহাকে বলিলেন;–“তথাস্ত্র” । তখন সরস্বতী, তাহার মুখ হইতে নির্গত হইয়। স্বর্গে গমন করিলেন। দুষ্টাত্মা কুম্ভকর্ণ দুঃখিত হইয়া চিন্তা করিতে লাগিল ; "হা অদৃষ্ট ! আমার এইরূপ বর অভিপ্রেত না হইলেও মুখ দিয়া নির্গত হইল কেন ?" সুমালী, দৌহিত্র— সেই সমস্ত রাক্ষসগণ ধর পাইয়াছে জানিয়া প্রহস্তদির সহিত নির্ভয়ে পাতাল হইতে রাবণ সমীপে গমন করিল ; এবং দশাননকে আলিঙ্গন করিয়া এই কথা বলিল ;–“বৎস ! আমি যাহ মনে মনে অভি. লাষ করিতাম, ভাগ্যক্রমে তাহা তোমার সফল হইয়াছে; যাহার ভয়ে আমরা লঙ্গ পরিত্যাগ করিয়া রসাতলে গিয়াছিলাম, হে মহাবাহু ! সেই বিষ্ণুসস্তুত মহাভয় আমাদিগের দূর হইয়াছে । আমরাই পূর্ব্বে এই লঙ্কাতে বাস করিতাম, এক্ষণে তাহ। তোমার ভ্রাতা ধনপতির অধীন ; এখন ভাল কথায় না হয়, বলপূর্ব্বক তোমার তাহা আচ্ছিন্ন করিয়া লওয়া উচিত হইতেছে ; রাজাদিগের আবার সুন্সং, বন্ধু কেথায় ?" এইরূপ কথিত হইয়া রাবণ বলিল ; —“এইরূপ বলা আপনাদিগের উচিত হইতেছে ন; ; ধনাধ্যক্ষ আমাদিগের গুরু !" এইরূপ শুনিয়া প্রহস্ত দশগ্রীব রাবণকে সবিনয়ে এই কথা বলিল ;– “রাবণ ! যত্নসহকারে আমাদিগের কথা শুন ; এরূপ বলা তোমার উচিত হইতেছে না; বোধ হয়, তুমি রাজধর্ম্ম এবং নীতিশাস্ত্র অধ্যয়ন কর নাই । দেবগণের ভ্রাতৃ-সৌহার্দ নাই ; প্রভো! আমি যাহা বলিতেছি, তাহ৷ শ্রবণ কর । মহাবল রাক্ষস ও দেবতাবৃন্দ সকলেই কণ্ঠপের পুত্র ; তাহার পরম্পর সৌহৃদ্য পরিত্যাগ করিয়া অস্থদ্বারা যুদ্ধ করিয়াছিল। বিশেষতঃ রাজনৃ! দেবগণ নূতন আমাদিগের সহিত ক্রতাচরণ করে নাই।" দশানন দুরাত্মা প্রহস্তের কথা শুনিয়। “আচ্ছ।” বলিয়া কোপারুণিত-লোচনে ত্রিকুট-পর্ব্বতে গমন করিল এবং প্রহস্তকে দূত পাঠাইয়। কুবেরকে নিষ্কাশিত করিয়া দিল। অনস্তর লঙ্কা অধিকার করিয়া দশানন, মন্ত্রী ও রাক্ষসগণের সহিত তথায় মুখে অবস্থিতি করিতে লাগিল। মহাযশা ধনেশ্বর, পিতৃ-বাক্যে লস্ক পরিত্যাগপুর্ব্বক কৈলাসশিখরে গমন করিয়া তপস্তাদ্বারা শিবকে সন্তুষ্ট করিলেন ; অনন্তর তাহার সহিত সখিত্ব হইলে, র্তাহারই আশ্রয়ে কৈলাস পর্ব্বতে বিশ্বকর্ম্মাদ্বারা অলকা t