পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/২৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

खेडद्रकां७ সমস্ত কার্য্য নিবেদন করিলেন হে নৃপ! কিষ্কিন্ধা তদবধি বানরগণের আশ্রয়-স্থান হইয়াছে। তুমি সকলের ঈশ্বর , এখন ব্রক্ষার প্রার্থনায় লীলা মানুষ শরীর ধারণ পূর্বক—সম্পূর্ণরূপে ভূভার' शह१ कब्रिग्नाइ, সর্ব্বভূতের অন্তরে অবস্থিত নিত্যমুক্ত বিস্ময়.পরিপূর্ণ আনন্দ স্বরূপ তোমার ; কাল প্রতীক্ষা কর, পরে মুখী হইবে।” মহামুনি, পক্ষে এই পরাক্রম প্রকাশ কতটুকু কাজ ? : এই কথা বলিয়া পুনরায় তাহাকে বলিলেন;– δS)& সমস্ত কথা শুনিয়; রাবণ চষ্টচিত্ত্বে চিস্তা-পরায়ণ হইল ;–“আমি কি রূপে শ্রীহরির সহিত যুদ্ধ করিব ?" মহামূমি, রাবণের মনোগত অভিপ্রায় s অবগত হইয়া বললেন ; “বং ন! তোমার অভীষ্ট সিদ্ধ श्ट्रेट्द ;—সন্দেহ नाई দশানন । কিছু তথাপি লোকসকলের পাপ নাশ ও মুখের জন্তু । সাধু গণ লীলা-মনুষ্য-রূপী তোমার যশ কীর্ত্তন । করিয়া থাকেন। যে মনুষ্য, বালী ও সুগ্রীবের । .* মহং জন্ম বৃত্তান্তু কীর্ত্তন করে, ইহাদিগের । জন্ম তোমার উপকারার্থ বলিয়া স ব্যক্তি, সকল আধার অনন্তরূপী। সর্ব্বদেব, সকল সমুদ্র, কাল, পাপ হইতে মুক্তি লাভ করে ; রাম! ইহার পর । তোমা ঘটিত অন্ত এক কথা বলিতেছি, দুরাত্মা | রাবণ যে জন্য সীতা হরণ করে, ইহাতে তাহ প্রকাশ আছে । রাম ! পুর্ব্বকালে সত্য যুগে, দশানন, নির্জনে আসীন প্রজাপতি-নন্দন বিভু সনৎকুমারকে । অভিবাদন করিয়া সবিনয়ে বলিয়াছিল ;–“এই জগতে সর্ব্বশ্রেষ্ঠ কে ? দেবগণের মধ্যে প্রধান বল রান কে ? সাহাকে আশ্রয় করিয়া দেবগণ সমরে শত্র জয় করেন। দ্বিজগণ কাহার পূজা করেন । যোগি যাহা ছিল, সমস্ত সম্পূর্ণরূপে অবগত হইয়। তাহাকে বলিলেন;–“পুত্র ! বলিতেছি শ্রবণ কর; যিনি জগতের ভর্ত, সঁহার জন্মাদি নাই ; বিশ্ব স্ৰষ্ট-প্রজাপতিগণের স্বামী ব্রহ্ম যাহার নাভি-কমল । হইতে উদ্ধত, যিনি স্থাবর জঙ্গমাত্মক সকল জগং । s তদীয় ভক্তগণই হাকে দেখিতে সমর্থ। অথব: যদি পরমেশ্বরকে দেখিতে তোমার একান্ত ইচ্ছ সৃষ্টি করিয়াছেন, তিনিই সুরাসুরগণের নিত্যবন্দিত অব্যয় শ্রীহরি নারায়ণ | তুরগণ, তাহাকেই আশ্রয় করিয়া সমরে রিপুজয় করেন, যোগিগণ ধ্যান যোগে তাঙ্গারই জপ করেন” ; দশানন, মহর্ষির কথা শুনিয়া প্রত্যুত্তর করিলেন ;–“বিষ্ণু যে সকল মুনিবর! তাহারা কিরূপ গতি লাভ করে ?" মুনিবন্ধ “তিনি বস্তুতঃ নিরাকার হইলেও মায়াবলম্বনে ক্টtহার যে আকার হয়, তাহ বলিতেছি ; তিনি নখিল স্থাবর ও নদ-নদীতে বর্ত্তমান । তিনি ওস্কার, সত্য, 7) এবং পৃথিবী। তিনি সমস্ত জগতের স্বর্য্য, চন্দ্র, সূর্য্যোদয়, দিবা, রাত্রি, যম, বায়ু, অখি, ইন্দ্র, মৃত্যু, মেঘ, বসুগণ, ব্রহ্মা ও রুদ্র-প্রভৃতি সক লই তিনি। অন্যান্য দেয়দানবগণ ও তিনি। ইনিই তেজ প্রকাশ করেন, প্রজ্বলিত হন, বিশ্বরক্ষা করেন, সংহার করেন ও নাশ করেন। সেই অব্যয় এইরূপে ক্রীড়া করিয়া থাকেন । তিনিই সনাতন বিষ্ণু। এই মস্ত সচরাচর ত্রৈলোক্য তৎকর্তৃক পরিব্যাপ্ত । fাহর বর্ণ নীলকমলদলের হার খামল ; পরিধানে বিদ্যুৎসন্নিভ পাণ্ডবক্স ; তিনি বিশুদ্ধ সুবর্ণবরণী গণই বা কাহার ধ্যান করেন ? হে প্রশ্নভিজ্ঞ । শ্রেষ্ঠ ভগবন! আমাকে এই প্রশ্নের উত্তর দিন " | যোগ বলে সর্ব্বদশী সনৎকুমার দশাননের মনে । বামফ্রেড়ে অবস্থিত চিরসহচরী লক্ষ্মীদেবীকে অলিঙ্গন ও তাহার প্রতি কটাক্ষপাত করত অবস্থিতি করিতেছেন । দেবদানল পল্লগ কেহই উহাকে দেখিতে পায় না। তিনি যাহার প্রতি প্রসন্ন হন, সেই কেবল ইষ্ঠাকে দেখিতে সমর্থ হয় । নতুন যজ্ঞ, তপস্থা, দান ও অধ্যয়ন প্রভৃতি শত শত উপায় দ্বারাও ভগবানকে দর্শন করা যায় না । তদগত-চিন্তু বেদান্ত-জ্ঞানদ্বারা নির্ম্মল-দৃষ্টি নিষ্পাপ হইয়া থাকে ত শুন;—সেই দেবদেব হরি ; দেপত ও মনুষ্যগণের হিতার্থ নেতাযুগে ক্ষত্রিয় দেহু ধারণ পূর্ব্বক ইক্ষ কুকুলে দশরথ নন্দন মহাবল পরাক্রান্ত দৈতা, দানব ও রাক্ষসগণকে নিহত করেন, হে রামরূপে অবতীর্ণ হইবেন । সেই ধর্ম্মায়া পিঠ, নিয়োগে ভ্রাত ও জগজ্জননী নিজমায়ারূপিণী ভোগাবসানে পুনরায় তথা হইতে স্খলিত হইয়া । পূর্ব্ব উপার্জত পাপ পুণ্যে মৃত্যু ও জন্ম হইয়া থাকে। আর যাহারা বিষ্ণুকর্তৃক নিহত হয় । তাহারা মুক্তি লাভ করে।" মুনিবরের মুখে সেই i | | k | # রাক্ষস রাজ রাবণকে বলিলেন;–“দেবনিহত ব্যক্তি- ভার্য্যার সহিত দণ্ডকারণ্যে বিচরণ করবেন। রাবণ ! গণ, অনবরত সর্ব্বোত্তম স্বৰ্গ মুখ সন্তোগ করিয়া আমি সবিস্তারে তোমার নিকট এই সমস্ত কথাই বলিলাম। এখন, লক্ষ্মী-সমষ্টিত রামকে ভক্তিভাবে ভূতলে উৎপন্ন হয়; এবং তথায় তাহাদিগের ভজন কর "রাক্ষসরাজ মহাবল রাবণ ইহা শুনিয়; মনে মনে চিন্তা করত কিঞ্চি বিচার করিল এবং তোমার সহিত বিরোধ করিতে অভিলাষী হইয়ু তানদিত হইল এতকাল—যুদ্ধার্থ হইয়া সকলe; }