পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/২৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>8S অবস্থিত বলিয় জানিতে না পারবে, তাবৎ দেবরূপী চামকে নিজ-কর্ম্মানুষ্ঠান দ্বারা পূজা করিলে । সে প্যক্তি আত্ম-পরে, ভেদজ্ঞান করে, शृङ्ख भई डिब्ब ५ी बाक्किद्र छैठिक्कमक श्रेग्न। থাকে, সংশয় নাই । অতএব পরিচ্ছিন্ন সর্ব্বভুতে মপস্থি ই একরূপ আমাকে, অভিন্নবোধ জ্ঞানমূলক সম্মান-প্রদর্শন ও মিত্রতা দ্বারা পূজা করিবে । সুবুদ্ধি ব্যষ্টি, আমাকে জীবরূপে অবস্থিত শুদ্ধ চৈতন্য স্বরূপ জানিয়া নিরস্তুর মনদ্বারাই সর্ব্বভুতকে প্রণাম করিবে ! অতএব কখনই ঈশ্বর এবং জীবের লাভ করে । অতএব জনমি ! ভক্তিযোগে আমাকে সর্ব্বাস্তৃর্যামীরূপে বা পুত্র রূপে নিত্য স্মরণ করিলে শান্তিলাভ করিবে" কেসল্যা রামের কথা শুনিয়া করিয়া সংসার-বন্ধন ছেদন এবং ত্রিগুণগতি অতিক্রম করিয়া পরম পদ প্রাপ্ত হইলেন। কৈকেয়ীও রঘুপস্থি-কথিত যোগ পূর্দেই অবগত হইয়া শ্রদ্ধা ভক্তি সহকারে শাস্তভাবে মনে মনে রঘুতিলক প্লামকে চিন্তা করিতে করিতে প্রাণত্যাগ করিবার । శా- ు. তাপসকে প্রবেশ করাইলেন। স্বীয় তেজে দীপ্যমান পর *" গমন করেন । তথায় সমুজ্জ্বলভাবে দশবুথের সহ আমোদ প্রমোদ করত অবস্থিতি কবিলেন । অতি-বিশুদ্ধ-মতি দেবী লক্ষ্মণ জননীও ভর্তুসমীপে গমন করিলেন । সপ্তম অধ্যায় সমাপ্ত | অষ্টম অধ্যায়। শ্রীমহাদেব কহিলেন;–অনস্তর কিছুকাল অতিক্রান্ত হইলে, ভীম-বিক্রম ভরত, মাতুল যুধাজিংকর্তৃক গন্ধর্ব্ব বধের জন্য আহত হইয়া রামের আদেশে সৈন্যগণ সমভিব্যাহারে গমন করলেন । নিয়া তিনকোটি গন্ধর্ব্ব-শ্রেষ্ঠ বধ করিয়া সেই গন্ধর্ব্ব রাজ্যে দুইটী নগর স্থাপন করেন। তন্মধ্যে পুষ্করাবতী নগরীতে পুত্র পুষ্করকে এবং তক্ষশিলা নামক নগরে পুত্র তক্ষকে অভিষিক্ত করিয়া তাহাদিগকে ধনধান্য ও সহায়-সম্পন্ন করিয়া দিলেন। ভরত, তথা হইতে পুনরায় আগত হইয়া রামের সেবাকার্ধ্যে তৎপর হইলেন । অনন্তর রঘুবর, প্রীতি-সহকারে সাদরে সৌমিত্রিকে বলিলেন;–“সৌমিত্রি! তুমি স্বীয় পুত্রস্বয়কে সঙ্গে লইয়া পশ্চিম দিকে গমন কর । তত্রত্য অধ্যাত্ম-রামায়ণ অধিবাসী সর্ব্বাপকারী দুষ্ট ভিন্নগণকে পরাজিত করিয়া তথায় মহাবলপরাক্রান্ত অঙ্গদ ও চিত্রকেতুর দুইটী নগর স্থাপন কর। সেই নগরদ্বয়ে পুত্রদ্বয়কে হস্তী, অশ্ব, ও ধনে পরিবৃত করিয়া অভিষিক্ত কর । অনন্তর আমার নিকট পুনরাগত হইবে।” সৌমিত্র রামের আজ্ঞানুসারে গজার্শ্ব-বাহন সৈন্য সামস্তে পরিবৃত হইয় গিয়া সমস্ত শত্রু বধ করিলেন। অনস্তর তিনি পুত্রদ্ধয়কে স্থাপন করিয়া অযোধ্যায় প্রত্যাবর্ত্তনপূর্বক রাম-সেবনে নিরত হইলেন । তৎপরে বহুকাল অতীত হইলে সদা ধর্ম্মপথে অবস্থিত ভেদজ্ঞান কৰিবে না। মা! আমি ভক্তিযোগ ও রামরূপী নারায়ণকে দেখিবার জন্ত ঋষি-বেশ-ধারী জ্ঞানযোগের কথা বলিলাম । মনুষ্য, ఇ দুইটার কাল সমাগত হইলেন । মনস্তুর তিনি লক্ষ্মণকে মধ্যে যে কোন একটা অবলম্বন করিলেই শাস্তি : বলিলেন, “হে ধীমন্‌ ! পুরুষোত্তম রামের নিকট নিবেদন কর ; আমি ঋষিশ্রেষ্ঠ অতিবলের দূত ; তাহাকে দেখিতে আসিয়াছি। সেই মহৰ্ষির— রামের নিকট বহু-সময়-সাপেক্ষ কিছু বক্তব্য আছে । আনন্দিত হইলেন । সর্ব্বদা রামকে হৃদয়ে ধ্যান । সেীমিত্রি, তাহার সেই কথা শুনিয়া সত্বর রামের নিকট তপোধনের আগমন সংবাদ প্রদান করিলেন। লক্ষ্মণ সেই সমাচার প্রদান করিলে, শ্রীরাম, তাহাকে বলিলেন —“বৎস! মুনিকে সসম্মানে শাস্ত্র প্রবেশ করাও” লক্ষ্মণ “যে অজ্ঞা" বলিয়া ঘৃত-সিক্ত অনলের ন্যায় স্বীয় তেজে সমুজ্জ্বল সেই মুনি, রঘুবরের সমীপে উপস্থিত হইয় তাহাকে “উন্নত হও" বলিলেন । মনোভিরাম, রাম সেই মুনিকে যথাবিধি পূজা করিয়া অব্যগ্রভাবে কুশল প্রশ্ন করিলেন। অনন্তর মুনিও রামের কুশল জিজ্ঞাসা করিলেন। দিব্য আসনে আসীন শ্রীরাম, তাপসকে বলিলেন;–“আপনি যে জন্য এই স্থানে আসি য়াছেন, তাহা আমার নিকট বিজ্ঞাপন করুন” রাম কর্তৃক এই বাক্যে অনুরুদ্ধ হইয়া মুনি বলিলেন;– “সেই কথা কেবল আমাদিগের দুই জনের সমক্ষে প্রযুক্ত হইবে, অপরে যেন লক্ষ্য না করে । ইহা অন্যের শ্রোতব্য নহে; আমরাও অপর কাহাকেও বলিতে পারিব না। প্রভো! যে ব্যক্তি শ্রবণ করিবে বা লক্ষ্য করিবে সে তোমার বধ্য হইবে।” রাম “যে আজ্ঞা" বলিয়,প্রতিজ্ঞা করিয়া লক্ষ্মণকে বলিলেন;– "সৌমিত্রি! তুমি স্বারে থাক ; অন্য লোক যেন এই নির্জন স্থানে না আইসে । যদি কেহ আইসে সে আমার বধ্য হইবে, সন্দেহ নাই ।” অনন্তর রাম, মুনিকে বলিলেন ;–“আপনি যে জন্ত প্রেরিত হইয়াছেন-যাহ। আপনার অভিলষিত কথা, তাহা আমার অগ্রে প্রকাশ করুন” । অনন্তর মুনি বলি