পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ఫిలి এই বিষয়ে অযত্বশিক্ষিত বিলাসবিভ্রম চিরকাল ধরে এক রকমই চলে আসছে । সেকালে ও একালে বেশভূষা, পরিচ্ছদ প্রভৃতিতে অনেক পরিবর্তন ঘটেছে, কিন্তু নারীপ্রকৃতির বিলাসবিভ্রম বোধ হয় একই রকম চলে আসছে। যখন নারদ-ঋষি পার্ব্বতীর সম্মুখে তার বিবাহের প্রস্তাব উত্থাপিত করেছিলেন তখন শিবের সহিত বিবাহের জন্য প্রগলভতার চূড়ান্ত পর্য্যন্ত যিনি পৌছেছিলেন, যিনি রূপ দিয়ে শিবকে মুগ্ধ না করতে পেরে কঠোর তপস্যার আশ্রয় নিয়েছিলেন, তিনি ও বোধ হয় তখন বিবাহের কথায় এমনি সলজ্জ বিলাসনম্রতা দেখিয়েছিলেন :– এবং বাদিনি দেবর্ষে পাশ্বে পিতুরধোমুখী । লীলাকমলপত্রাণি গণয়ামাস পার্ব্বতী ॥ মঞ্জরীর কথা শুনে হঠাৎ যেন কশাহত হয়ে, যেন তড়িৎ পুষ্ট হয়ে কানাই অত্যন্ত বিস্মিতভাবে মঞ্জরীর মুথের দিকে তাকিয়ে বল্লে—“তা ত বটেই ।” কিছুক্ষণ চপ করে’ কাটুল। আকাশে একাদশীর চাদের উপর পাতলা পাতলা মেঘ ক্রমশঃ তাদের ছায়া ফেলে তাকে অবগুষ্ঠিত করে’ তুলতে লাগল, আর চন্দ্রের আলো তমোগর্ভ হয়ে মলিন করে দিতে লাগল ধরণীর পুষ্পলোকের লাবণ্য । মঞ্জরী বল্লে—“আচ্ছা, তুমি ত অনেকদিন হয় তোমার এমএস-সি পড়া শেষ করেছ। তুমি ত পূর্ব্বে বলতে যে অধ্যাপক ব্যানার্জির নিকট আরও পড়াশুনা করবে । বলতে যে জীবনে পড়াশুনাকে তুমি ব্রত করে তুলে সত্য আবিষ্কারের পথে জীবনকে উৎসর্গ করবে। সে কাজ আজকাল কি রকম চলছে ?” কানাই বল্লে—“না, তা আর চলছে কই ? তার কাছে ত যাওয়াই হয়ে ওঠে না ।”