পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ›ማ মঞ্জরী এবারে তেড়ে জিজ্ঞাসা করলে—“তবে অন্ন জুটবে কোথ। থেকে ?” কানাই বল্লে—“হ্যা, তাই ত ! কোথা থেকে জুটবে । সে কথা ত ভাবি নি, আর ভাবার দরকারই বা কি ? এ পর্য্যন্ত ত জুটে যাচ্ছে ।” মঞ্জরী রুষ্ট হয়ে বল্লে—“হ্যা, জুটে যাচ্ছে বই কি ! কাপড়চোপড়, জুতো, এর কি দশা হয়েছে দেখতে পাচ্ছি ?” - কানাই হো হো করে হেসে বল্লে—“ও, এই কথা ! আমাদের দেশের কোটি কোটি নরনারীর কাপড়ের কথা একবার ভেবে দেখেছ ? ভেবে দেখেছ কত ক্রোরপতি শ্রেষ্ঠ একদিনের বে-চালে ভিখারী হয়ে গিয়েছে ? এগুলো ত অবস্থামাত্র, আসবে, যাবে, পরিবর্তন হবে । ভাগীরথীর জল দেখেছ, দামোদরের বান দেখেছ ? বর্ষায় জলের উদগু তা গুবলীলা, আবার হয় ত শীতে গ্রীষ্মে শুকিয়ে হয়ে গেছে বালুময় । যেখানে হাতী ভেসে যেত সেখানে পতঙ্গ আর পিপীলিকা বেঁধেছে বাসা । অর্থের প্রবাহ চলেছে আপন স্রোতে । যে লোকটার উপর দিয়ে তার প্রবাহ চলেছে তাকে আমরা দেখছি ধনী, আর যে কুল থেকে সে প্রবাহ বিচ্যুত হয়েছে তাকে আমরা দেখছি নিধন । মামুষের জীবনপ্রবাহের স্রোতের সঙ্গে এই সম্পদবাহী শ্রোতের স্থানে স্থানে হচ্ছে সঙ্গম আর স্থানে স্থানে হচ্ছে বিচ্ছেদ । যেখানে এই সঙ্গম ঘটছে সেইটিই হচ্ছে ধনের পুণ্যক্ষেত্র। কেবল ষে ব্যক্তির উপর দিয়ে এই প্রবাহের গতি বিষমভাবে চলেছে তা নয়, বিভিন্ন জাতির উপর দিয়েও এর প্রবাহ এমনি বিষমভাবে চলেছে । এমন কোনও খেয়ালী লোক থাকতে পারে যে বলবে, ভাগীরথীর জলস্রোতের মধ্যে কোথাও কেন থাকবে পঞ্চাশ ফিট গভীরতা এবং কোথাও བན་