পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক So & ব্যাপ্তি অপর চিত্তটির মধ্যে। এই অমৃভবই প্রেম। আমার ব্যাপ্তিতে আমার যে আনন্দ সেই আনন্দই আমার প্রেম । দৈহিক কামনা যদি সমান্তরালভাবে এরই পাশে পাশে সংলগ্ন হয়ে থাকে তথাপি সেই কামনাকে প্রেম বলা চলে না । দু’টি জিনিষকে একত্র পাওয়া যায় বলেই তা এক হয় না, সহোপলত্তের দ্বারা অভিন্নতা স্থাপন করা যায় না ।” মঞ্জরী বল্লে—“তোমার সব কথা আমি বুঝতে না পারলেও এটুকু, বুঝতে পারছি যে পুরুষ এবং নারীর চিত্ত যখন পরস্পরের কাছে : আবিষ্কৃত হতে থাকে এবং একটি চিত্ত যখন এমনি করে আপন । সত্তার একটি অমুকুল পরিচয় পায়, তখনই তাকে বলা যায় প্রেম।” কানাই একটু গম্ভীর হয়ে বল্লে—“তুমি যা বলছ তা খানিকটা সত্য হ’লেও পূর্ণ সত্য নয় । মানুষের চিত্ত যে কেবল অপর একটি , চিত্তের মধ্যে আপনাকে ব্যাপ্ত করতে চায় তা নয়, সে হয় ত আপনাকে ব্যাপ্ত করতে চ{য় আপন অন্তরঙ্গ আদর্শের মহাগতির মধ্যে, জ্ঞানাহরণের অসীম তৃষ্ণার মধ্যে কিংবা নরসমাজের কোনও বিশেষজাতীয় কল্যাণের মধ্যে । যেখানেই আমাদের চিত্ত অনুভব করে তার ব্যাপ্তির আস্বাদ, সেখানেই আসে আনন্দ, তাকেই বলি প্রেম } নরনারীর প্রেম এই সাধারণ প্রেমের একটি দৃষ্টান্ত মাত্র । এই প্রেমকে সেখানে হয় ত শাসালো করে তোলে কিংবা একট। নূতন আঘ্রাণ দেয় দৈহিক কামনা । কিন্তু তাই বলে কেবল সেই দৈহিক কামনাটিকে আমরা প্রেম বলতে পারি না । আবার কামনা আছে বলে’ প্রেম যে কলুষিত হয়েছে বা প্রেমের হানি হয়েছে তা বলা যায় না।” যতই কানাই সোজা কথার সোজা উত্তর না দিয়ে তার মনের লাটাই থেকে শুষ্ক তত্ত্বের সূত্র বের করে আকাশে তার চিস্তাগুলিকে