পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ∶ • ግ প্রসন্নতা ও হাস্যপরিহাসের কলোচ্ছ্বাস বইয়ে দিতে পারে, তারাই সাধারণত: মেয়েদের বিমুগ্ধ করতে পারে । দৈহিক পৌরুষ, সাহস এবং অমুকুল ব্যবহারে কানাই মঞ্জরীর কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছিল, কিন্তু কানাইয়ের মধ্যে কি যে একট। শক্ত কঠোর দিক ছিল সেটাতে মঞ্জরী স্বস্তি অনুভব করত না । কিন্তু আজ এই তর্কের মধ্য দিয়ে কানাইয়ের চিত্তের এই বন্যতা দেখে এক নিমেষে মঞ্জরীর মনে হ’ল যে কানাইজাতীয় জীবকে নিযে দু’চারদিন নাড়াচাড়া করা চলে, কিন্তু কানাই । সে জাতীয় লোক নয় যাকে নিশ্চি স্তভাবে সারা জীবন ব্যবহার করা যায় । অথচ এদিকে তার বিশ্লেষণের নৈপুণ্য যতই কঠোর হয়ে উঠতে লাগল এবং যতই মঞ্জরী দেখতে লাগল যে কানাইয়ের সঙ্গে কথায় সে পাল্লা দিয়ে উঠতে পারছে না, ততই পরাজয়ের সঙ্গে সঙ্গে মঞ্জরীর মন তিক্ত হয়ে উঠতে লাগল । সে একটু কঠিনভাবে কানাইকে বল্লে— “এ সব লম্বা লঙ্গা বকৃত কোন বই থেকে সংগ্রহ করলে ? তুমি ভালবাসার জান কি যে তার জুড়েছ এমন দার্শনিক ব্যাখ্যা ? সোজা কথা সোজা ভাবে না বুঝে যারা তর্কের নাড়াতে নীচে উপবে সব তালগোল পাকিয়ে তোলে আমি তাদের রুচির প্রশংসা করতে পারি না । তাদের দেখলে,” একটু মুচকি হেসে মঞ্জরী বল্লে, “আমার সেই জাতীয জীবের কথা মনে হয় যারা ঘোলা না করে’ জল থেতে পারে না ।” কানাই এই কথা শুনে যেন একটু ব্যথিতভাবে বল্লে—“কেন, ঘোলা করার চিহ্নটা আমার কথায় কোথায় পেলে ?” মঞ্জরী বল্লে—“তা নয় ত কি ? প্রেম কাকে বলে, ভালবাসা কাকে বলে, সে কথা বোঝবার জন্য কঁাড়ি কঁাড়ি বই খুজে দার্শনিক বিশ্লেষণের কি কোনও প্রয়োজন আছে ? বিশ্লেষণ করতে গেলেই জিনিষটি যায়