পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক 6: এরূপ ভাব দেখিয়ে তবে সে নিস্কৃতি পেত, স্বজাতার সঙ্গে আপোষে নিজের ক্রটি স্বীকার করে’ সন্ধিস্থাপন করবার চেষ্টা করতে হ’ত তাকে । সুজাতার পিতা ব্যবসায়ী লোক হলেও কোনদিন সরস্বতীর সঙ্গে বিবাদ করেন নি। লক্ষ্মীর আসন যখন তৈরী হ’ল তখন তাকে বেঁধে রাখবার জন্য তাকে বেশী প্রয়াস পেতে হয় নি। উদ্ধৃত্ত সময় তিনি দুরারাধ্যা সরস্বতীর পূজায় নিয়োগ করতেন। পড়তেন তিনি বিস্তর গ্রন্থ দর্শন, সাহিত্য, বিজ্ঞান প্রভৃতি বিষয়ে, খবর রাখতেন তিনি ইউরোপের ক্রমবিবর্ত্তমান দার্শনিক ও বৈজ্ঞানিক চিস্তার, আর সেই সমস্ত জ্ঞান অতি সরল করে সঞ্চারিত করতে চেষ্টা করতেন তার ধীমতী কণ্ঠার মধ্যে । কেবল সংবাদের বোঝায় তার মাথাটি তিনি ক্লিষ্ট করতেন না, তার স্বাধীন বুদ্ধিকে ভিনি উৎসাহ দিতেন তার স্বাভাবিক পথে প্রসারিত হতে । মানুষের চিন্ত স্বাভাবিক পথে প্রসারিত হ’লেও কোন পথে চলা যায়, আর কোন পথে চলা যায় না, কোনখানে নাল আর কোনখানে খাদ, তার ম্যাপ তৈরী করার জন্য দরকার হয় নানা বিষয়ের জ্ঞানের খবর। স্বকুমারের সঙ্গে মিশে এ শিক্ষা ও জ্ঞান পরিবেশনের নিবিড় সংযম ও নিয়ন্ত্রণের হাত থেকে মুক্তি পেয়ে সে তার উচ্ছল প্রাণের আনন্দে মনকে লীলায়িত করে তুলতে পারত, তাই সুকুমারকে তার ভাল লাগত। স্বকুমার এসেছে কলকাতায় এমএসসি পড়তে। স্কুলের পড়৷ সাঙ্গ করে স্বজাতাও এসে ভর্তি হয়েছে একটি মেয়েকলেজে এবং আশ্রয় নিয়েছে সেই মেয়ে কলেজের বোর্ডিং-এর দুর্গম তুৰ্গে । সেখান থেকে বাইরে বের হবার স্বধোগ বড় কম। অভিভাবকদের খাতায় স্বকুমায়ের নাম লেখা ছিল, তাই আজ অপরাহ্লে অতি কষ্ট্রে অনুমতি পাওয়া গেছে তার সঙ্গে একটু বেড়িয়ে আসবার। নিরন্তর নিষেধের বাধনের