পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ১১৩ সেই আকাশকে পূর্ণ করে, নইলে কোনও জড়বস্তু কোনও জড়বস্তুকে ব্যাপ্ত করতে পারে না । প্রত্যেক জড পরমাণু ব্যাপ্ত করে আছে তার আপন আকাশকে । সেখানে সে অদ্বিতীয, সেখানে তাকে : ব্যাপ্ত করবার কেউ নেই। কিন্তু রূপ রয়েছে সমস্ত জড় পরমাণুকে ব্যাপ্ত করে যে আকাশে, জডের পরমাণু সেই আকাশেরই রূপধর্ম্ম । তার কারণ এই যে জড় পরমাণু এবং রূপ অভিন্ন । রূপ জড পরমাণুর একটি লীলা । তেমনি চেতনারাজ্যে দেখা যায় যে তার সমগ্রকে পূর্ণ করে আছে হয় ত আর একটি চিত্ত, কি একটি আদশ । সেই চিত্তের মধ্য দিয়ে কিংবা সেই আদশের মধ্য দিয়ে ছাড৷ সেই চেতনা আপনাকে প্রকাশ করতে পারে না, আপনার স্বরূপ অনুভব করতে পারে না । সেই প্রকাশই তার আনন্দ, সেটিই হ’ল চেতনার জীবন । চেতনালোকে সেইটিই হ’ল প্রধান বৃত্তি, এমন কি একমাত্র বৃত্তি বললেও বাড়িয়ে বলা হয় না । মানুষের জীবনপ্রবাহ চলেছে তাব অসংখ্য জৈবশক্তির নানা বিচিত্র সামঞ্জস্যের মধ্য দিয়ে । হৃদয়, ফুসফুস, যকৃৎ, প্লীহা সেখানে তাদের আপন আনন্দে কাজ করে যাচ্ছে । রক্তের চলেছে প্রবাহ হৃদয় থেকে ধমনীতে, শিরায় ও উপশিরায় এবং সেখান থেকে পুনরায় হৃদয়ে। পরস্পরের কাজকে সমাপ্ত করবার জন্য, পূর্ণ করবার জন্য চলেছে প্রত্যেকের প্রক্রিয়া । তারই প্রবাহের মধ্যে কোন মর্ম্মকোষ ( gland ) থেকে ক্ষরিত হ’ল একবিন্দু অজ্ঞাত সামগ্রী এবং তারই ফলে সমস্ত জৈবপ্রবাহে একটা অদ্ভুত প্রতিক্রিয়া হ’ল চেতনাশক্তির মধ্যে। এই জৈব প্রবাহ না থাকলে সে বিন্দুটি ক্ষরিত হ’লেও তার কোনও ফল হ’ত না । তেমনি এ কথা বলা চলে যে আমাদের চেতনার এই স্বাভাবিক ব্যাপ্তিকামনা না থাকলে কামবৃত্তির সংস্পৰ্শ তাকে তার বিশিষ্ট রূপ ও স্বাদ দিতে Եր