পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাধ্যাপক ১১৭ চলেছে । কারুর মুখে কোনও কথা নেই । আকাশে মেঘের উপর মেঘ পুঞ্জীকৃত হয়ে আসছে । চন্দ্রতার বিলুপ্ত হয়ে গেছে । আকাশের নৈঃশব্দ্য বিদীর্ণ করে কদাচিৎ দু' একটি নৈশ পক্ষীর তার চীৎকার শোনা যাচ্ছে । হঠাৎ একটি বিদ্যুতের দীপ্তিতে মঞ্জরী দেখতে পেল যে কানাইযেব মুখখানা একেবাবে পাংশুবর্ণ হয়ে গেছে । মঞ্জরী একটু পীডিতভাবে বল্লে—“বন্ধু, রাগ কব না, যা বাস্তব তাকেই সম্মুখে রেখে জীবনে চলতে হবে, অবাস্তব কল্পনাকে নয়।” কামাই একটিও কথা বলল না । পঞ্চম পরিচ্ছেদ কিছুদিন কেটে গেছে । আষাঢ়ের কোনও একটা দিন, সেটা প্রথম দিবসও নয়, প্রশম-দিবসও নয় । গ্রীষ্মবিশুষ্ক বনস্পতির তৃষ্ণা মিটিযে আকণ্ঠ পান করেছে গগনেব ভৃঙ্গারবারি । হরিত চারুচিকণ পত্রাবলি থেকে বিকীর্ণ হচ্ছে বনস্পতিলোকের সবুজ স্মিতহাস্য । প্রত্যেকটি পাতার দিকে দৃষ্টিপাত করলে মনে হয় যেন তাদের প্রসন্নতা মূর্ত্তি পরিগ্রহ কবেছে তাদের কান্ত পেলবতার মধ্যে । দিগ্বিদিকে সঞ্চরণশীল মেঘেরা গগনমণ্ডল ব্যাপ্ত করে বিস্তার করেছে বর্ষণঋতুর বাজচ্ছত্র । সপ্তপর্ণব উগ্র গন্ধের সহিত মিলিত হয়েছে কেতকীর তীব্র সৌরভ । চম্পকের উচ্চ শিখরে দুলছে তার কনককুটলি, সম্মিত-সৌকুমার্য্যে বিকশিত হয়েছে নবমল্লিক। পৌরবাসিদের অঙ্গনে অঙ্গনে গাঢ় হ্যাম নব দূর্ব্বারাজি পড়েছে চারিদিকে আকীর্ণ হয়ে । কোথাও বা তারই সঙ্গে দৃষ্টিবিনিময় হচ্ছে স্তম্ভবাহিনী অপরাজিত-লতার নীল নেত্রদলের । কোথাও বা উদ্ধত নবীন