পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ॐ २२ অধ্যাপক সম্পন্ন হয়ে যায়। কোলাহলও যে এমন কিছু বেশী হয় তা বলা যায় না। মৃন্ময়পাত্রে আহারের ব্যবস্থা বলে দধি ও ঝোল একত্র মিশে যাবার অবকাশ পায় না । কাজেই দেখুন, সামান্য একটু বন্দোবস্তের পরিবর্তনে এই বাঙ্গালীরই ভোজের ব্যবস্থা কত বিভিন্ন হতে পারে । থাকৃত যদি আমাদের বড় বড় হল, থাকৃত যদি সেখানে নানাবিধ স্থলদর আসনের ব্যবস্থা, থাকৃত যদি সেখানে নানারকম সুশোভন ভোজনপাত্র, থাকৃত যদি মোটা মোটা মাইনের পাচক ও ভৃত্য, ত হ’লে এদেশের ভোজন ব্যবস্থাও অনেক পারিপাট্যের সহিত নিম্পন্ন করা সম্ভব হ’ত ।” অজয় বল্লে—“হষ না কেন এসব এখানে ? রুচি বলে পদার্থ টাই ত আমাদের নেই। এই রুচিই ত একটা বড় cultureএর লক্ষণ । আমরা আমাদের ‘culture culture’ বলে এত গর্ব্ব করি, আব এই ত আমাদের culture, যে একখণ্ড কলাপাতার উপরে ডাল, ঝোল, দই সমস্ত মিশিয়ে গোগ্রাসে হাপুস্হুপুস করে আমরা খাই । এ সমস্ত কিছুরই পরিবর্তন নেই, আর আমরা শুধু বড় গলায় চীৎকার করতে থাকৃব যে আমরা ইংরেজের সমান, আমরা স্বাধীন হব । এ সমস্ত একেবারে বাতুলের প্রলাপ ।” প্রভা বল্লে—“এচ রুচি জিনিষটা অনেক পরিমাণে অর্থস্বাচ্ছল্যের উপর নির্ভর করে । যে দেশের লোক দু’ মুষ্টি আহার দু’বেলা পায় না সে দেশের লোক ঐশ্বর্য্যসাধ্য যে রুচি তার পরিচয় কেমন করে দেবে ?” অজয় বল্লে—“রুচি থাকলে অল্পের মধ্যেও তার ব্যবস্থা করা যায়। অর্থ যদি না থাকে তবে অত লোককে নেমস্তন্ন করবার দরকার কি ? যে ক’জনকে ভাল করে’ শোভনভাবে খাওয়াতে পারা যায় সে ক’জনকে নেমন্তশ্ন করলেই হয় ।”