পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক و& মধ্য থেকে আজ ছাড় পেয়ে. তার প্রাণের আনন্দ ভাগীরথীর জলপ্রবাহের মত কলকল করে’ উঠেছে । দু'জনে যখন গঙ্গাতীরের উদ্যানে প্রবেশ করল তখন স্ফৰ্বিতে স্বজাতার মন উৎফুন্ন হয়ে উঠল । কলকাতার ইটকাঠের অরণ্যের চেয়ে এই স্বাভাবিক অরণ্য, যেখানে অজস্র প্রাণের ধারা চলেছে বর্ষার প্লাবনে নিষিক্ত হয়ে, সে কত পৃথক, কত উদার, কি মনোরম ! মেয়েটি যেন হিমাচলমুক্ত শ্রোতস্বিনীর ন্যায় নাচতে নাচতে ছুটেছে, মনের আবেগে কলকলিয়ে মুখে যাচ্ছে ছড়া কেটে — ছলছলিয়ে ছুটেছে আজ প্রাণ-জোয়ারের ধারা, সেই প্লাবনে আকাশ বাতাস আনন্দে হয় হার । কচিঘাসের সবুজ পাতায় কে যেন আজ গান গেয়ে যায়, বঁাশের বনে পাতার কোলে মত্ত বুকের র্কাপন দোলে, ভুবন যেন বিস্ময়ে আজ নয়ন মেলে । গানের হাওয়া বক্ষে যেন তরঙ্গে যায় থেলে’ । * গন্ধে বিভোর পুষ্প যেমন মাতাল হয়ে ফুটে, হৃদয়টুকু তেমনি আমার ভুবনে যায় লুটে । দু’জনে চলেছে সোজা সেখানে, যেখানে প্রকাণ্ড বটগাছটি চতুষ্পার্শ্বে তার পত্রসমাকীর্ণ শাখা প্রসারিত করে মন্থণ ছায়ায় শীতল করে রেখেছে চারিদিকের ভূখণ্ডকে, আশ্রয় দিয়েছে সে-সব শাখায় কত বিহঙ্গমিথুনকে, ফলে যোগাচ্ছে তাদের আহার । বট-অশ্বশ্বের কেন বিয়ে দেয় জানি না, কিন্তু মনে হয় যে বোধিক্রমের মধ্যে এককালে যে মার আশ্রয় নিয়েছিলেন অধিকারসূত্রে, সে মার বোধ হয়