পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক "ל মাটির সাথে নিত্য তোমার চলছে হাসার্কাদা, তোমার ভালবাসার গর্ব্ব মাটির সাথে বাধা । ইতিমধ্যে ছেলেটি এসে কাছে দাড়াল । মেয়েটি তার সামনে গিয়ে বল্লে—“স্বকু-দা, বল ত কী চমৎকার! কিন্তু স্বকু-দা, ও কি ? ও কি বার করছ ?” মুকুমার উত্তর করলে ; “দেখ না স্বজি, আজ কি মজা করব।” এই কথা বলে জড়ানো ওয়াটারপ্রাফটার ভিতর থেকে একখানা ছোট কাঠ, ছুটে দড়ি, গোট দুই রিং ও গোটা দুই প্যাচ বার করলে । মেয়েটি চেচিয়ে উঠে বল্পে : "ওমা, তোমার পেটে এত বুদ্ধি । দোলন এনেছ! সত্যি, আমার এত ফর্ত্তি হচ্ছে যে যদি পারতাম তোমায় কঁাধে করে’ নাচতাম ।” ছেলেটি বল্লে—“দেখ না, আজ তোকে কেমন আমি নাচিয়ে দি ” এই কথা বলে’ লাফ দিয়ে একটা উচু ডাল ধরে জিমনাষ্টিকি কায়দায় ডালটার উপর ঘোড়ার মত চড়ে বসল। তারপর সেই ডালে রিং দুটো লাগিয়ে দিয়ে প্যাচ কসে দিলে, আর দোলনার কাঠটা দিলে তার সঙ্গে ঝুলিয়ে । স্বজাত বলে উঠল : "বাঃ রে! অত দূরে উঠব কেমন করে’ ?” এই কথা বলতে না বলতে স্বকুমার নেমে এল মাটিতে । বল্লে— “কেমন করে উইবি ত এখনি দেখিয়ে দিচ্ছি। তুই ঠিক হয়ে দোলনাটার দিকে ফিরে দাড়িয়ে থাক্ । শক্ত হয়ে থাকিস, যেন হেলিস নে । না পারলে আমার মাথায় হাত সি ” এই কথা বলে তার দুই পায়ের গোড়ালি দুটো ধরে সিধে উচু করে ধরলে স্বজাতাকে । তার দু’হাত দিয়ে সে ধরলে দোলনার ছুটে দড়ি,