পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক >8 ○ হিন্দুরা যেমন কতগুলি প্রাণীকে পবিত্র মনে করে তেমনি কতগুলি গাছকেও পবিত্র মনে করে, তেমনি কোনও শ্রেণীর মানুষকেও পবিত্র মনে করে । এটা তাদের জাতিগত সংস্কার । এ সংস্কার ভুল কি সত্য সে তর্কের কথা এখানে ওঠে না । গরুকে হিন্দু পবিত্র মনে করে, দেবায়তনকে পবিত্র মনে করে, বেলগাছকে পবিত্র মনে করে । সেই মনে করাট। সে প্রকাশ করতে চায় তার ব্যবহারে এবং সেই ব্যবহার যদি সে না করতে পারে তবে তার সমস্ত চিত্ত বিদ্রোহী হযে ওঠে । আমাদের সমস্ত ব্যবহার যে যুক্তির উপর নির্ভর করে তা নয়, ত নির্ভর করে কুলক্রমাগত সংস্কারের উপর । দেখুন, হাতও আমাদের অবয়ব, পা ও আমাদের অবয়ব । দুটোর কোনটাই আমাদের কম প্রয়োজনীয় নয়। আমাদের নিয়মানুসারে আমরা গুরুজনের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করি, কিন্তু তা না করে যদি গুরুজনের পায়ের উপরে পাখানা চডিয়ে দিই তবে তা কেন তার প্রতি অসম্মান হবে ? বন্ধুর সঙ্গে দেখা হ’লে হাত না বাড়িয়ে পা বাড়িযে দিলে কি দোষ হয় ? এ যুক্তির অগম্য কিন্তু সমাজে স্বীকার্য্য। ভারতবর্ষের যদি নানা বিষয়ে কিছু নিজস্ব প্রকাশ করবার না থাকত তবে ইংরেজের সঙ্গে সম্পূর্ণ মিশে গেলে তার কোনও ক্ষতি হ’ত না ।” সুজাতা প্রশ্ন করল—“তবে কি আপনি বলতে চান যে পররাষ্ট্রের সংযোগ থেকে মুক্তি পাওয়াকে স্বাধীনতা বলা যায় না ?” কানাই বল্লে—“না, তা আমি ঠিক বলতে চাই না, কারণ পররাষ্ট্রের সংযোগ থাকলে শুধু যে আমরা আত্মপ্রকাশ করবার অবসর পাব না তা নয়, আমরা থাকব সেই পররাষ্ট্রের উপকরণীভূত হয়ে । আমাদের তারা ব্যবহার করবে তাদের আপন উপকারের জন্য, যতটুকু আমাদের বাচিয়ে রাখলে তারা আমাদের পূর্ণভাবে দোহন করতে