পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S88 অধ্যাপক পারবে ততটুকুই তারা আমাদের বঁচিয়ে রাখবে। আমাদের যদি তারা বলিষ্ঠ করে সেটা তাদের নিজেদের বলবুদ্ধি করবার জন্য, আমাদের যদি তারা ধনী করে সেটা তাদের ধনবৃদ্ধি করবার জন্য । আমাদের দেশে যে ধনস্রোত বইবে তাকে ঢালু করে দেবে তাদের দিকে, যাতে ভারত সমুদ্রের সমস্ত জল গড়িয়ে গিয়ে পড়ে আটলাণ্টিকে । আমাদের যদি তারা মশাসন করে, চোর ডাকাত থেকে রক্ষা করে, সে তাদের ধনার্জনের জন্য । আমাদের তারা শিক্ষিত করবে অল্প মূল্যে তাদের রাজকার্য চালাবার উপযোগী কেরাণী সরবরাহ করবার জন্য । সেটা হবে সম্পূর্ণভাবে আত্মহনন, কিন্তু সেটা না হ’লেই যে আমাদের আত্মহননের কিছু অভাব ঘটল তা বলা যায় না। যে আত্মা আপনাকে প্রকাশ করতে পারে না সে আপনি যাবে ধ্বংস হয়ে । যে গাছ রবিরশ্মির দিকে শীর্ষ উত্তোলন করে’ শাখাপ্রশাখা বিস্তার করে রবিরশ্মি পান করতে পারে না, তা যায় মুষড়ে । তাতে ফুল হয় না, ফল হয় না, তা থাকে কোনক্রমে জীবনধারণ করে । সে জীবনধারণ মৃত্যুর চেয়েও বড় লাঞ্ছনা।” অজয় প্রশ্ন করলে—“কিন্তু ইংলগু আমাদের আত্মপ্রকাশের কি বাধা ঘটাচ্ছে শুনি ।” কানাই বল্লে—“এ সম্বন্ধে যদি প্রশ্নের অবকাশ থাকে তবে উত্তর না দেওয়াই শোভন । ইউরোপে প্রকাশ পাচ্ছে এখন ধন ও বলের আভিজাত্য । ধনাহরণই হচ্ছে শ্রেষ্ঠতার মর্য্যাদা এবং বলের দ্বারা অপরকে নিগৃহীত করাই হয়েছে পৌরুষের প্রধান গৌরব । ভারতবর্ষ পৃথিবীকে কখনও এ চোখে দেখে নি। ভারতবর্ষে ছিল বিদ্যা ও ধর্ম্মের আভিজাত্য । মহারাজচক্রবর্ত্তীর রাজমুকুটও অনায়াসে অবনমিত হয়ে পড়ত পাংশুলাঞ্ছিত বিদ্বান ব্রাহ্মণের চরণপ্রান্তে । সে