পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ఫి আর স্বকুমারের কাধে ভর করে চড়ে বসল দোলনাটার উপরে, আর সুকুমার পেছন থেকে দোলনাটায় দিলে এক ধাক্কা । দোলনটি যখন দুলতে আরম্ভ করল তখন সুকুমার এসে দাড়াল সামনে । তখন স্বজাত দোলনার উপর দাড়িয়ে দু’হাত দিয়ে দড়ি ধরে ক্রমশঃ বেগ বাড়াতে চেষ্টা করল । আগেপাছে দোলন তখন পাগল হয়ে দোল খেতে লাগল। সুজাতার মুখে হাসি যেন আর ধরে না । এবার সে একটু জোরে একটি গান ধরল— দোল দোলা দোল দোল ঘাটের বাধন খোল! সামনে পিছে ছুটল রে আজ দোলা । পাগল হাওয়া রক্তে নাচে রসের ঝুলনঝোলা । হারাই হারাই এই ভয়েতে আগলে যখন থাকি পিছন ফিরে দেখি তখন সব হয়েছে ফাকি । আকাশ দিয়ে দাড় বেয়ে যাই, শূন্যে নোঙর বাধি, সব-খোয়ানো শূন্যমাঝে মিথ্যে বসে কাদি । সামনে পিছে ধাওয়াধাওয়ি চলছে জীবন বাওয়া, কোন অকূলের দোলন এসে লাগায় পালে হাওয়া । রক্ত ছোটে স্রোতের মত তপ্ত স্বরায় ভরা, স্বপ্নভরে চলুক জীবন নেশায় বিভোল করা । দে দোলা দে জীবন-দোলায় পথ রয়েছে খোলা, যেথায় খুলি যাক না ছুটে আমি রে পথভোলা ! স্বজাত দোল খেতে লাগল। স্বকুমার এসে সামনে দাড়াল । শালপ্রাংগু, মহাভূঞ্জ, তেজস্বী চেহারা । হেসে বল্লে—“কেমন লাগছে রে স্থঞ্জি ?”