পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক >や"》 সুকুমার একটু অপরাধীর ভাবে বল্লে—“হঁ্য, এই দু’এক দিনের মধ্যেই যাব । ভারী excitement-এর মধ্যে আছি কি না ।” "আপনি ত আছেন excitement-এর মধ্যে, ওদিকে ত ভয়ানক কাণ্ড ঘটে গেল । সুজাতা যে মহা ফ্যাসাদে পড়ে গেছে ।” স্বকুমাব এই কথা শুনে একেবারে ভয় পেয়ে চমকে উঠল । বল্লে— “ফ্যাসাদ ? তার আবার ফ্যাসাদ কি ?” হঠাৎ তার মনে পড়ল, বোটানিক্যাল গার্ডেনে সুজাতার সেই কথা—“আমাকে রক্ষা করবে না ত তোমার বলিষ্ঠ বাহু দু’থান আছে কিসের জন্য ?” তার পৌরুষ হযে উঠল মনের মধ্যে উদ্রিক্ত, সে আবার বলে উঠল—“কি ব্যাপাব ?” মঞ্জরী বল্লে—“সে অনেকখানি হাঙ্গামা বাধিয়ে ফেলেছে । সে কিছুদিন ধবে? কারুর সঙ্গে কথা কয় না, আলাপ আলোচনা করে না । আমাকেও যায় এড়িয়ে । মাছ মাংস ছেড়ে ধরেছে নিরামিষ, বসনভূষণ সাজসজ্জা সংক্ষেপ করে’ এনেছে কেবল লজ নিবারণের মধ্যে । তা এ খেয়াল ও না হয় বরদাস্ত করা যেত । আপনি জানেন যে ছাত্রীসঙ্ঘের সে সভানেত্রী । সেই ছাত্রীসঙ্ঘের সে ডেকেছে একটা বিপুল সভা । সব কলেজের মেয়েদের সে করেছে একত্র, আর সেখানে এমন একটা বক্তৃতা দিয়েছে যে তার প্রতি কথায় ছুটিয়েছে আগুনের কণা, আগুনের হলকা। এ স্বজাতাকে যেন আর চেনা যায় না। যে সুজাতা ছিল নীরব, নিরীহ, একেবারে মাটির মানুষ, সেই সুজাতার দেখবেন দানবদলনী মূর্ত্তি। উগ্রচণ্ডার মত তার ভাষা, আগুন ঠিকূরে আসছে তার চোখ থেকে, ক্ষেপিয়ে তুলেছে সে সমস্ত ছাত্রীসঙ্ঘের মেয়েদের ”