পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক טטימי মঞ্জরী বল্লে—“আপনি ত তার এক রকম অভিভাবক, আপনি গিয়ে দেখুন কি করতে পারেন।” স্বকুমারের গায়ে বিলক্ষণ শক্তি ছিল । অন্তরেও যে সাহস একেবারে ছিল না তা নয় । কিন্তু সে বিলাসী এবং আরামপ্রিয়, চিরকাল ঐশ্বর্যে ও বিলাসে কেটে এসেছে তার দিন । নিঝঞ্চাটে কাটাতে চায় সে তার জীবনটা । স্থজাতার দিকে এখনও তার আকর্ষণ ছিল, অথচ তার অনেকখানি ক্ষুধা মিটে যাচ্ছিল মঞ্জরীর সঙ্গে । তথাপি একটা নাড়ীর টান বেঁধে রেখেছিল তাকে সুজাতার সঙ্গে । আজ এই ঝঞ্জাটের মধ্যে স্বজাতাকে বিনা বাক্যব্যয়ে ছেড়ে দেবে এ কথা ভাবতেও তার পৌরুষ বিদ্রোহী হয়ে উঠল । সে বল্লে—“বেশ, তা হ’লে চলুন, এখনই আমরা দু’জনে যাই তার কাছে।” মঞ্জরী বল্লে—“আমার আর যাওয়ার দরকার কি ? লোকে বলবে আমিই আপনাকে ডেকে নিয়ে গিয়েছি সুজাতার মত বদলাবার জন্য ।” স্বকুমার বল্লে—“তাতে ক্ষতি কি ? আপনি অত ভয় পাচ্ছেন কেন ?” “আপনি ত বেশ বল্পেন—ভয় পাচ্ছেন কেন ? আপনার ত আর মেয়েদের সঙ্গে থাকতে হয় না । সুজাতার মতের বিরুদ্ধে একটি কথা বললে মেয়েদের মধ্যে আর মুখ দেখাতে পারব ? আপনি গেলে সে স্বতন্ত্র কথা ।” স্বকুমার জামাচাদর পরে’, তার মোটরখানা ডাকিয়ে রওনা দিলে মেয়েকলেজের দিকে। মেয়েকলেজের দরজায় উপস্থিত হওয়ামাত্রই গেটের দারোয়ান দিলে তাকে বাধা । দারোয়ানকে সে জিজ্ঞাসা করল—“স্বজাত কই ?” দারোয়ান বল্পে-“স্বজাত বাবা হিঁয়া সে চলি গই, কাহা গই কহনে নহি সকৃত ”