পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

〉やbr অধ্যাপক আদর্শের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করবার জন্য ওজস্বী ভাষায় বক্তৃতা দিচ্ছেন তা নয়, তিনি স্থানে স্থানে দল গঠন করে’ গ্রামবাসীদের এই সম্বন্ধে উপদেশ দিচ্ছেন এবং নিজেদের দেশের শিক্ষার ভার যাতে সরকাবের বিনা সাহায্যে নিজেদের হাতে নেওয়া যায় এইজন্য অর্থসংগ্রহ করছেন, নিরক্ষর লোকদের পড়ার জন্য নৈশ-বিদ্যালয় খুলছেন, বিদেশী পণ্য বর্জন করে স্বদেশী দ্রব্যের দ্বারা যাতে নিজেদের সমস্ত অভাব পূরণ করা যায় এবং সেই হিসাবে নিজেদের জীবনযাত্রার আদশ যাতে খাটো করে আনা যায়, সেইজন্য নানা উদ্যোগ আরম্ভ করে দিয়েছেন । মন্তব্য থেকে আরও একটু আভাস পাওয়া গেল, হয় ত বা কোনও গুপ্ত বিদ্রোহেরও তিনি আয়োজন করছেন । তিনি নিরামিষাশী হ’লে ৪ র্তার উপায়টি নিতান্ত অহিংস বলে’ মনে হ’ল না । অনেক জায়গায অনেক রাজকর্ম্মচারীর সঙ্গেও তার দৈহিক সংঘর্ষ ঘটেছে । কানাইয়ের দৃষ্টান্ত দেখে মুজাতা হাফ ছেড়ে বাচল, কি রকমে নিজেকে প্রকাশ করবে তার যেন একটা পথ খুজে পেল । তার হাতে ছিল ছাত্রীসঙ্ঘ, সেইটেকেই করলে সে আত্ম প্রকাশের অস্ত্র । দাহ্যবস্তু যে চারিদিকে প্রস্তুত ছিল এ কথ; সুজাতার তেমন জানা ছিল না । একটা বক্তৃতাতেই যে ছাত্রীদের মধ্যে এতখানি সাড়া জেগে উঠবে তা সে কল্পনাও করে উঠতে পারে নি, কিন্তু ফলট যখন এতখানি উগ্র হয়ে উঠল তখন তার নারীস্বভাবে সে একটু ভীত হয়ে উঠল । সবচেয়ে সে মুষড়ে পড়ল যখন প্রিন্সিপালের হুকুম এল হোষ্টেল ছাড়বার জন্য । ক্রিয়ামাত্রেরই যে একট। প্রতিক্রিয়া আছে তা জানে যারা কার্য্যকুশলী । যে কোনদিন কিছু করে নি, সে কার্ধ্যের সুফল কুফল উভয়তেই বিপর্য্যস্ত হয়ে পড়ে । যখন সাড়াটা ব্যাপ্ত হয়ে পড়ল সমগ্র ছাত্রীদের মধ্যে তখন তার মনে ভয় হ’ল যে এতবড়