পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক S\లవ ব্যাপারটাকে সে সামলাবে কি করে । নেতৃত্বের প্রতি তার লোভ ছিল না, কিন্তু নেতৃত্ব যখন এসে পড়ল তার হাতে তখন সেটাকে যদি ঠিকরকম ব্যবহার করতে না পাবে তা হ’লে যা আরম্ভ করেছিল সমস্তই যাবে পণ্ড হয়ে, মধ্য থেকে অনেকগুলি ছাত্রী হয়ে পড়বে অধ্যক্ষের বিদ্বেষভাজন ; নিজের জন্য সে ভয় করত না, কিন্তু প্রতিক্রিয়ার বিপুলতায় সে হতবুদ্ধি হয়ে গেল ! প্রথমেই তার মনে হ’ল—পেতুম যদি একবাব কানাইবাবুকে, তা হ’লে তার উপদেশমত বৃদ্ধি ঠিক করা যেত। কিন্তু কানাষ্টবাবু যে কোথায় ঘুরছেন, কি কাজ করছেন তা তার কিছুমাত্র জানা ছিল না । তারপরেই মনে এল সুকুমারের কথা । তিনি যদি একবার কাছে দাড়াতেন ত তাকে সঙ্গে নিয়েও অনেকদূর অগ্রসর হওয়া যেত । কিন্তু নিজে এতখানি ফ্যাসাদে জড়িয়ে তাকে এখন ডাকা যায় কি করে ? সেইজন্য সুকুমাব নিজে এসেছে শুনে সে যেন অকূলে কুল 1 হুকুমার ঘরে ঢুকেই প্রসন্নমুখে জিজ্ঞাস কবলে—“কি রে হুজি, এ সব কি ফ্যাসাদ বাধিয়েছিস ?” স্বজাত নম্ৰমুখে বল্লে—“তা তুমি আমাকে বকতে পার । তোমাকে ত আমি বলে’ই রেখেছি যে যখন যে বিপদে পড়ব তোমার দু’খানি বলিষ্ঠ বাস্থই আমাকে বক্ষণ করবে। এই আশ্বাসেই ত ফ্যাসাদকে ফ্যাসাদ বলে গণ্য করি না ।” সুকুমার গম্ভীর হয়ে বল্লে—“এ ফ্যাসাদ ত যে-সে ফ্যাসাদ নয়, এ হচ্ছে রাজশক্তির সঙ্গে দ্বন্দ্ব ।” সুজাত হেসে বল্লে—“রাজদ্বার থেকে শ্মশান পর্য্যন্ত একটা সোজা সড়ক আছে, সেইজন্য যথার্থ বন্ধু যে, তার সাক্ষাৎ এই দুই জায়গায়ই