পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

›ዓ8 অধ্যাপক হ’লেই এ কথা বলা চলতে পারে যে সেই মতটি জীবনের দ্বারা সমথিত হয়েছে—মনোজীবনের দ্বারাও সমর্থিত হয়েছে এবং দেহজীবনের দ্বারাও সমথিত হয়েছে, কারণ দেহের সমস্ত ক্ষয়ক্ষতি অনায়াসেই `आभद्रा সহ করতে পারি আমাদের সেই মতকে স্থাপন করবার জন্য । Bruno যখন বলেছিলেন—“সর্ব্বং ব্রহ্মময়ং জগৎ' এবং তার জন্য যখন তাকে জীবন্ত অগ্নিদগ্ধ করা হ’ল, তার দেহের সমস্ত পীড়া অনায়াসেই তিনি বহন করেছিলেন, কিন্তু তার মত তিনি প্রত্যাখ্যান করেন নি । এখানে দেখা যাচ্ছে, তার মতের পিছনে শুধু যে তার অস্তজীবন সায় দিয়েছিল তা নয়, তার দেহও বিদ্রোহ করে নি । এই জন্যই এমন স্থলে বলা যায় যে র্তার মতকে তিনি জীবন্ত করেছিলেন তার মনোজীবন ও দেহজীবনের সমস্ত শক্তি সেখানে সংক্রমিত করে । সেই জন্যই তার মত হয়েছিল জীবনধর্ম্মে স্পদমান। শুধু একট। মত মনোজীবনের বুদ্বুদ মাত্র, ক্ষণে তার উৎপত্তি, ক্ষণে তার লয় । এই জন্যই আমি এই কথা বলছিলুম যে কোনও মতকে প্রকাশ করার যথার্থ অর্থ হচ্ছে তাকে সমগ্র জীবনধর্ম্ম দিয়ে জীবন্ত করে তোলা । আমাদের মত আমাদের চেতনার একটা অংশ। তা যদি জীবন্ত না হ’ল তবে তার প্রকাশ হ’ল না। জীবনের বেগ সঙ্গে না থাকলে শুধু ভাষায় মত প্রকাশ করা হয় একটা কুৎসিত স্বষ্টি। প্রকাশই হচ্ছে যথার্থ সৌন্দর্য্য ।” স্বকুমার আবার প্রশ্ন করলে । সে বল্লে—“তুমি Bruuoও নও, যীশুখৃষ্টও নও। নিজের মতকে একটা প্রাধান্য দিয়ে জাহির করবার চেষ্টা—সেটা কি একটা অভিমান বা দুবিনয় নয় ? শুনেছি তুমি আমাদের সনাতন হিন্দুধর্ম্মে যে সমস্ত প্রাচীন আদর্শ ছিল তার পক্ষপাতী। কিন্তু সেই আদর্শই কি এ কথা বলে না যে জিজ্ঞাসা না