পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

〉"S অধ্যাপক থাকা না থাকার উপর কোন কাজ করা উচিত বা অনুচিত তাও ঠিক করা যায় না। সকলেই যদি প্রাচীন দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে কাজ করত, নিজে থেকে যদি কিছু না করত, তবে সমাজ হয়ে উঠত পঙ্গু এবং অচল । আর তোমাকে এতক্ষণ বসে আমি বললুম কি ? তুমি কি অন্যমনস্ক ছিলে, ন! আবার কোনও দাবার Championship-এ ঢুকেছ ? মনে মনে ভাবছিলে যে কোথাও পিলের কিস্তি দিচ্ছ ? আমি ত বললুম তোমাকে যে শুধু মত হিসাবে যে মত দেওয়া যায় সেটা বাক্যের বিলাস মাত্র, কিংবা বন্ধুতে বন্ধুতে তর্কের পাঞ্জা কষ । সেটা এবং জীবনের ধর্ম্মে কোনও মতকে প্রক করা, এটা সম্পূর্ণ আলাদা কথা । আমার এখন প্রয়োজন হয়েছে জীবনের সমগ্র রূপ দিয়ে আপনাকে প্রকাশ করা । সেইটেই হচ্ছে আমার ক্ষুধা, সেট না করলে আমি আমার নিজের কাছে হয়ে যেতাম অসাড় ।” - স্বকুমার আবার জবাব করলে—“বেশ, না হয় মানলুম তোমার আত্মপ্রকাশ করার দরকার আছে । কিন্তু তা করতে হ’লেই যে এ রকম সভাসমিতি, হাকডাক করে’ করতে হবে তার কি মানে আছে ? শুনেছি তোমার বক্তৃত৷ নাকি একেবারে অগ্নিময়ী হয়ে উঠেছিল । এত সমস্তের কি প্রয়োজন ছিল ?” মুজাত। আবার একটু কঠোরভাবে বল্লে—“প্রয়োজন কি ছিল তা তুমি বুঝবে না, স্বকুদা । আজ বুঝছি, তুমি কোনদিনই আমাকে ভালবাস নি। কেবল পা পিছলে গেলে দু’হাত দিয়ে লুফে ধরলেই ভালবাসা হয় না, তার মধ্যে চাই মনকে বোঝবার দরদ । আমার ত অনেক নিকট হতে চেয়েছিলে তুমি, কখনও একবার অনুসন্ধান করে’ দেখেছিলে যে আমার মনের মধ্যে টগ্‌বগ, করে কি ফুটছিল ? দিতে ত আমার চুলে হাত বুলিয়ে, আমার মনে কোনদিন হাত বুলোবার