পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

: ԳԵր অধ্যাপক তুলেছিল প্রবল বিদ্রোহের অগ্নিশিখা । তুমি যদি হ’তে আমার আত্মীয়, হ’তে আমার যথার্থ বন্ধু, তুমি সাথী হয়ে দাড়াতে এই মহাযাত্রায় আমার সঙ্গে । কিন্তু হয় ত আমি তোমাকে অন্যায়ভাবে দোষ দিচ্ছি, এ তোমার পক্ষে কিছুতে সম্ভব হ’ত না । তোমার মনে ত জাগে নি আপনাকে ব্যক্ত করবার কোনও ক্ষুধা । যদি জগত, তা হ’লে তুমি পারতে আমার হৃদয়কে চিনতে, আমি অনায়াসে পারতুম তোমার ঘনিষ্ঠ হতে । এত কাছে থেকেও যে ঘনিষ্ঠ হ’তে পারি নি তার কারণ এই যে আমার চিত্ত তোমার চিত্তের কাছ থেকে কোনও সাড়া পায় নি। তোমাকে আশ্রয় বলে জানতুম, রক্ষক বলে’ জানতুম, তাই আজকের এই দুদিনেও তোমার ভরসা আমি করেছিলুম। সেটা আমার মূঢ়ত । আমি যে পথে পা দিয়েছি সে পথে আমাকে কেউ রক্ষা করবে সে আমার প্রার্থন নয়, আমার এই প্রার্থনা যে আমার এই যাত্রার পথে যতই বিপদ আমুক, আমি আমার ধৈর্য্য ও মনুষ্যত্ব না হারাই । বিপদ ও দুঃখের মূল্যে আমি যাচাই করে নিতে চাই আমার আত্মপ্রকাশের অকৃত্রিমতা । বেশ ত মুখে ছিলুম, টাকা পয়সার অভাব ছিল না। বিলাসে গা ভাসিয়ে দিয়ে থাকতে পারতুম মুখে, তবে কেন নামলুম নিপীড়নের নিয়ন্ত্রণের মহাদ্বন্দ্বের মধ্যে ? সেটা আমার জীবনের একটা ট্র্যাজেডি, আমার মনোবৃত্তির সঙ্গে আমার বাহ সম্পদের একটা দ্বন্দ্ব। ট্র্যাজেডি ক্লেশবহুল, গম্ভীর, কিন্তু তা অনুশোচ্য নয় । তোমাকে আজ কয়েকটা কঠিন কথা বললুম, তাতে তুমি দুঃখ কর’ না, মুকু-দা । তোমাকে আমি যেমন ভালবাসতুম তেমনিই ভালবাসি। তোমার ভালবাসাকে আমি বরাবর পবিত্র বলে মনে করে এসেছি । আজও তোমার ছবি অঁাকা থাকবে আমার চিত্তপটে, সমস্ত বাল্যের স্থতি থাকবে সেখানে জড়িয়ে ।