পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক >"> কিন্তু সেইজন্যই আবশ্যক তোমার আমার মধ্যে কোনও মিথ্যার কুজুটিকা যেন আমাদের সত্য সম্বন্ধের কোনও ব্যাঘাত না ঘটায় । আমার মধ্যে তোমার স্থিতি কোথায় সেটা তোমার স্পষ্ট করে? জানা উচিত । আমারও স্পষ্ট করে’ সজাগ হওয়া দরকার যে তোমার স্থিতি আমার মধ্যে কতখানি ও কতটুকু । এইটি আমরা বুঝলে আমাদের পরস্পরের মধ্যে এমন কোনও মিথ্যা আশা বা লোভ এসে দাড়াতে পারবে না য। পরিশেষে আনতে পারে হতাশা বা ক্রোধ বা একের প্রতি অপরের অবিচারের বোধ ।” সুকুমারের মুখ অত্যন্ত ব্যথিত ও আড়ষ্ট হ’ল । সে এই সমস্ত কথা শোনবার জন্য মোটেই প্রস্তুত ছিল না । আজ যদি মঞ্জী তার চিত্তেব মধ্যে একটা আসন ন নিত তবে হয় ত এ আঘাত সহ্য করতে পারত না সে। কিন্তু তবু সে মনে ভাবলে যে যতই শক্ত কথা বলুক, সুজাতাই ত বলছে ! কত আবদার তার সে সহ করে এসেছে বাল্যকাল থেকে । আজ তার বিপদের দিনে তার সহযাত্রার সঙ্গী হবে সুকুমার বলে’ স্বজাত মনে করেছিল । সে আশ্বাসে আঘাত লাগায় অভিমানে সুজাত যদিও অনেক রূঢ় কথা বলল, তথাপি এ হয় ত তার যথার্থ প্রাণের কথা নয়, সে তাকে ভালবাসে বলেই রেগে উঠে কতগুলো কঠোর কথা তাকে বলে’ দিলে । আজ সে এসেছে সুজাতাকে সাত্বনা দিতে, বল দিতে, তার সঙ্গে দ্বন্দুকলহ করতে নয় । সে একটু কষ্টহাস্তে বল্লে—“তুমি আমাকে যত খুসী কঠোর কথা বল, আমি তার যোগ্য কি অযোগ্য তার বিচার তোমার সঙ্গে আমি আজ করতে চাই না। আমার দিকটা আমি চাই আজ সম্পূর্ণ করে’ ভূলে যেতে । তুমি আমার উপর অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হবে বা হচ্ছ তা জেনেও তোমাকে আমি এই কথা বলতে চাই যে তোমার হৃদয়ের