পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক > アン বেড়ে ওঠে, লোকে দেখে ভরা জল ৷ তাতে ভয়ের কোনও কারণ নেই । আনন্দে দেখা যায় ভাদ্রমাসের ভরা দামোদরের লীলা । সে যখন বাধ ভাঙ্গে তখন তা সম্পন্ন করে নিমেষের গর্জনে ! বৈশাখের সন্ধ্যায় গুমোট গরমে আকাশ হয়ে আসে নির্ব্বাত, নিস্তব্ধ । হঠাৎ ওঠে ঝড়ের তাণ্ডবলীলা, প্রকাশ পায় তা শাল-তাল-গুবাক-নারিকেলের নৃত্যে, প্রকাণ্ড প্রকা ও মহীরূহের উন্মলনে । এই যে ঝড়ের নিস্তব্ধতা, এর মধ্যেই জমে উঠুছিল তার শক্তিসঞ্চয়ের লীলা । শক্তি যখন সঞ্চিত, হয়, কখন যে তার স্থিরত্ব দূর হয়ে আসে ঘূণীর ঘোর গর্জন, তা অতি বুদ্ধিমান ব্যক্তিরাও বলতে পারেন না । যে কোনও বস্তুকে উপলক্ষ্য করে’ই ধৈয্য পৰিণত হতে পারে অধৈর্য্যে । বারুদের স্তপের মধ্যে ক্ষুদ্র একটি দিয়াশালাইয়ের আগুনে ঘটতে পারে একটা মহামারী কাণ্ড । তখন তার অনুসন্ধান করলে সেই দিয়াশালাইয়ের কাঠিটিকে আর পা ওয়া যাবে না ।” স্বকুমার বল্লে—“ত হ’লে তুমি স্বীকার কর যে তোমার এ উন্মাদন আকস্মিক ?” সুজাতা বল্লে—“করি । আকস্মিক যা, তা ত মিথ্যা নয় । আমরা তথনই কোন জিনিষকে বলি আকস্মিক যখন তার সমস্ত কারণ-কলাপ আমরা জানি না । আকস্মিকভাবে উৎপন্ন হয়েছে জড় থেকে জীব, তাই বলে’ জীবও মিথ্যা নয়, জড়ও মিথ্যা নয় । জড়ের মধ্যেই আছে জীবের কারণ, শুধু সেই কারণ-কলাপের ঘটনা-পরম্পরা আমুর জানি না ।” “কিন্তু এ কথা তা হ’লে স্বীকার করতে হয় যে তুমি জ্ঞানবুদ্ধিপূর্ব্বক ভেবে চিস্তে এইভাবে তোমাকে প্রকাশ করবে তার কল্পনা করে” কাজে নাম নি ।”