পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ՖԵ Գ আমার সত্য কি না । তখন যদি দেখতে পাই যে এ পথে আমার চলা হবে অবরুদ্ধ, তা হ’লে হয় ত পথ যাবে আমার বদলে । তাতে আমি কিছুমাত্র আশ্চর্য্য হব না। আমার মধ্যে যে সত্য তাকে চাই ; আমি প্রকাশ করতে, সে সত্য ছোট হোকৃ, বড় হোক, তাতে কিছু : আসে যায় না । ছোট হোক, বড় হোক, সেইটিই একান্তভাবে আমার । অন্যের সঙ্গে ছলচাতুরী করা চলে, নিজের সঙ্গে চলে না, অথচ নিজেকে আবিষ্কার কবাই সব চেয়ে কঠিন। সেই আবিষ্কারের পথে আমি পা দিয়েছি । জানি এতে দুঃখ আছে, বিপদ আছে, ভয় আছে, লাঞ্ছনা আছে, আছে আঘাত এবং নিষ্পেষণ, কিন্তু সেগুলোকে এড়িয়ে আমাকে ত আমি আবিষ্কার করতে পারব না । তোমাকে চিরকাল ভক্তি করে এসেছি, তাই এই নবযাত্রার দিনে চাই আমি তোমার আশীর্ব্বাদ যেন আমার এই আত্মাবিষ্কারের অভিযান হয় সফল |’ স্বকুমার আবার বল্লে—“তুমি কি দেখছ না যে এতে ঘটবে রাজার সঙ্গে দ্বন্দ্ব ? সেই দ্বন্দ্বে তুমি হয় ত হবে একান্তভাবে নিষ্পেষিত । আমি এটা চোখে দেখি কি করে’ ?” স্বজাত আবার বল্লে—“জীবনের স্বভাবই হচ্ছে দ্বন্দ্ব, নইলে জীবনই হ’ত না সম্ভব । আদত কথা হচ্ছে এই যে দ্বন্দ্ব বড় হবে, না জীবন বড় হবে। প্রাণস্রোতের ইতিহাসের পরিণামে দেখা গেছে যে জীবের সঙ্গে ঘটেছে তার প্রাকৃত পারিপাশ্বিক অবস্থার দ্বন্দ্ব । সেই দ্বন্দ্বে কত জীব গেছে ধ্বংস হয়ে, বিনষ্ট হয়ে, কিন্তু তাতে জীবধারা বিনষ্ট হয় নি, সে দেখা দিয়েছে নবতর, কল্যাণতর রূপে । আবার জীবনের এই দ্বন্দ্বে যদি ভাগ্যে থাকে ধ্বংস তবে তা এড়াবারও কোনও উপায় নেই । নিশ্চিন্তভাবে বসে থাকে মানুষ, তথাপি এ প্রাকৃতিক