পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক "ליטל দ্বন্দ্বের অবসান নেই । শরীরের মধ্যে ঢোকে টাইফয়েডের বীজ, আসে মৃত্যুপুরঃসর ক্যানসার রোগ, ঢোকে যক্ষ্মার বীজাণু ফুসফুসের মধ্যে, সে দ্বন্দ্বে নিশ্চিন্ত মানুষ হয় ধ্বংসস্তুপ। বেঁচে থাকলেই এক হাতে আছে ধ্বংস আর এক হাতে আছে জয়ের মহাসঞ্জীবনী । এই লড়াইয়ের মধ্য দিয়েই মানুষকে দিতে হয় আত্মপরিচয় এবং পেতে হয় আত্মপরিচয় ।” সুকুমার আবার বল্লে—“সমাজ থাকলেই থাকে রাষ্ট্র, রাষ্ট্র থাকলেই থাকে রাজা, থাকে রাজশাসন । রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলে, রাজশাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলে, সেটা হয় একটা আত্মঘাতী প্রতিশোধ ।” স্বজাত বল্লে—“এখানে তুমি আমাকে টেনে আনতে চাইছ একটা বৃহত্তর তর্কের প্রাস্তরে । এর মধ্যে আমি প্রবেশ করতে পারি আমার এমন সময়ও নেই, প্রবৃত্তিও নেই, সামর্থ্যও নেই। তবে একটা কথা জেনে রাখ। ভেবে দেখ রাষ্ট্রের মূল কোথায়। প্রত্যেক ব্যক্তির সর্ব্বোতোমুখী প্রবৃত্তিকে সকলের অবিরোধে একটা সামঞ্জস্তের মধ্য দিয়ে ক্রমশঃ উন্নত আদর্শের দিকে নিয়ে যাবে, সেগুলির আত্মপ্রকাশকে সফল করবার, সুযোগ দেবে, এইটিই হচ্ছে রাষ্ট্রের মুখ্য উদেশ্ব । যে রাষ্ট্র বলের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত, বলের দ্বারা বিধৃত এবং যে রাষ্ট্রের উদ্দেশ্য হচ্ছে কোনও বিদেশীয় জাতিবিশেষের স্বার্থরক্ষার জন্য কোনও দেশের লোককে উপকরণীভূত করা, সে রাষ্ট্র হারিয়ে ফেলেছে তার ন্যায়ধর্মের দাবী । তার বিরুদ্ধে তাকে সংশোধন করবার জন্য কেউ দাড়ালে সে বলের দ্বারা নিগৃহীত হতে পারে কিন্তু সেটা নৈতিক নিগ্রহ নয় । যেখানে এই রকম দুর্ঘটনা ঘটে সে দেশের লোকের এইটিই হওয়া উচিত প্রধান কর্ত্তব্য যে তারা সে রাষ্ট্রকে পরিবর্তন করবে। ব্যক্তির