পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

మరి অধ্যাপক দেখে বলে উঠল—“কোথেকে ?” পরিচয় করিয়ে দিলে সুকুমারের সঙ্গে বল্লে—“ইনি আমার স্বকুমার দাদা, ইনি প্রভা, আমার বান্ধবী ।” প্রভা বল্লে—“তুমি যে একেবারে একটা ঘূণীর মধ্যে এসে পড়েছ । তোমার পেটে যে এত ছিল তা ত জানি নি, দিব্য শাস্তশিষ্ট মেয়েটি । তোমাকে নিয়ে কাগজওয়ালার একটা পেয়ে বসেছে । তোমার ছবি উঠেছে কাগজে কাগজে ; তোমার বক্তৃতার কথা, তোমার তেজস্বিতার কথা আজ সকলের মুখে মুখে । পড়ে ও শুনে আমাদের এত গর্ব্ব হয় যে তোমাকে আমরা আমাদের বন্ধু বলে পরিচয় দিই ।” স্বজাতার মুখ লজ্জায় লাল হযে উঠল। সে বল্লে—“মরণ আর কি ! এই উপদ্রবগুলোতেই ত আমার মনে যত অশান্তি এনে দিচ্ছে, নইলে ভাবনার কোন কারণ ছিল না ।” প্রভা বল্লে—“উপদ্রব বড় কম নয়। ভূতনাথের ভূতপিশাচ পেয়েছে ছাড়া, পুলিশের অনুচরের ঘুরছে আনাচে-কানাচে । আমাদের ভয় কোন দিন বা আবাব তোমাকে ধরে নিয়ে রাখে।” সুজাতা বল্লে—“ধরে যদি নিয়ে যায়, শাস্তশিষ্টভাবে যাব, রাজগৃহের আতিথ্যসেবা করব । আমি ত ছ’মণি সিন্দুক তুলতে পারি না যে কানাইবাবুর মত একটা মুষ্টিযুদ্ধ বাধিয়ে দেব।” প্রভা বল্লে—“আরে, শোন শোন, সুজাতা-দি । ভাল কথা মনে পড়ল । কানাইবাবু একথানা চিঠি লিখেছেন রঞ্জনকে তোমার অনেক মুখ্যাতি করে । চিঠিখানা আমি সঙ্গে এনেছি, তোমাকে পড়ে শোনাই।” স্বজাতার কর্ণমূল আরক্ত হয়ে উঠল । সে দাড়িয়ে ছিল, যেন অসমর্থ হয়ে একটা চেয়ারে বসে পড়ল। প্রভা চিঠিখানি পড়তে লাগ ল :–