পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক రి মুকুমার ধীরে ধীরে স্বজাতার হাতখানি চেপে ধরে বল্লে— “তোকেও আমার বড় ভাল লাগে।” কিন্তু এই কথার মধ্যে কি যেন একটা প্রচ্ছন্ন আবেগ গুপ্ত হয়ে ছিল । নিশাস্তের শুকতারা যেমন উষার আরক্তিম প্রতিভাকে গোপনে আপনার মধ্যে ধারণ করতে গিয়ে প্রখর ঔজ্জল্যে প্রদীপ্ত হয়ে ওঠে তেমনি প্রদীপ্ত হয়ে উঠল স্বকুমারের দুই চক্ষু । সে আবার বল্লে— “শুধু ভাল লাগে ? তার বেশী আর কিছু নয় ?” স্বজাত বল্লে—“তার বেশী আরও অনেক কিছু। আমার দাদা নেই, তাই চিরকালই তোমার মধ্যে একটা প্রকাগু দাদার ছবি দেখতে পাই । তোমার সাহস, তোমার শক্তি আমার ব্রিস্ময় ঘটাত । সেবারে একবার আমাদের মোটরের সঙ্গে যখন একটা মিলিটারী সাহেবের মোটরের ধাক্কা লাগবার জোগাড় হয়েছিল তখন সে সাহেবট। চাবুক হাতে করে তোমাকে গালাগালি করতে করতে নেমে এল । তুমি গিয়ে দাড়ালে তার সামনে, ধীর, স্থির। সাহেবটা মারলে তোমাকে দু' বা চাবুক, তুমি দাড়িয়ে সহ করলে । তৃতীয় ঘা মারবার সময় বিদ্যুদ্বেগে তার চাবুক কেড়ে নিয়ে তাকে মারলে এমন এক ঘুষি তার চোয়ালের ওপর যে, সে চিৎ হয়ে পড়ল একেবারে বেহু’স হয়ে । আমি ত গাড়ীর মধ্যে আতঙ্কে মরি আর কি ! পৃথিবী যেমন তার আপন কক্ষা ছেড়ে কোথাও নড়তে পারে না আমার তেমনি ছিল রুটিন বাধা কর্ম্মক্ষেত্র । বাবা ছিলেন তার কেন্দ্রস্থল । র্তার আকর্ষণ ছিল মহান ও ব্যাপক । তার মধ্যে যেমন ছিল শাসন তেমন ছিল গভীর ভালবাস । তবু হালক মন চাইত মাঝে মাঝে তার অয়নচক্র থেকে একটু আধটু সরে যেতে । তার অবসর দিয়েছ তুমি ; যখন ষে আবার করেছি, আনন্দে তা করেছ তুমি