পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ર૦ ર অধ্যাপক সমাধা করল এর এদের কাজ এবং গোপনে অনুভব করল এরা আত্মপ্রসাদ । এই রকম করে কলকাতার মহানগরীতে উঠল ছাত্রদের বিক্ষোভ । অধ্যয়ন অধ্যাপনা হ’ল বন্ধ । ছাত্রসমাজের সাড়া নাড়া দিলে গিয়ে ছাত্রীদের অবলা গোষ্ঠীকে । তারাও হয়ে উঠল সবলা । ইতিমধ্যে কানাই পূর্ববঙ্গের নানাস্থানে বিচরণ করে ফিরছিল । সে কংগ্রেস বা অ্যান্টি-কংগ্রেস, কোনও দলভূক্তই ছিল না । সে যা করত তা তার আপন তাগিদে, কোনও দেশনেতার ফতোয়ার সম্বল তাব ছিল না । তার প্রণালীই ছিল একেবারে অন্তরূপ । কোনও গ্রামে গিয়ে সে অতিথি হ’ত কোন সম্পন্ন গৃহস্থের ঘরে । তারপর ধীরে ধীরে ভাব করে নিত গ্রামের প্রধানদের সঙ্গে, হাত করে নিত গ্রামের তরুণদের । গ্রামের কি অভাব অভিযোগ তা করত আবিষ্কার এবং কি করে তা দূর করা যায় সেই বিষয়ে গ্রামের লোকদের চিত্ত আকর্ষণ করবার জন্য তাদের আমন্ত্রণ করে করত সত্তা । তারপর কতগুলি কর্ম্মঠ তরুণকে নিয়ে নিজেই লেগে যেত গ্রামের নানা অভাব অভিযোগ সংস্কারের কাজে । কথনও বা খুলতে চেষ্টা করত ছোট ছোট পাঠশাল৷ বা নৈশবিদ্যালয় । উত্তেজক বকৃত সে মধ্যে মধ্যে দিত, কিন্তু তার প্রধান উদেশ্ব ছিল গঠনমূলক কার্য্য। বিদেশীয়দের অধীনতা আমাদের হয়ে গেছে মজ্জাগত। তার একটা প্রতিক্রিয় ঘটে তাদের বিরুদ্ধে নিষ্ফল বোধপ্রকাশে, অভিমান প্রদর্শনে। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে আমাদের অকর্ম্মণ্যতা আমরা এইভাবে প্রমাণ করি যে সমস্ত বিষয়ে আবার এদেরই শরণাপন্ন হই। নিজেদের যা কিছু অভাব অভিযোগ প্রত্যেকটির জন্য আমরা সরকার বাহাদুরের দ্বারস্থ হই। এমনি করে আমরা হারিয়ে ফেলেছি আমাদের নিজেদের মঙ্গল করবার অধিকার ।