পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૨8 অধ্যাপক তেমনি মঞ্জরী একটা ঈর্ষ্যার দৃষ্টিতে লক্ষ্য করতে লাগ ল স্বজাতার আচরণ । এমন সময় থবর পাওয়া গেল যে নেতৃপক্ষীয়েরা এই ছাত্রদলের ব্যাপার নিয়ে তাদের পরিচালনার জন্য কানাইকে কলকাতায় আনিয়েছে । মঞ্জরীর মনে দু’একবার ইচ্ছা হয়েছিল যে কানাইয়ের সঙ্গে কোন রকমে দেখা করে সে পক্ষের কথা কিছু বের করা যায় কি না, কিন্তু একে ত কানাই কোথায় থাকে তার হদিস করা কঠিন, তা ছাড়া এরূপ চেষ্টায় ভাল হবে কি মন্দ হবে তা ঠিক করে’ বলা যায় না । তাই সে মনে করলে যে সব চেয়ে বড় কথা হবে সুজাতাকে আগৃলানো । তাই সে লেগে গেল স্বজাতার পরিচর্য্যায়, হাত করে’ ফেল্পে তার অল্পবর্ত্তিনী সব মেয়েদের । কিন্তু সুজাতার, কি কারণে সে নিজেও বুঝল না, মঞ্জরীকে যেন তত আর ভাল লাগ ত না । এইজন্য সে অবশু মনে মনে নিজেকে তিরস্কারও করেছে, কিন্তু ত৷ সত্ত্বেও মনের বিমুখত দূর করতে পারত না । এটুকু চতুর মঞ্জরীর দৃষ্টি এড়ায় নি। সে মনে মনে ভাবছিল,—আমারই ধনে ভাগ বসিয়ে আমারই উপর চোখরাঙানি ! কি উপায়ে হাতে নাতে ধরবে সেইজন্য রইল সে ওং পেতে । সে মনে করেছিল যে কোন না কোন সময়ে স্বজাত হয় ত তাকে কানাইয়ের কথা বলবে । কিন্তু কানাই ছিল একরকম তার নিজেরও অধূন্য হয়ে অস্তরের কোন নিভৃত মন্দিরে । কানাইয়ের কথা সে অনেক সময়েই ভাবত, কিন্তু ভাবছে যে তা নিজের কাছে স্বীকার করাও কঠিন হ’ত । কানাইয়ের সম্বন্ধে কোন কথা উঠলে সে কথায় সে যোগ দিত না, সে এড়িয়ে যেত সে কথার প্রসঙ্গ সর্ব্বপ্রযত্নে । চতুরা মঞ্জরী তা লক্ষ্য কুরত, ভাবৃত—ও বাবা, এত বুদ্ধি তোমার পেটে ? মেয়েরা যখন দলে দলে এসে তাকে অনুরোধ করতে লাগল এই হরতালের ব্যাপারটা ভালরকম করে ঘটিয়ে