পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক 있 ওখানকার অবরোধ হ’ল ভঙ্গ । কিন্তু উত্তেজনা তখনও রয়েছে যথেষ্ট, সেটাকে মুক্ত করে দেবার জন্য প্রোগ্রাম ঠিক হ’ল যে মেয়ের কাতারে কাতারে দাড়িয়ে মার্চ করে যাবে দক্ষিণ দিকে, বেণীর সঙ্গে বিজয়কেতন দেবে উড়িয়ে । স্থজাতাও এই প্রস্তাবে সায় দিল । মনে মনে তার এই ক্ষীণ আশা ছিল যদি কানাইয়ের দলের সঙ্গে দেখা হয় । সার্জেণ্টর সরে গিয়েছে দেখে মেয়েরা বিজয় উল্লাসে দৃপ্ত হয়ে উঠেছে, বীরাঙ্গনাদের পদভরে ধরণীমাতা উঠলেন টলমল করে । বাহিনী ধীরে ধীরে অগ্রসর হতে লাগল। পথে কোনও বাধা নেই । ধীরবিক্রমে তারা এগিয়ে এল কলেজ স্কোয়ারের মোড় অবধি । সেইখানে দাড়িয়েছে কতগুলে। দেশীয় সিপাই এবং দেশীয় ইন্সপেক্টর । অবলাবাহিনী এসে সম্মুখীন হ’ল এই পুলিশবাহিনীর । এই পুলিশবাহিনীর এপাশে ওপাশে বহু লোক দলবদ্ধ হয়েছে, তার মধ্যে ছিল সুকুমার । সুজাতার দৃষ্টি পড়ল তার চোখেব উপর, তার মনে হ’ল যেন সুকুমারের দৃষ্টি আতঙ্কিত । কিন্তু তথাপি সে মনে সাহস পেল। তার বাল্যগত অভ্যাস ছিল সুকুমারের উপর নির্ভর করবার, সেটা হয়ে গিয়েছিল সংস্কারগত । সে আজও এই বিপদের সামনে হুকুমারকে দেখে বুকে যেন সাহস পেল । এগিয়ে এল সে ইন্সপেক্টরের সামনে, বল্লে—“পথ ছাডুন, আমরা সামনে এগিয়ে যাব ।’’ ইন্সপেক্টর বল্লে—“আপনাদের আমি কিছু বলতে চাই না, কিন্তু আর এক পা এগিয়ে এলে আমি বাধ্য হব বেত্রাঘাত করতে ।” এর পর আর দাড়িয়ে থাকলে মান থাকে না । সুজাতা এগিয়ে এল একেবারে ইন্সপেক্টরের মুখের সামনে । তার অবলাবাহিনীও ধীরে ধীরে অনুসরণ করছিল। ইন্সপেক্টর বেত তুলে এগিয়ে এল