পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫిలిన অধ্যাপক কর্ম্মচারী নয় যার উদ্বেগু হবে প্রভূর মনস্তুষ্টি । মঙ্গলের সঙ্গে যেখানে বিরোধ ঘটবে প্রভূর মনস্তুষ্টির সেখানে শিক্ষকের চিত্ত মঙ্গলবুদ্ধির স্বারা চালিত হওয়া উচিত । এ কথা মানি যে আপনি ইংরেজ এবং আমাদের দেশের রাষ্ট্র ইংরেজ জাতির স্বার্থসংবৰ্দ্ধনের জন্য প্রতিষ্ঠিত । সেই হিসাবে আপনার জাতীয় স্বার্থের সহিত এদেশের রাষ্ট্রীয় স্বার্থ জড়িত রয়েছে। তাই শুধু বেতনের জন্য নয়, আপনার জাতীয় স্বার্থ হিসাবে আপনি ইংরেজ প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রের স্বার্থ দেখা আপনার কর্ত্তব্য মনে করতে পারেন । কিন্তু এতগুলি ছাত্রীর চরিত্র গঠনের দায়িত্ব নিয়ে আপনি যে আসনে বসেছেন সে দিক দিয়ে এদের প্রতি আপনার কর্তব্য বড় কম নয় ।” অধ্যক্ষ আবার বল্পেন—“দেখুন, আপনি যা বলেছেন তা ঠিক । আমি যীশুখৃষ্টের বাণীতে বিশ্বাস করি । জাতি বা রাষ্ট্র বলে’ যা গড়ে উঠেছে এটা একটা নূতন পদার্থ। এ দ্বারা অনেক মঙ্গল সাধিত হলেও অমঙ্গল কম হচ্ছে না । সে জন্য হচ্ছে প্রতিনিয়ত জাতিতে জাতিতে দ্বন্দ্ব, হিংসার বিদ্বেষবহ্নি উঠছে জলে, অসংখ্যেয় হচ্ছে প্রাণক্ষয় । রাষ্ট্র ও প্রজার দ্বন্দ্বে রাষ্ট্রকে অবলম্বন করতে হচ্ছে এমন পথ যাতে সে শ্রেণী-বিশেষের স্বার্থ রাখবার জন্য সাধারণ প্রজাবর্গের উপর করছে অত্যাচার। এক স্থলে করছে পর্ব্বত প্রমাণ অর্থসঞ্চয় অপর স্থানে সর্ষপকণা বিতরণ করতেও কুষ্ঠিত হচ্ছে । এই যে দ্বেষ, এই যে হিংসা, এই যে বৈষম্য, এটা খৃষ্টের বাণীর সম্পূর্ণ বিরোধী । যে খৃষ্টের বাণীতে বিশ্বাস করে তাকে চোখ রাখতে হবে সমাজ ও রাষ্ট্রের উৰ্দ্ধতন ভূমির দিকে, সমগ্র মনুষ্যজাতির মঙ্গলের দিকে । সে জন্য আমার কর্ত্তব্যের দ্বন্দ্বে আমার ছাত্রীদের প্রতি দায়িত্ব, তাদের মঙ্গল অম্বুধ্যানের ব্রত, অপর কোনও কর্তব্যের চেয়ে আমার কাছে কম