পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ২৩৩ নয় । এই কর্ত্তব্যের দ্বন্দ্ব এক সময় একটা সন্ধিক্ষণে এসে উপস্থিত হবে, তখন এটা আমার বিচার্য্য হবে যে এখানে বেতনভোগী শিক্ষক হয়ে থাকা আমার পক্ষে চলবে কিনা । কিন্তু যতক্ষণ আমি রাষ্ট্রের বেতনভুক্‌ ততক্ষণ আমার উৰ্দ্ধতন কর্ম্মচারীরা আমাকে যে আদেশ দেবেন আমি তা করতে বাধ্য । মেয়েদের সম্বন্ধে, বিশেষত: সুজাতা সম্বন্ধে আমার অভিযোগ এই যে আমি ইংরেজ বলে তারা অধ্যক্ষের যে ন্যায্য সম্মান পাওনা আছে, যে শ্রদ্ধার দাবী তাদের উপর আমার আছে তা আমাকে দেয় নি, অথচ পূর্ব্বে এমন কোনও ঘটনা কখনও ঘটে নি যখন ইংরেজ হিসেবে স্বার্থরক্ষার জন্য আমি চেষ্টা করেছি । দেখুন, প্রশ্ন এখানে একটা নয়, অনেকগুলি । একটা হচ্ছে ইংরেজ প্রতিষ্ঠিত বাষ্ট্র বলে’ ইংরেজ রাষ্ট্রনায়কদের আমার কাছে একটা জাতিগত দাবী আছে । দ্বিতীয়তঃ, আমি তাদের বেতনভুক্‌ বলে’ ভূত্য হিসাবে তাদের প্রতি আমার একটা কর্ত্তব্য আছে । তৃতীয়তঃ, মেহের পাত্রী হিসাবে ছাত্রীদের মঙ্গল অনুধ্যানের যে ব্রত আমি গ্রহণ করেছি সেই ব্রতের দাবীতে ছাত্রীদের প্রতি আমার একটা কর্ত্তব্য আছে । এই কর্ত্তব্য কি রূপ গ্রহণ করবে তাও বহুধা বিচার্য্য । একটা হচ্ছে তাদের আপাতমঙ্গল বিধান করা । দ্বিতীয়টি হচ্ছে, বিদ্যাকুরাগের পথ থেকে এবং অধ্যাপকদের নিকট তাদের যে কর্ত্তব্য আছে, তাদের যে আত্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা করা বিদ্যালয়ের কর্তব্য, তাদের সেই পথ থেকে তারা যাতে ভ্রষ্ট না হয় সেটা দেথা । তৃতীয়ত: হচ্ছে উত্তরকালে জাতির অনুপ্রেরণা অনুসারে তারা যাতে আত্মপ্রকাশ করতে পারে, গড়ে উঠতে পারে, সেই বিষয়ে তাদের উৎসাহ দেওয়া ।” সুকুমার বল্লে—”এই শেষোক্তিটিকে আপনি শেষে বলেছেন বলে’ এটিকে আপনি সর্ব্বাপেক্ষ নূ্যন বলে মনে করেন ?”