পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩৮ অধ্যাপক দোষে আমাদের দেশের অসংখ্য নরনারী প্রত্যহ ভোগ করছে তখন আমার নিস্কৃতির জন্য আপনাদের এতটা চেষ্টা করা অশোভন ।” এই বলে সে দিলে প্রত্যাখ্যান করে তার স্বপক্ষে যত চেষ্ট। হয়েছিল জামিনের জন্য, সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যাখ্যাত হ’ল কর্ম্মচারীদের বামহস্তাগত সমস্ত লাভের লোভ । পরদিন কানাইকে হাজিব করা হ’ল আদালতে । ম্যাজিষ্ট্রেট কেম্পিস্ সাহেব একজন আইরিশ ম্যান, বৃঢ়োরস্ক, বৃষস্কন্ধ । কানাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে সে পুলিশের কাজে বাধা দিয়েছে এবং পুলিশদের অনেককে আহত করেছে । পুলিশ ছিল শান্তিভঙ্গ নিবারণের চেষ্টায়, কানাইয়ের কাজে সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। ম্যাজিষ্ট্রেটু কানাইকে জিজ্ঞাসা করলেন—“তুমি উকীল দিতে আপত্তি করছ কেন ?” কানাই বল্লে—“উকীলের প্রায়শঃই উভয়পক্ষের কথাই অতিরঞ্জিত বা মিথ্যা রঞ্জিত করে প্রকাশ করতে চায় । আসামীকে আশ্রয় দেওয়া হয় তাদেরই ছায়ার মধ্যে, কারণ ইংরেজের আইনে আসামী নির্দোষ হ’লেও দোষী বলায় মিথ্যা হয় না । উভয় পক্ষই উভয় পক্ষের সত্য ঘটনা ধর্ম্মাধিকরণে প্রকাশ করবে এবং ধর্ম্মাধিকারী উভয় পক্ষের কথা শুনে যথার্থ বিচার করবে। যেখানে আইনের কুট তর্ক থাকে সেখানে বুদ্ধিজীবি উকীলদের প্রয়োজন থাকতে পারে, কিন্তু আমার এ ব্যাপার শুধু ঘটনার কথা।” রাজনৈতিক পক্ষ থেকে কানাইয়ের স্বপক্ষে ভাল ভাল উকীল ও ব্যারিষ্টাররা কোমর বেঁধে লড়তে এলেন, কানাই অতি বিনীতভাবে তাদের ধন্যবাদ দিয়ে দৃঢ়তার সঙ্গে করলে তা প্রত্যাখ্যান। কানাইয়ের সকল কাজই দ্বিধানিন্মুক্ত, কোন বিষয়েই তার দ্বিধা নেই, চিন্তা নেই। কোন কাজ করবার পূর্বে যেন সে ভাবে না । তার কাজ