পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ૨8(t অবসরে কানাইয়ের সঙ্গে একবার দেখা করে, সঙ্গে সঙ্গে স্বজাত সম্বন্ধে তার মনোভাব যদি পারে আবিষ্কার করতে। কিন্তু পুলিশের ঝামেলা দেখে সে সাহস করল না এ কাজে এগিয়ে যেতে । আদালতে পাঠিয়েছিল সে তার একজন আত্মীয়কে, সেখানে বাদামুবাদের ফলে যদি কোন বিষযের রহস্য পড়ে উন্মুক্ত হয়ে । কানাইয়ের সমস্ত বিবরণ শুনে, কানাইয়ের বীরত্বের কথা ভেবে সে মনে মনে বেশ গৌরব অনুভব করল । এ হেন বীরবিক্রমী কানাইকে সে ত অনায়াসে নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরিয়েছে এবং এখনও যত ইচ্ছা পারে। এই চরিত্রের দীপ্তির তুলনায় মুকুমারের চিত্র এল নিম্প্রভ হয়ে । স্বকুমারকে নিয়ে থাকতে গেলে অর্থ মুখ স্বাচ্ছন্দ্য সব থাকতে পারে, কিন্তু গৌরব কোথায়, গর্ব্ব কোথায় ? অনেক শ্রেণীর নারী আছে যারা পুরুষকে মনে করে মুরভি গাভী । তারা কেবলমাত্র তারা যে আছে এ দ্বারাই আপনাদের চরিতার্থতা সম্পন্ন করবে, আর যত প্রকারের ভোগ আছে সমস্ত নেবে দোহন করে’ পুরুষজাতীয় স্বরভি গাভীর নিকট থেকে । ধন চাই, বিলাস চাই, স্বাচ্ছন্দ্য ও স্বতন্ত্রত চাই, শুধু তাই নয়, মান চাই, গৌরব চাই, গর্ব্ব চাই । এ সমস্তই নেমে আসবে পুরুষের উচ্চভূমি থেকে ঢালুপথে নারীর পাদপদ্মে । পুরুষের নিকট থেকে আহৃত সম্পদ সে ইচ্ছামত ভোগ করতে পারবে, দেশের ও দশের কাছে মান হবে, যশ হবে, গর্ব্ব এবং গৌরব অনুভব করবে, অমুকের স্ত্রী বলে তার সর্বসম্পদের অধিকারিণী হবে বিনা আয়াসে। যে পুরুষ তাকে বহন করবে সে হবে ভারবাহী মাত্র, তাকে ছাড়িয়ে উঠবে তার নাম, তার প্রভাব । চন্দনলতা অন্য তরকে আশ্রয় করে” তার উপলত হয়ে বঁাচে । যে গাছের রসে সে জীবনধারণ করে দশের নিকট সে গাছের কোনও প্রতিপত্তি নেই । সে কেবল চন্দন