পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক و 8ج লতাকে রস যুগিয়েই খালাস, লোকে আসে চন্দনলতার কাছে তার স্বগন্ধের জন্য। এই রকম সর্ব্বধুক স্বামী পেলে তবে না নারীজন্মের যথার্থ সাফল্য ! মুকুমার এখন প্রায় তার করতললন্ধ হয়েছে, আর একটু হ’লেই সে মনে করছে যে সুজাতার দিকের সমস্ত শিকড় ছিড়ে এনে তার নিজের জমিতে লাগাতে পারবে । কিন্তু এখন এসেছে তার একটা নিস্পৃহতা । সে মনে করছে তার কল্পনার ছবিতে, যে স্বকুমারকে ত সে ইচ্ছা করলে যখন তখনই বিয়ে করতে পারে কিন্তু তাকে বিয়ে করে’ ফল হবে কি ? কলকাতায় একখানা বড় বাড়ী, দাৰ্জিলিং সিমলায় বাড়ী, একথান। বড় মোটর গাড়ী, দাস দাসী, বেশ ভূষ সজ্জা । কিন্তু এ সব ত হ’ল, তত: কিম ? এসব জিনিষগুলো একবার আসে বটে, কিন্তু এগুলোকে ক্রমশঃ বাড়াবার কোন উপায় নেই । ক্রমশ: বাড়াবার জিনিষ হচ্ছে থ্যাতি, যশ, গৌরব । তা অফুরন্তু, যতই কেন তা বাড়ুক না তা আরও বাড়ানো যায় এবং তা জীবনে আনে নূতন রস, নূতন উত্তেজনা । উত্তেজনা না থাকলে সুখভোগ ব্যর্থ, আর সে সুখ হয়ে যায় মলিন, রসবজ্জিত ! এই যে কানাইট জেলে গেল, কেমন ড্যাং ড্যাং করে চলে গেল । জেলে ত কোন খাটুনি খুটনি নেই, দিব্যি আরামে থাকবে। আর চারিদিকে কাগজে কাগজে কেমন চি টি পড়ে গেছে কানাইয়ের তেজস্বিতার। কিছুদিন ধরে লোকের মুখে আর কোনও কথা নেই কানাইয়ের কথা ছাড়া । তা কানাইয়ের মুখের দিকে চেয়ে থাকলেই বা ফল কি ? আর ওর যে হতচ্ছাড়া বুদ্ধি, ও যে কোন দিন টাকা রোজগার করতে পারবে তার কোন আশা নেই। উপস্থিত তৃতীয় ব্যক্তিও কেউ হাজির নেই । এবার চেষ্টা করতে হবে যদি সুকুমারকে বিলেতে পাঠিয়ে সেখানকার একটা বড় ডিগ্রী আনানো যেতে পারে,